পাখি এক্সপ্রেস
১.
একবার এক খুনি আমার গলা কেটে দিলে
উঠেছিলো কবিতার ফিনকি, বিরতিহীন
২.
এ বন নষ্ট হয়ে গ্যাছে
প্রতিটি নারীর গায়ে, বৃক্ষের গায়ে শুমারীর সংখ্যা বসে গ্যাছে
৩.
কোন সুখী বুনোচারীর পিঠে একদিন, যেকোন একদিন
সুযোগ বুঝে কবিতা লিখে দিও
৪.
সাতটি গাছ মিলে একটি বন; আমিসহ জঙ্গল
৫.
ঝুড়িতে সূর্য নিয়ে জবা তুলতে আসে ফুলকুমারী;
আমার ঘুম তোলে না
৬.
মেয়েটির নাম জ্যোৎস্না হতে পারে-
অথবা চোখ, ঠোঁট ইত্যাদির বিভিন্ন নাম দেয়া যায়
৭.
তিনটি হিজলবন পেরোনোর পর জ্যোৎস্না শুয়ে পড়ে
নগ্ন জলের শরীরে।
৮.
জলের শরীরে যৌবন স্থির নয়
আমার প্রেমের মতো সত্য নয়।
৯.
এ জল নারী হতো না, পাপ হতো না!
মায়ের হাত আর গাল, ভয় অথবা সাহস হতো।
১০.
জলচুবানো নতুন গালে আগামিকালের ভোর দেখে
আরামদায়ক সন্ধ্যায় নেমে যাই নৈ:শব্দের নাভীতে
১১.
চেহারা হারিয়ে ভূত হয়েছে সবক'টি বটগাছ
১২.
বালিকা কবিতা লিখতো, দিন রাত এবং ঘাসের কলহ লিখতো
১৩.
বৌয়ের ঘরে অভিমান আছে, আশ্চর্য এক নদ
নদের এক পাশে কাশ অন্য পাশে বিকেল
১৪.
কবিতার কি লিংগ থাকে?
জল লিংগ, রঙ লিংগ অথবা জ্যোৎস্না লিংগ?
১৫.
আমি লিখলে কবিতা অচেনা এক দানব হয়!
১৬.
কবিতা না হয়ে বৃক্ষ অথবা ভোর হবো-
এমনই সন্ধি ছিলো।
১৭.
শেষরাতের ফুলপ্রসবে আমরা
আনন্দ কিনে ঘরে ফিরবো
১৮.
আমার সুখ নাই- এটা হাঁচা কথা
আমার দু:খ আছে- এটা মিছা কথা
১৯.
গোলা ভরা সাহস আর পুকুর ভরা উচ্ছ্বাস ছিলো
২০.
ঠিক এই মুহূর্তে চাঁদগামী মানুষের চোখে প্রেমিকার ছায়া নেই
২১.
প্রেমিকাদের ডান পাশে ইউক্যালিপ্টাস রোপন করে
পকেটে নতুন মুদ্রার ব্যক্তিগত ফিস ফিস শুনি
২২.
তোমার ঠোঁট গুঁড়োদুধের বিজ্ঞাপনের মায়ের বুকের আকার নিচ্ছে
চাপতেই ঘন জোছনায় ভরে গেছে হোটেল ম্যানেজারের ক্যাশবাক্স
২৩.
সুন্দর চেহারার ফেরিওয়ালাদের সাথে
গৃহবধূর অপেক্ষা মিশে গেছে
২৪.
ওসব গ্রাম আমার নয়,
এ শহর স্বজনফেরা মানুষদের
২৫.
এ শহর আমার নয়
ওসব গ্রাম পাখি হয়ে যাওয়া মানুষদের
২৬.
... একদিন নষ্টরা অধিকার ছেড়ে চলে যাবে!
ওইখানে, সামনের তিনস্তর ভবিষ্যত পেরুলেই
আরো কিছু দলবদ্ধ প্রাণী সাদৃশ্য বাস্তবতা জোছনা খেয়ে দিন কাটাচ্ছে
===========
নিজের লেখা থেকে ভালো লাগার কিছু খুচরাংশ - ১
১.
অন্ন ? বড় জঘন্য
নগন্য যখন আমার ক্ষুধা!
