আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ফটোগ্রাফার হয়ে উঠা

আমি তোমাকেই বলে দেব, কি যে একা দীর্ঘ রাত আমি হেটে গেছি বিরান পথে! আমি তোমাকেই বলে দেব, সেই ভুলে ভরা গল্প; কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়!

ফটোগ্রাফির শখটা কখন মাথায় চেপে বসে মনে পড়ে না। কিন্তু যতদুর মনে করতে পারি ক্লাস ফোরে আমি প্রথম ছবি তুলি। মামার সাথে একটা যায়গা গিয়েছিলাম, সেখানে মামা অনেক ছবি তোলেন। কিন্তু নিজের ছবি তুলতে গিয়ে পড়েন বিপদে। যায়গাটি ছিল পদ্মার চর, এবং মানুষজন খুব বেশি ছিলনা যারা মামার ছবি তুলে দিবেন।

সো আমিই ভরসা। মামা বললেন, "দেখ মামা, এই চারটা দাগের মাঝে দিয়ে তুমি যা দেখবে তার ছবি উঠবে, এবার আমার একটা ছবি তোল। " ভয়ে ভয়ে ক্যামেরা হাতে নিলাম, মামার এত শখের ক্যামেরা কাউতে ছুতেই দেন না! আর আমি সেই ক্যামেরাই ছবি তুলছি। ভাবতেই ভাল লাগছিল, যাই হোক ছবি তুললাম। ছবি ওয়াস করার পর খুব অবাক হয়েছিলাম, বাহ্ ভালোইতো ছবি তুলেছি।

মামাও বেশ প্রশংসা করলেন, আমিতো একেবারে হাওয়ায় উড়ি!! এরপর ধিরে ধিরে সাহস বাড়তে লাগল। বিভিন্ন প্রোগ্রামে মামার কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে এসে ছবি তুলতাম। টিফিনির টাকা জমিয়ে ফ্লিম কিনতাম। স্কাউট করতাম, ফলে বিভিন্ন যায়গায় টূরে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে বারবার। আর প্রতিবারই আমার সফর সংগি মামার ক্যামেরা।

২০০৫ এ মামা একটি ২.৮ মেগাপিক্সেল ডিজিটাল ক্যামেরা কিনেন, আর তার কিছুদিন পরেই বাবা আমাকে কম্পিউটার কিনে দিলেন। এবার আমায় পায় কে? এরপরতো কারনে অকারনে প্রচুর ছবি তুলেছি। আজ লুমিক্স ক্লি টু ফেইম এর জন্য ছবি বাছায় করতে গিয়ে কিছুটা প্রব্লেমেই পড়তে হল। তাই আপনাদের ভোটিং এর জন্য কতকগুলো ছবি দিয়ে একটা ফটো ব্লগ দিলাম। কক্সবাজার এয়ার পোর্ট এর পেছনে সূর্য অস্ত যাওয়া।

মহেষ খালির পখে লঞ্চ খেকে মহেশ খালি মহেশ খালির পাহাড় প্রাচীন প্রাসাদ, সোনা মসজিদ; চাঁপাই নবাবগঞ্জ বাংলার গ্রাম মহানন্দা নদীতে জেলে; চাঁপাই নবাবগঞ্জ বাবুডাইং এর লেক; চাঁপাই নবাবগঞ্জ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।