ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি আন্তর্জাতিক চক্র ধরা পড়ল ওপার বাংলার কলকাতায়। নাইজেরীয়, ভারতীয় সবাই মিলেমিশে মাস দুয়েক ধরে জালিয়াতি চক্র চালাচ্ছিল। একটি বহুজাতিক ব্যাংক প্রথম বিষয়টি জানতে পেরে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরকে জানায়। খোঁজ-খবর করতে জালে পড়ে পিটার ওয়েনুবি এলু ওয়াগ বেঙ্গ, লিয়ানা ওরেনুবি, বেনসন ওলাদেতান অ্যাডামস, সতীশ আগরওয়াল ওরফে দুর্জয় রায় ওরফে এমপি গুপ্ত ওরফে সিকান্দর সঈদ এবং অঙ্কিত শ। তিন নাইজেরীয় ধরা পড়েছে পিকনিক গার্ডেন অঞ্চল থেকে।
একজন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড থেকে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর জাল ক্রেডিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড ‘ক্লোন' করার যন্ত্র। নাইজেরীয়া থেকে পিটার ওয়েনুবি যন্ত্রটি কলকাতায় এনেছিল। রেখেছিল তার স্ত্রী লিয়ানার কাছে। পিটার ওয়েনুবি সোমবার দুবাই থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরই গোয়েন্দা পুলিশ তাকে ধরে।
মাঝে মাঝেই সে বাংলাদেশ যেত। এই চক্রের জালিয়াতির পন্থাটি অভিনব। কোনও এক ব্যক্তি ক্রেডিট কার্ডের তথ্য আগে জোগাড় করে তার পর ক্রেডিট কার্ড রিডার মেশিন দিয়ে একটি নকল কার্ড বানানো হত। ওই কার্ডটি নিয়ে জিনিসপত্র কেনার পর সোয়াপ করলেই প্রকৃত ব্যক্তির ঠিকানায় বিল চলে যেত। গত দু'মাসে ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ২৪৬ টাকা জালিয়াতি করা হয়েছে।
আমেরিকায় বসবাসকারী বেশ কয়েকজনের কাছে ওই বিদেশি ব্যাংকের চিঠি গেছে। প্রাপকেরা অবাক হয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার দোকান থেকে জিনিস কিনেছেন অথচ তিনি আছেন আমেরিকায় বসে! গত মাসে ২৩ তারিখ এই অভিযোগ জমা পড়ার পরই শুরু হয় খোঁজ। ধৃত অ্যাডামস স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কলকাতায় রয়েছে। নাইজেরীয় এই জালিয়াত মাঝে মাঝে কয়েকটি ক্লাবের হয়ে ভাড়ায় ফুটবলও খেলে। মণীশ এবং অঙ্কিতকে দ্রুত বড়লোক হওয়ার লোভ দেখিয়ে এ-পথে নিয়ে আসে।
তদন্তে পুলিশ ব্যাংকের তথ্যগুলো জোগাড় করার পর সংশ্লিষ্ট দোকানগুলোতে যোগাযোগ করে। ক্রেতাদের চেহারার বর্ণনা নেয়ার পরই তদন্তে দেখা যায় এরাই সেই জাল কারবারি। ২৩ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।