আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্ণবাদ, বিদ্রোহ ও (anti)সংগীত!

আমার খামার নেই নেই কোন শস্যকণা

হুমায়ুন আজাদ সাহেব একবার বলেছিলেন "আর ৫০ বছর পর আমাকে ওরা দেবতা বানাবে আর আমার বিরুদ্ধে কোন নতুন প্রতিভা কথা বললে তারা ওকে ফাঁসিতে ঝুলাবে"। মূলতঃ যারা নতুন কিছু করতে চায় তাদের পথটা সব সময়ই বন্ধুর। প্রাচীনপন্থি বিশুদ্ধতাবাদীরা তাদের পথে অনেক কাঁটা ছড়ায়। যারা নতুন কোন আকৃতি কে কাঠামো দিতে চায়, নবীন বিদ্রোহীরা তাদের সময় থেকে সাধারণত এগিয়ে থাকে। তারা ভবিষ্যতকে তৈরী করে।

আমাদের দেশে পাশ্চাত্য সঙ্গীত রসিকেরা মূলতঃ পপ-রক-মেটাল ঘরাণার ভক্ত। রকেন-রোলারেরা মহৎ বিদ্রোহীদের প্রতিরুপ। তাদের আগ্রাসী ঝঙ্কার, শক্তিষালি কথা, প্রবল প্রতিবাদী সুর বিংশ শতকের শেষার্ধের প্রবলতম সঙ্গীতকলাজাগতিক ঘটনা। তাদের পতিত সময়ের নিরঙ্কুষ রূপায়ন তাদের গানে সুরে ঘটেছে। তারা নমস্য।

তারা মেটালের বিশাল পরিকল্পনায় ব্যপৃত, আধুনিকতাবাদের প্রবল প্রসারণে নিযুক্ত। আধুনিকতার গবেষক পন্ডিতেররা কিরকম গুরুগম্ভির হন আমি দেখেছি,লেখকেরাও। টি এস এলিয়ট বা স্যামুয়েল বেকেট পড়েছেন? মানুষ যন্ত্র- মানুষের আত্মার মৃত্যু হয়েছে -মানুষ পিপাসার্ত-সে আত্মা নির্বাণ চায়। পড়তেপড়তে আপনার মনে হবে আপনি মহাপাতক। মেটাল শুনতে গেলে আপনার একই ধারণা হবে, ওটি আধুনিকতাবাদেরই সাঙ্গীতিক এক্সটেনশন।

শয়তান এর নাম না করে তারা একটি বাক্যও বলতে পারেনা। সেই সাথে আছে শাদা বর্ণবাদী রাজনীতি-আপাত দৃষ্টি তে মনে হয় ঐ পাশ্চাত্য জগৎ অনেক মুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা বর্ণবাদ সেখানে তাদের ছায়া ফেলতে পারেন, শাদা সমাজ কালার ব্লাইন্ড!কিন্তু সত্য হল কালরা পশ্চিমে শাদা দের তুলনায় অনেক কম সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে। সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলি সাধারণত শাদা রঙের, তাদের ক্ষমতার কেন্দ্রেও আছে কোন শাদা মানুষ। আছে “inferior racial others” ধাচের ধারণা,একই ছাঁচবদ্ধ জ্ঞান, বর্ণবাদী বিষয় বিশ্লেষণ। এগুলো এখন পাশ্চাত্য সাংস্কৃতিক ঊপকরণ,pieces of cultural information that is collectively derived and passed along from one person and group to the next. আর ইতোমধ্যে ঘটেছে জনসমষ্টির, জন রুচির নতুন মেরূকরণঃকানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েট, পিএইচডি ড্রপআউট ক্রিশ্চিয়ান ল্যান্ডার বলেছেন "শাদা আমেরিকানরা এখন নিজদেশে প্রান্তিক, তাদের নিজস্ব কোন কালচার নাই যেটা coool! শাদা কালচার হল 'ফ্যামিলি টাইজ', 'অফিস', লেড জেপলিন আর গানস এন্ড রোজেস।

সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হতে পারে কিন্তু সংস্কৃতিতে তারা দৈন্য, পপুলার কালচারে তাদের অবস্হান অন্ত্যজ । " (তিনি শাদা লোকেরা যা পছন্দ করে শিরোনামে ব্লগ লেখা শুরু করেন। অল্পদিনেই তাঁর ব্লগ জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় এবং ব্লগ থেকে প্রথম ১০০ পোস্ট নিয়ে জুলাই ২০০৮ এ উক্ত শিরানামে র্যান্ডম হাউস থেকে একটা বইও ছাপান তিনি) । শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শাদা আমেরিকানদের রুচি, কুসংস্কার এবং ভোগবাদী মানসিকতার স্টিরিওটাইপ ক্রিশ্চিয়ান ল্যান্ডারএর ভাষ্য মতেঃ ১ শাদারা সবসময় মনে করে তারা খুব সৃজনশীল এবং অন্যদের চাইতে আলাদা, এ ব্যাপারে তাদের কোন পরীক্ষা করা যাবে না এবং তাদের বুঝতে দিতে হবে যে সে খুবই স্মার্ট। কোন জায়গায় 'একমাত্র শাদালোক' হতে পারলে তাদের খুব ভাল লাগে।

২ এমনিতে রক এন্ড রোলের বাইরে গান শোনে না, কিন্তু তারা নির্বিশেষে বব মার্লীকে পছন্দ করে, আদর করে তাকে বব ডাকে। কলেজে পড়ার সময় বব মার্লী আর মারুয়ানা একসাথে ধরে, ফলে যে এসোসিয়েশান তৈরি হয় সেটা জীবনে আর নষ্ট হয় না। যদি কোন শাদা লোক বলে সে ‘রেগা’ পছন্দ করে তাহলে বুঝতে হবে সে আসলে ৬৫ থেকে ৮৩'র গান পছন্দ করে। ৩ সঙ্গীতের যেকোন শাখায় একটা জিনিস সাধারণ, জন্ম, বৃদ্ধি, মূলধারায় গ্রহণযোগ্যতা, পতন এবং সবশেষে কালের গর্ভে বিলীণ হয়ে যাওয়া। কিন্তু কালোদের সঙ্গীতের ক্ষেত্রে শেষ ধাপটা হয় না, শাদারা টিকিয়ে রাখে, যেমন জ্যাজ।

একইভাবে শাদারা কালোদের পপুলার হিপ-হপ গান শোনে না এগুলো তাদের রুচিতে বাধে, ফলে যেসব হিপ-হপ ব্যান্ড পুরাতন বা মারা যেতে বসেছে- কালোরা যা আর শুনে না, যেমন উ ট্যাং, কেআরএস-ওয়ান, ডেলা সোল- শাদারা তাদের পূনর্জ্জীবিত করে। ৪ শাদারা তাদের অবসর সময়টা খুব উপভোগ করতে চায়, একটুকু সময়ও নষ্ট করে না। অনেকেই এ সময়টা ইয়োগা করতে পছন্দ করেন, কিন্তু ইয়োগা করতে গিয়ে ডগটাকে খুব মিস করেন, এ সমস্যার সমাধান করতে তারা বের করেছেন Doga (Dog+Yoga) ! ৫ ভ্রমণ সাধারণত দুই ধরণের , ফাস্ট ওয়ার্লড এবং থার্ড ওয়ার্লড। ফার্সট ওয়ার্লড হল ইয়োরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া , এইসব দেশ ভ্রমণ তারা শধু পছন্দই করে না বেড়ে ওঠার জন্যে রীতিমত দরকার। সবার অভিজ্ঞতাই একরকম, তারপরও দেশভ্রমণে গেলে সব শাদাই তার থেকে একটা বই লেখার কথা চিন্তা করে, মনে করে সেই প্রথম ঐ কাজটা করেছে।