২.
মাইলের পর মাইল খাসজমি
বাপে ভিটে দেয় নাই- আমি ভূমিহীন
৩.
বিষবৃক্ষের তলে মাটি খুঁড়ে বার করি ইতিহাস
মেসোপটেমিয়া, সিন্দু...
আমার ঘরের কোনেই শুনি প্রত্নতাত্বিক কান্না
৪.
মানুষ হয়ে আকাশ বা বৃক্ষ হতে পারিনি-
নির্বিচারে মানুষই রইলাম
৫.
জলের গায়ে জলজ দাগ থেকেই যায়!
দাগ থেকে যায়
৬.
আগুনের ঠোট চুষে পুঁজের স্বাদ
ড্যাবড্যাবে সনাতন ক্ষতে দুধে আলতা পুঁজ
৭.
শাঁই শাঁই চুম্বনের শব্দে নেচে উঠতো আগুনের শরীর
৮.
অনির্বাচিত রাতে প্রেম এসেছিলো ঘুমের মতো নিরবতায়,
অথচ তখনো কাঠের বুনন গোগ্রাসে উষ্ণতা গিলতে ব্যস্ত
৯.
ঘুমরোচক শব্দগুলো বেয়াড়া বনে গিয়ে
নিশ্চিত অবহেলায় হিম জমাচ্ছে শয়নোচিত নৈঃশব্দে।
আহা! কতোই না কামার্ত তুষারপালকের পেলব গা...।
১০.
সুযোগ বুঝে আমিও বাসর চৌকির নিচে
বিলাপরত কুনো ব্যাঙের মতো
১১.
আমাকেও সাথে নিলো বিভ্রান্তির সরীসৃপ
১২.
লিপস্টিকের দাগ মুঠোফোনেই লেগে থাক-
জীবনের বর্ণিল খুচরো রোদের কার্পেট উপহাস মাত্র
১৩.
সুগন্ধিগুলো দেয়ালের দাগ হলো
কবিতাঘরের পুরোনো বালুর আস্তর ক্ষমা চায়
মেঝেতে ঘুম নামলো কুসুম কুসুম গরম জলে
মাঝরাতের স্নান খুবই বিচ্ছিরি !
১৪.
কাশবনে আগুন লাগাতে গিয়ে বকঠোকর খেয়েছি
উষ্ঠা খেয়েছি উচ্ছিষ্ট রোদ্দুরে
১৫.
জ্যোৎস্না কিনে ঘরে ফেরে নাগরিক সুখেরা;
ওসব শরীরে অদ্ভুতোদিত উষ্ণায়ন
আমাকে আকাশ দ্যাখার সুযোগ দেয়...
১৬.
ভজো নম: নম:
নিষ্কাম মম প্রেমজ হিমাঞ্চল
১৭.
আমরা দু'জন
একে অন্যকে খুলে খুলে চিনেছি
সেদিন জ্যোৎস্না সমান দুই ভাগ হয়েছিলো
১৮.
দ্যাখো, ঠোটে রক্তের চুমুদাগ মাত্র একটি খুনের-
যা কোথাও লেখা হয়নি!
১৯.
পুরোনো পুকুর অথবা বৃদ্ধার মুখ আর
বাচ্চা দিতে দিতে গ্ল্যামার হারানো কুকুর
২০.
এ ঢেউ ওই পারে ওঠার পর
যেও তুমি, যাবেইতো একলা তোমার ঘর
২১.
একভাগ চোখে
একভাগ জল
পুরোটাই স্থল
২২.
চোখে
জ্যোৎস্না দেখি
জ্যোৎস্নায় চোখ
২৩.
সাদা মাটি
কালো চাঁদ
আর সর্বনাশ
২৪.
ছুঁয়ে দেখো
স্বপ্ন
নয়তো আষাঢ়
২৫.
আহা!
এ তো জলচৈতন্যের স্বর!
২৬.
অনুগত বারান্দায় নীল খরগোশের নাচ
২৭.
একটি কাঠবিড়ালী তোমার ছবি মাথায় নিয়ে
রোদ পোহাচ্ছে!
এমন দৃশ্যের বাণিজ্যিক মূল্য তোমার পক্ষে যায় না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।