^^^^^^^^^
গাড়ি ভালবাসেন না এমন লোক পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। আমার মত গাড়ি পাগল যে ভুড়ি ভুড়ি আছে সেটাও সত্যি। ছোটবেলায় বসার মোড়া কোলে নিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করার মত একটা ভাব করতাম। গাড়ি প্রীতির জন্য একবার জেলে যেতে যেতেও ভাগ্য গুনে বেঁচে গিয়েছিলাম। ড্রাইভিং আমার মাত্র কয়েকটি শখের মধ্যে একটি যদিও ক্রেজি ড্রাইভিং ঘৃণা করি।
আর গাড়ি চালানোর জন্য অবশ্যই গাড়িটা আমার মন মত হতে হবে। সেফটি, পাওয়ারফুল ইন্জিন ফিচারস সব মিলিয়ে অনেক গাড়ির প্রতিই লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাই যদিও এফর্ড করতে পারিনা বলে শখটা বেশিরভাগ সময়ে অপূর্ণই থেকে যায়। আমার চালানো কয়েকটি গাড়ির বর্ণনা করছি,,,,,,,
মিটসুবিসি ম্যাগনা ২০০৫
আমার আব্বুর ৩.৮ লিটার, ভি৬ ইন্জিনের বিশাল সেলুনটির এক প্রকার ভক্ত ছিলাম আমি। কাতারে আরপি পেয়েছি মাত্র, লাইসেন্স পাওয়ার আগে গাড়ি চালাতে গিয়ে ডাস্টবিনের সাথে মেরে দিয়ে জেলে যেতে যেতে কপালগুণে বেঁচে গিয়েছিলাম। স্পোর্টস লুক আর পাওয়ারফুল ইন্জিন সাথে খোলামেলা ইন্টেরিয়র, প্রিয় হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।
গাড়িটি বিক্রির সময় আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল.....
ল্যান্ডক্রুজার জিএক্সআর ২০০৫
সেকন্ড-হেন্ড কেনা হয়েছিল, ৪.৫ লিটার ভি৬। ল্যান্ড ক্রুজার সবসময়ই বস। গাড়িটা আগে বড় এক্সিডেন্ট করেছিল, কিছু সমস্যা ছিল বলে বিক্রি করা হয়েছিল। তবে তার আগে আমার প্রথম ফোর হুইল অভিজ্ঞতা খরাপ হয়নি। মরুভূমির ডুন এ কেমন করে চালাতে হয় সেটা শিখেছিলাম।
ডাবল ও, ড্রিফটিং কি করিনাই গাড়িটা বিক্রি করে ফেলার আগে.....
ল্যাক্সাস এলএক্স ৫৭০ (২০০৭)
আজ পর্যন্ত আমার চালানো সবচেয়ে জটিল একটা গাড়ি। প্রথমবার স্টার্ট করার পর অটো এডজাস্টএবল স্টিয়ারিং হুইল টার নড়াচড়া দেখে ভড়কে গিয়েছিলাম। আমার স্পন্সর তার ফ্যামিলির সাথে অভিমান করে জার্মানি যাওয়ার সময় আমার কাছে যে দুইটা গাড়ি রেখে যায় তার একটি। যদিও অল্প চালিয়েছি, তাও অসাধারণ অনুভূতি!
রেইঞ্জ রোভার স্পোর্টস (২০০৮)
বসের দ্বিতীয় গাড়িটি। রেইঞ্জ রোভার এসইউভি এর মধ্যে চমৎকার একটি গাড়ি।
ইন্টেরিয়র, এক্সটেরিয়র সবকিছুই ক্লাসিক! প্রথমবার হ্যান্ড ব্রেক খুঁজতেছিলাম, পরে বুঝতে পারি গাড়িটায় কোন হ্যান্ড ব্রেকই নাই। মাত্র কয়েক কিলোমিটার চালিয়েছি। তবে আমার মনে হয়েছে গাড়িটি আধা অন্ধ লোকও ভালোমত চালাতে পারবে কারণ প্রায় চারপাশেই সেন্সর লাগানো আর অবজেক্ট কাছে আসলেই ভিন্ন ভিন্ন বিপ দেয়।
পাজেরো জিএলএক্স (২০০৬)
৩.৬, ভি৬ ইঞ্জিনের এসইউভি টা এখনো আমার বাবা চালান, আমিও কম ভালাইনি। গাড়িটি একদিনে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার চালিয়েছি।
বেটার টেকনলজির জন্য মিটসুবিসি সবসময়ই ভালো লাগে। সাধারণ এসইউভি তে পাজেরোর টার্ন সবচেয়ে বেশি, তাই ছোট জায়গায় পার্কিং বা টার্ন করার জন্য অনন্য।
জিএমসি সিয়েরা (২০০৮)
ছোটবেলায় 'দি ফল গাই' সিরিয়ালে যখন তাদের ট্রাকটা দেখতাম তখন মনে মনে স্বপ্ন দেখতাম আমিও একদিন এমন একটা চালাবো। আমার গাড়ি এক্সিডেন্ট করলে ২দিনের জন্য রেন্ট-এ-কার থেকে জিএমসি সিয়েরা নিয়ে সে শখটা পূরণ করেছিলাম। ডাবল কেবিনের বিশাল বডির ট্রাকটায় চড়লে নিজেকে হলিউডি ভিলেইনের মত লাগত রিমোট আর চাবির কম্বিনেশনে জটিল সিকিউরিটি গাড়িটার, বাংলাদেশের উপযোগি খুব।
মিটসুবিসি গ্যালান্ট (২০০৯)
এটা আমার প্রথম গাড়ি ২০০৮ এ ঈদুল ফিতরের আগের দিন কেনা। ৩.৮, ভি৬। জটিলের উপর এককাঠি। সাদা রং, কালো নিতে চেয়েছিলাম। আব্বুর আপত্তিতে নেয়া হয়নি, যুক্তি: কালোতে স্ক্র্যাচ বেশি দেখা যায়।
মিটসুবিসি ২০০৫ এ ম্যাগনা বানানো বন্ধ করে দেয়ার পর ম্যাগনা আর গ্যালান্ট ২.৪ লিটার এর একটা কম্বিনেসন করেছে..... ছোট আকারে স্টিয়ারিং হুইলটা মজার...
আহ ! কাহিনী করতে করতে আমি টায়ার্ড.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।