একজন আরেকজনের ভ্রমণের গল্প ধৈর্য ধরে শোনে যাতে সে নিজেরটা বলতে পারে। বারে গেলে সে অদ্ভূত কোন পানীয়ের অর্ডার দেবে যেটা সে বিদেশে পান করেছিল এবং সুযোগ পেলে ঐ ছুতায় গল্প শুনিয়ে দেবে। ৬ বেশীরভাগ খেলাধুলাই আগ্রাসী এবং তাদের রুচির সাথে খাপ খায় না, দু-একটা ম্যাচ দেখা যেতে পারে কিন্তু একটা খেলা সবাই খুব খেলে, সেটা হল ফ্রীসবি। খুবই বোরিং একটা খেলা, কিন্তু তাদের বলা যাবে না। ৭ তাদের হিউমারের সোর্স খুবই লিমিটেড, সিম্পসন, মন্টি পাইথন এবং একটা ম্যাগাজিন তারা খুব পড়ে সেটা হল 'অনিয়ন' , এই ম্যাগাজিন পড়া থাকলে তাদের আড্ডায় কোন সমস্যা হবে না।

অনিয়নের রেফারেন্স ছাড়া কোন হোয়াইট লোক একঘন্টার বেশি কথা বলতে পারে না। ৮ পেঙ্গুইন ক্লাসিকসের মত ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতটাকে একমাত্র শাদারা জিইয়ে রেখেছে। তারা ক্লাসিক না শুনলেও বিশ্বাস করে যে তারাই একমাত্র এটা বুঝে এবং প্রচুর টাকা খরচ করে এনজয় করে। তবে এ বিষয় নিয়ে কথা না বলাই ভাল, কারণ শাদা লোকটা যদি বুঝে ফেলে যে সঙ্গীত নিয়ে আপনার জ্ঞান তার চেয়ে বেশি তাহলে জীবনে বন্ধুত্ব হবে না ৯ শাদারা অংক ভয় পায়, পারে না, এর জন্যে গণিতের শিক্ষককে দায়ী করে। আপনি যদি সমানে শিক্ষক/সিস্টেমের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করতে পারেন তাহলে বন্ধুত্ব নিশ্চিত।

তবে অংক না পারলেও পরিসংখ্যান দিয়ে তারা গণিত না পারার ক্ষোভ মেটাতে চায়,যে কোন বিষয়ে ফটাফট স্ট্যাটিসটিক্স দিয়ে জ্ঞান ফলায়। প্রাগুক্ত স্টেরিওটাইপটি কিছু প্রবণতা প্রকাশক, আমি সাধারণ শেতাঙ্গ মানসের কয়েকটা ধরণা দেয়ার লক্ষ্যে তা করেছি ঠিক সমালোচনা অর্থে নয় , স্টেরিওটাইপোগ্রফিক্যালি সমাজতাত্বিক বৈশিষ্ট ক্ষুদ্র পরিসরে বোঝানোই ছিল আমার লক্ষ্য। পাঠককে পথচ্যুত করে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থি, আমি সকল শাদাদের লক্ষ্য করে বলি নি। সামান্যিকরণ আমার উদ্দেশ্য ছিলনা। তবে কি ,বর্ণবাদ সমাজের রন্ধ্রে বিষবাষ্পের মত ছড়ানো, বর্ণবাদি প্রতিষ্ঠানসমুহ স্বেতাঙ্গরা আপন স্বার্থে রক্ষা করে।

মনে হতে পারে আমি শাদাদের প্রতি বিষোদ্গার করছি, শাদারা সব মূর্খ,আর কালোরা প্রত্যেকে মহাপুরুষ। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, এখানে কাউকে মহাপুরূষ বা মূর্খ প্রতীয়মান করার লক্ষে আমি কলম ধরি নি। সে দায় আমার নয়। একবার ও বলিনি যে শাদারা সব অজ্ঞান মূর্খ আর কালোরা দুধে ধোয়া তুলশি পাতা। আমার বিশ্বাস আমি আমার নিরপেক্ষতা সর্বান্তকরণে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি।

