আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লোডশেডিং

গোধুলি ভালবাসায় ভিজে একসারা একাকী একজন।

দিন গুলি কি অস্থিরতার মাঝে কাটছে। এত লোডশেডিং নেট এ বসার সময় পাচ্ছি কই! যেমন পড়েছে গরম তেমন চলছে মাইগ্রেনের যন্ত্রনা। এই ত্রিমুখী হিট এ আমি যে এখনও কেন পাগল হইনি তাই ভেবে অবাক হই। সারা দেশ ব্যাপী মানুষের এই দুর্ভোগ যে কারণে সেই বিদ্যুৎ সংকট কি করে দূর করা যায় তা নিয়ে মাথা ব্যথা নাই কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত বিগত সময়ে কে কি করেছে সেই দোষারোপ করতে।

আমরা পিছিয়ে আছি এই সমস্ত জটিলতার জন্যই। খুব হতাশ লাগে এটা দেখে যে এত গুলো বছরে আমাদের দেশের অবস্থার কোন উন্নয়ন হলো না। দিন দিন বরং জীবন যাপন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। যে রিকশা ভাড়া ৫টাকা ছিল তা এখন বেড়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা হয়েছে, সকাল বেলা যারা বের হন বাসা থেকে প্রতিদিন অফিস বা স্কুল কলেজের উদ্দেশ্যে তারা দেখেন কি ঝক্কি পোহাতে হয় রিকশা, ট্যাক্সি বা বাসে যেতে। এত ঝামেলা সহ্য করে যাও বা নির্দিস্ট গন্তব্যে পৌছানো যায়, দেখা যায় সেখানেও লোডশেডিং চলছে নয়ত পানি নেই।

আছেই একটা না একটা সমস্যা। আজ বাসায় ফিরে যখন দেখলাম ইলেক্ট্রিসিটি নেই তখন মনে মনে এটাই ভাবছিলাম যে আর থাকা যাবে না এই দেশে। যত তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া যায় ততই মঙ্গল। জানি এ কথা শুনে অনেকেই তিরস্কার করবে। কিন্তু সত্যি আমার আজকাল এত ক্লান্ত আর হতাশ লাগে যে এটাই যুক্তিযুক্ত মনে হয়।

সেদিন খবর শুনলাম এসির ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে। এলাকাভিত্তিক বিপণীবিতান গুলোও বন্ধ থাকছে সপ্তাহে একটি দিন করে। অনেক নিত্য নতুন আইন করা হচ্ছে। প্রকৃত সমস্যা কিন্তু একই রয়ে গেছে। এই এত নিয়ম কানুনে লোডশেডিং কি কমেছে? না।

আগে যেখানে ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকত না এখন সেখানে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ডিস্ট্রিবিউশনে যত যাই করা হোক এই সংকট কাটবে না যদি না পাওয়ার জেনারেশন বাড়ানো হয়। আর বর্তমান যে পরিস্থিতি জেনারেশন বাড়ানোর বিকল্প নাই। আমাদের যে কয়টি প্ল্যান্ট আছে তার বেশিরভাগই অনেক পুরনো। ইউনিট গুলো প্রায়ই একটা দুটো করে বন্ধ রাখা হয় মেইনটেইন্যান্স এর জন্য।

কি মানের মেইনটেইন্যান্স হয় সেখানে আল্লাহই ভাল জানেন, আজ একটা ইউনিট চালু করা হলে কালই তা আবার বন্ধ। এর কারন ইউনিট গুলো অনেক পুরোন হয়ে গেছে। এগুলো রিপেয়ার নয় প্রয়োজন রিপ্লেস করা। একটি নতুন প্ল্যান্ট বসানো অনেক ব্যয়সাপেক্ষ আর সময়ও লাগবে অনেক। এর চাইতে অনেক কম টাকায় এই ইউনিট গুলো রিপ্লেস করা সম্ভব।

এতে সংকট অনেকটা দূর করা যেত। কিন্তু এমনটা হবে আশা কম। আজ আর লিখতে ইচ্ছে করছে না। রাত ৩টা বেজে ২৫ মিনিট...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.