নিক নিয়ে খেলতে মজা লাগে
যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি: ‘ফতেহ ওসমানির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানবের অস্তিত্বের সঙ্কটই যেন প্রকট হয়ে উঠল’ । বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ছড়াকার ফতেহ ওসমানির মৃত্যুতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এমন কথাই বললেন যুক্তরাজ্যের কবি, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকেরা। তার ওপর বর্বোরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করেন তারা। ফতেহ ওসমানির অকাল মৃত্যুতে যুক্তরাজ্য বাঙালি কমিউনিটি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায় ।
বৃহষ্পতিবার ফতেহ ওসমানির মৃত্যু সংবাদে যুক্তরাজ্যের বাঙালি কমিউনিটিতে নেমে আসে শোকের ছায়া ।
শোকার্ত কবি, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকদের অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আহমদ ময়েজ বলেন, ৭০ এর দশকের প্রতিভাবান ছড়াকার ফতেহ ওসমানি কেবল একজন ভালো সাংবাদিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন অনেক বড়ো মাপের মানুষ। আমাদের ভালো বন্ধু। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার।
ল-ন প্রেসক্লবের সভাপতি বেলাল আহমেদ বলেন, আমি বাকরুদ্ধ।
এই মৃত্যু অত্যন্ত মর্মান্তিক। তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার বলেন, আমি এখনও মেনে নিতে পারছিনা যে ওসমানি আর ইহজগতে নেই। তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। প্রমাসনকে তার হত্যা রহস্য উদঘাটনের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
কবি শাহ শামীম আহমেদ এক শোকবার্তায় ফতেহ ওসমানিকে একজন ভালো বন্ধু এবং নির্লোভ ও সৎ সাংবাদিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
আব্দুল কাউয়ুম বলেন, ফতেহ ওসমানির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানবের অস্তিত্বের সঙ্কট যেন প্রকট হয়ে উঠল। প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র করে দেয়। বিশেষ করে বন্ধুর মৃত্যুতে আমাদের অভিব্যক্তি প্রকাশের সব দরোজা-জানালা বন্ধ হয়ে যায়। ফতেহ ওসমানির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে যেন গোটা মানব সম্প্রদায় আর একবার মৃত্যুবরণ করল।
আরও শোক প্রকাশ করেছেন আতাউর রহমান মিলাদ, ওয়ালি মাহমুদ, আবু মকসুদ, ইকবাল হোসেন বুলবুল, আনুয়ারুল ইসলাম অভি,শাহনাজ সুলতানা, তাবাসুম ফেরদৌস, সুমন সুপান্ত, কাজল রশীদ প্রমুখ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।