কিন্তু সমস্যা হল যেকোন বৈষোম্য তা সে বর্ণ বা লিঙ্গ বৈষম্য যাই হোক না কেন সেখানে ক্ষমতাশালী, আগ্রাসী, বর্তমানে প্রভুত্বকারী গোষ্ঠিকেই অধিকাংশক্ষেত্রে(প্রায় সকল) দায় নিতে হয়। আমি নিরুপায়। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন আমরা যাদের কথা বলছি তাদের সকলের অতীত ইতিহাস দাসব্যবসা , অবৈধ অভিবাসন ও নির্মম দারিদ্রের সাথে । এর পরমপরা এখন বিদ্যমান। অস্বিকার্য নয়, গ্যাংবাজী, ড্রাগস, আর্মস এর প্রধান ডিলার কালোরা।

কোন যথোপযুক্ত শোভন পেশা প্রচলিত মার্কন সমাজ ব্যবস্থা তাদের অফার করতে পারে না, আর সৌভাগ্যবশত (নাকি দূর্ভাগ্য?) কোন কালো এমন কোন পদে আশীন হলেও তাকে হিমালয় সমান বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয়, যেমনটা ছিল প্রাক্তন পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থা ও প্রশাসনে বাঙালীদের প্রতি। হতাশার বিষয় হয় তখন, যখন এই শাদা বর্ণবাদ আমাদের মনে উপনিবেশ গাড়ে। আমরা ভুলে যাই আমরাও ওদের কাছে কালা নিগার, ভাবি শাদারাই সেরা জাত, জগতের সব মহান সৃষ্টি ওরাই করেছে। আনাদের মানসিক দৈন্যের পরিচায়ক এ ধারণা কিন্তু আমাদের নয়, শাদা প্রচার-প্রপাগন্ডা,আগ্রাসন,ঔপনিবেশিকতা শিক্ষা তাদের স্বার্থেই আমাদের বংশপরম্পরায় আমাদের এ কথা শিখিয়েছে। স্টেরিওটাইপটি কিছুটা দীর্ঘ হয়ে গেলেও শাদা মানুষদের রুচির তন্তু গুলি আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে তা সহায়ক হবে।

মার্কিন মুল্লুকের কালা আদমীরা ইদানিং (তাও প্রায় ২০ বছর হতে চলল) নতুন কিছু করার চেষ্টা করছেন। তারা রক-মেটালেরর মাঝে তাদের অন্তরাত্মার প্রতিধ্বনি পান না। এই কালা আদমীরা ৩ বা ২ পুরূষ আগেও ছিলেন দাস, পরে ২য় শ্রেণীর নাগরিক। তাদের গান মেটালিকা বা নির্বানা নয়। তাদের জীবন বোধ জীবনাচরণ চাওয়া পাওয়ার সমীকরণ ভিন্নমাত্রিক।

তাদের ছোট খাট আবেগ অনুভুতিকে শাদারা আমলের মাঝে আনেন না। কোন বিষয়কে বোঝার জন্য সংজ্ঞা খুজতে যাওয়া একটি ঊনবিংশ শতকী আধুনিকতাবাদী পদ্ধতি। কোন একক সংজ্ঞায় কোন বিষয় কে বোঝা যেতে পারে না। বিষয়ের সাথে নানা অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্ক আছে,এ সম্পর্ক গুলো এক রৈখিক নয়,বহু, প্রতিটি সম্পর্কই অন্যান্য সম্পর্কের সাথে যুক্ত তাই সংজ্ঞ্যায়নের চেষ্টা অতী ক্ষুদ্রিকরণ(over narrowderm) বলে বিবেচ্য হবে। কোন বিষয়কে বিঝতে হবে তার শাথে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য বিষয়ের সাহায্যে।

কোন একক বিষয়ের সংজ্ঞা সমাজতত্বে একরকম বিজ্ঞানে আরেক,অর্থনীতি,রাজনীতি তে ভিন্ন। তাই কোন একক সংজ্ঞা তৈরীর চেষ্টা একদেশদর্শি। তাত্বিকদের তৈরী করা হিপ হপের সংজ্ঞা একই দোষে আরক্ত, তারা বলেন এটি ৮০র দশকে পথের তরূণ (রাস্তার ছেলে)দের সৃষ্ট একটি কলা আন্দোলন এর সঙ্গীত রূপ যার ছিত্রকলারূপের নাম গ্রাফিত্তি। কাব্যরূপের নাম র্যাপ(RAP=rythm and poetry) নৃত্যরূপ হবে ব্রেক। কিন্তু এটি এ-সংজ্ঞা ছেড়ে বহুদূর চলে গেছে, হিপ হপ একটি জীবনাচরণের নাম, জীবন বোধ এর নাম।

এ সংজ্ঞা হিপ হপের কোন অর্থনৈতিক, রাজনৈতীক, বুদ্ধিবৃত্তিক বিবৃতি দেয় না,তাদের সৃষ্টীশীল বৈশিষ্ট মৌলিক অবদানগুলোর অগ্রগতী,উন্নতি প্রভাব প্রতিপত্তির কোন খবর দেয় না যেসব বিধৃত আছে তাদের চলচিত্র সঙ্গীত, সঙ্গীত প্রযোজনা, ফ্যাশন। খবর দেয় না তাদেরও যারা এসব কলা উপাদানে অংশগ্রহণ করেনা কিন্তু একই পরিচয় বহন করে। বিশ্লেষণী কাঠামো বিচার্য হলে, হিপহপ, আফ্রিকান বংশোদ্ভোত পশ্চিমা তরূণদের বৈষম্য, দারিদ্র,বর্ণবাদ নাগরিক অবক্ষয় নিয়ন্ত্রিত সামাজিক বাস্তবতায় আপন জীবনের সাফল্য ও অর্থবোধকতা খোঁজার সৃষ্টিশীল বোধ বা অবধারণা, আবেগী প্রকাশভঙ্গী। হিপ হপ্এর কোন কোরান বাইবেল নেই, একথা পশ্চিমের বিংশ শতকী যেকোন কলা আন্দোলনের জন্যেও প্রযোজ্য, সেসব আন্দোলন যেমন অস্তিত্ববাদ, উদারনৈতিকতা, দাদাবাদের মত নিয়ম নীতির ধার ধারে না। সেসব আন্দোলনের মত চিন্তা ও তার প্রকাশভঙ্গীর স্বাধীনতার পক্ষে উদ্দীপনা যোগায়।

মুক্ত সমাজের ধারণার ওপর এর ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত। যেসব কেন্দ্রীয় মতবাদের ওপর এর কায়াগঠন হয় সেগুল হলঃ প্রথমতঃ বাস্তববাদীতা, ধরার ধুলোমাটিতে পা রেখে চলা। আমরা যেন আধুনিকতাবাদী তাত্বিকদের মত গগনচারী আলবাট্রস না হই। প্রান্তরে কিছু নেই ভেবে জানালায় যেন পর্দা টেনে না দেই। প্রকৃত সত্য পারমানিক বাস্তবের জন্য সংগ্রাম, পার্থিব-বাস্তব কোন ঘটনায় যে মৈলিক স্বর ও প্রকাশভঙ্গী খুজে নেয়া হিপহপের প্রথম লক্ষ্য।

মেটাল রকের মত জান্তব আরোপিত চিৎকার-হাহাকার নয়। এটি স্বতস্ফুর্ত ব্যক্তিক অভিজ্ঞতার অন্তরত্মার প্রতিধ্বণি শুনতে চায়। উদাহরন দেয়া যাল লুডাক্রিস এর পোশন নামে একটি ট্র্যক এর প্রথম ভার্স থেকেঃ Man I'm like a needle in a haystack so face that going back to the drawing board connect dots But can't trace that Matta fact erase that cause I'm this late track get you face slapped and I'm Straight so don't taste that try something different and shit I'm listening and shit speaking about What hip-hop missing and shit I'm bout to fill a void Ludacris born in Illinois raised in Atlanta Taught hamma since I was a little boy ain't nobody like me so they wanna fight me fight me step To me now but it ain't like me people swear they sike me just cause he's light-skinned with braids in His hair don't mean that nigga look like me trick get you mind right living in a limelight so Picture what they'll do for my jimmy and a Klondike Bar Bar hardy hard tell yo mama I'm a ghetto Superstar ইলিনয়িস এ জন্ম নেয়া আটলান্টায় বেড়ে ওঠা লুডাক্রিস এর বর্ণবাদ বিপর্যস্ত জীবন ও আকাঙ্খ্য এর প্রতিপাদ্য, তার নিযের জীবনের প্রতিচ্ছবি। দ্বিতীয়তঃ সত্যম সিবম সুন্দরমঃ সত্যনিষ্ঠা হিপ হপের মৌলিক চাহিদা। সত্য কথনের এ প্রবণতা হিপ হপ কে বিতর্কিত করেছে।

একই সাথে পথ ঘাট রাস্তার গরীবের জীবনকে প্রতিবম্বিত করেছে। র্যাপ দিয়ে তারা যা বলতে পারে অন্যরা তা বলতে ভয় পায়। গোপনীয় নাগরিক জীবন, মাদকাসক্তি,পতিতাব্যবসায়, গ্যংস্টার, হিংস্রতা, পুলিশি বর্বরতা এবং সামাজিক দুর্বল নীতির গল্প তারা সহজেই বলতে পারে। একই গানের কোরাস দ্রষ্টব্যঃ Lil Buddy watch you want some violent shit 2 stepping laid back still wilding shit what up Aye baby I got the potion Take a sip of this and put yo back in motion. যারা এই সত্য কথন করে না তারা হিপহপারদের বিরোধী পক্ষ। তৃতীয়তঃ ছক উলটে দাও! হিপ হপ নিয়ন্ত্রিত জীবনে ঐতিহ্য প্রথার কোন স্থান নেই, সর্বিব্যাপি বিদ্রোহের সংস্কৃতি এটি।

সমাজ বহিরিস্থিত কিছু বিদ্রোহীর সামাজিক ভড়ং এর দিকে ছুড়ে দেয়া প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের নাম হিপহপ। অনবরত পরিবর্তনশীল, ভন্ডামী যত খোলনলচে পালটায় এই আক্রমন ততই শানিত হয়। Still working like a slave Learning tricks in the trade in the ghetto state of mind till I'm rich and I'm paid picking records Like cotton in the thick of the day Till I'm spoiled and I'm rotten and they send us away life no different that ozar minimum wage Mo money but still locked in a similar cage either losers of tomorrow or we winners today, Now just that and theres Really nothing missing to say but অথবা ওয়ারেন জি ও নেট এর রেগুলেট এ They got guns to my head I think I'm going down I can't believe this happenin in my own town If I had wings I could fly let me contemplate I glanced in the cut and I see my homey Nate চতুর্থতঃ আপন গোত্রের কথা বল, যারা নির্জাতিত । এই গোত্রের ধারণা তাই রক্ত সম্পর্ক থেকে বহু দূর এগিয়ে গেছে। লিল' ওয়াইনির ঘেট্টো দ্রষ্টব্যঃIn the ghetto life, i'm a ghetto boy Livin in the ghetto me, in the ghe-tto streets (somebody tell me what's crackin before) I'm a ghetto life, any second dogg i can blow up For ghetto me, and you best to be watchin me Ghetto, ghetto, ghetto life Birdman Fly, to hood near you Then they got 'em cheap (whoo!) (yeah, ya know, ya know) Get that call out one more time পঞ্চমতঃ আপন সত্বার সৃষ্টীশীল আত্মপ্রকাশ- যা এর প্রবল বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয়তার নেপথ্য সুত্র।

তুমি যে হও যেমন হও, কোন সমস্যা নয়, কেবল সত্যনিষ্ঠ হয়ে স্বতস্ফুর্ত ভাবে আপনার আনুভুতি প্রকাশ কর। এই আত্ম প্রকাশ বিস্তারিত হয়েছে গ্রাফিত্তি থেকে Turntablism পর্যন্ত, জীবনাচরণ থেকে র্যাপিং পর্যন্ত, বি-বয়ইং থেকে ঘেট্টো চলচিত্র পর্যন্ত। লেখাটিকে এ যায়গায় এনে খেই হারিয়ে ফেলেছি, একটা প্রথাগত উপসংহার দিয়ে আমার রাইটিং টেকনিক কোর্স ইন্সট্রাক্টরের প্রতি সুবিচার করা উচিত ছিল, কিন্তু আমার মনে হয় আপাতত আমি যা বলার বলে ফেলেছি, লেখাটাকে আমি আরেকটু প্রলম্বিত করতে পারি আপনাদের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করার পর। আমার বিশ্বাস আমি যা বলতে চেয়েছি তাই বলেছি... বোঝাতে না পারার ব্যার্থতা কেবলি আমার। এটি রেসিয়াল পলিটিক্স বা উদ্দিষ্ট কলান্দোলনের ব্যর্থতা হিসেবে প্রতিয়মান হবেনা।

এই হিপ হপ প্রীতি আমাকে আমার বন্ধু সমাজে বেশ বিতর্কিত করেছে,(তারা আমার কাছে এ ধরণের 'লঘু' বিষয়ে কিছু শুনতে চায় না) তাদের ধারণা এটি ১৭-১৮ বছরের উচ্ছন্নে যাওয়া চ্যংরা পোলাপানের মাথাগরম অর্থহীন কাজাকর্ম। এগুলোকে গুরুত্ব দিলে তাদের গুরুত্ব কমে যাবে বা ঐ পোলাপান স্পয়েল হবে। কয়দিন আগে অমনই ২ টা চ্যাংরাকে (একজন বিটবক্স করছিল একজন র্যাপ) গান গাইতে শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম 'কোন জেনের? ইস্টকোস্ট না ওয়েস্ট?' সে আমার আমার বয়স দেখে থতমত খেয়ে শুধাল আপনে এসব ক্যামনে জানেন? আমি নিজে ৮০র দশকের প্রজন্ম। আমরা আমাদের প্রজম্নের কথা আমাদের মুরুব্বিদের বলতে পারিনি বোঝাতে পারিনি। আমরা কি সেই গতানুগতিকতা রক্ষা করব? নাকি আমরা পরবর্তি প্রজন্মকে জানার চেষ্টা করব? কৃতজ্ঞতা স্বিকারঃ নাজিমুদ্দিন ভাই আমার খুব পছন্দের ব্লগার,আমি নির্বিবাদে তার কাছে আনুমতির তোয়াক্কা না করে তার করা আনুবাদ উদ্ধৃত করেছি(আমার করা নয় এমন আনুবাদ উদ্ধার চিন্থ দিয়ে আলাদা করা) বা কখনো তার ব্যবহৃত বাক্য ব্যাহার করেছি(নাজিম ভাই, দখতেই পাচ্ছেন লাই দিয়ে মাথায় তুলেছেন।

) এমনকি কিছু ধারণাও তার থেকে ধার করা। এ দন্ডে তার কৃতজ্ঞতা স্বিকার করে নিলাম। অকাতরে গ্রহণ করেছি নিউ স্টেটসম্যান এ প্রকাশিত এন্থনি থমাস এর লেখা। এলেখাটা মূলতঃ তাদের আনুলিখন-সংকলন হিসেবে অবধারিত হবে। ব্যাবহার করেছি চাক ডি এর লেখা র্যাপ, রেস এন্ড পলিটিক্স বইটি ।

বর্ণবাদ বিষয়ে আরো সাহায্য নিইয়েছি জো আর ফেজিন এর সিস্টেমিক রেসিজমঃ থিওরি অভ অপ্রেশন,২০০৬ এবং হাওয়ার্ড উইন্যান্ট এর বিহাইন্ড ব্লু আইজ়ঃ কন্টেম্পরারি রেসিয়াল পলিটিক্স নামের লেখা থেকে। লুডাক্রিস, টুপাক, নেট ডগ, লিল'ওয়াইনি, ওয়ারেন জি এর কিছু ভার্স ও কোরাস ব্যবহার করেছি। পরিশেষে যার ঋণ স্বিকার না করলেও কিছু এসে যাবে না, বন্ধুপ্রতীম আসিফ মহিউদ্দীন, যিনি কট্টর সমালোচনা করেছিলেন লেখাটার, তাকে ধন্যবাদ যানাচ্ছি।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.