আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতন- একটি প্রকল্প পর্যালোচনা।

যে জানেনা এবং জানে যে সে জানেনা সে সরল, তাকে শেখাও। যে জানেনা এবং জানেনা যে সে জানে না, সে বোকা-তাকে পরিত্যাগ কর।

মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতন এবং মাশরুম চাষ প্রকল্পঃ একটি বাস্তব ব্যবসায় শিক্ষা প্রকল্পের নামঃ মেঘনাপাড় মাশরুম চাষ প্রকল্প। প্রকল্পের অবস্থানঃ মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতন সংলগ্ন, মজু চৌধুরী হাট, লক্ষ্মীপুর। প্রকল্পের মোট মূলধনঃ ১,৪০,০০০/- টাকা।

মোট শেয়ার হোল্ডারঃ ১০ জন। শেয়ার প্রতি মূল্যঃ ১৪,০০০/- (চৌদ্দ হাজার) টাকা। প্রকল্পের সার্বিক চিত্রঃ প্রকল্প পরিচালকঃ ০১ জন। সহকারি প্রকল্প পরিচালকঃ ০১ জন। প্রকল্প তত্ত্বাবধায়কঃ ০১ জন।

মাশরুম পরিচর্যাকারীঃ ০৪ জন। প্রকল্প এক্সপার্টঃ ০১ জন। --------------------------------------- মোট জনবল = ০৮ জন। লক্ষ্মীপুর কেন্দ্রিক স্থানীয় জনবল সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট খরচঃ বেতন বাবদ খরচঃ প্রকল্প পরিচালক = ৫,০০০/- সহকারি পরিচালক = ৪,০০০/- তত্ত্বাবধায়ক = ৩,০০০/- মাশরুম এক্সপার্ট = ৩,০০০/- মাশরুম পরিচর্যাকারী-৪ জন @ ১,৫০০/- =৬,০০০/- ------------------------------------------------------- বেতন বাবদ ১ মাসের খরচ =২১,০০০/- ২ মাসের টার্ম শেষে ৫,০০০ চারা @১০ টাকা = ৫০,০০০/- টাকা।

১ মাসের = ২৫,০০০/- অন্যান্য খরচ = ৫,০০০/- --------------------------------------------------------- ১ মাসের মোট খরচ = ৫১,০০০/- (একান্ন হাজার টাকা। ) ৫১,০০০ ভাগ ৩০ = ১,৭০০/- টাকা প্রতিদিনের খরচ। ---------------------------------------------------------------------------------- আমাদের প্রকল্পের বর্তমান অবস্থাঃ আমরা বর্তমানে ৩০০০ চারা নিয়ে চাষে নেমেছি। বাকি ২০০০ চারা লক্ষ্মীপুর শহরে স্কুলের প্রকল্পের ব্যাকআপ হিসেবে আছে। এই ২০০০ চারা এখনও চাষে নামানো হয়নি।

মজু চৌধুরী হাটের প্রকল্পটি পর্যবেক্ষণ করে আমরা পরিক্ল্পনাটি একটু সংশোধন করেছি। ২০ মার্চ এই বীজগুলো লক্ষ্মীপুর নিয়ে যাওয়া হবে এবং লক্ষ্মীপুর শহরস্থ প্রকল্পে সরাসরি চাষে নামানো হবে। লক্ষ্মীপুরের প্রকল্পে যাতে কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রকল্প অঞ্চল সম্পূর্ণ প্রস্তুতের কাজ চলছে। --------------------------------------------------------------------------------- ৩ হাজার চারায় প্রতিদিনের গড় উৎপাদন বর্তমানে ৫ কেজি। * এটি আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় খুবই কম।

এ পরিমাণ চারা থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ কেজি উৎপাদন হওয়ার কথা। * গত ৫/৬ মার্চ একটি বিরূপ কুয়াশাচ্ছ্ন্ন আবহাওয়া মাশরুম উৎপাদনে কিছুটা ক্ষতি করেছে। * প্রকল্পের টিউবওয়েলটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নদীর পানি ব্যবহার করতে হয়েছে। নদীতে জোয়ারের সময় সাগরের নোনাজল প্রবেশ করছে। এই নোনাজল মাশরুমের ক্ষতি করেছে।

* বর্তমানে টিউবওয়েল ঠিক করা হয়েছে এবং টিউবওয়েলের পানি ব্যবহারে মাশরুমের ফলন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। * মজু চৌধুরী হাটে মাশরুম শুকানোর জন্য একমাত্র সূর্যালোকের উপর নির্ভর করতে হয়। লক্ষ্মীপুরে প্রকল্প অফিসে আমরা একটি ডিজাইনকৃত চুল্লী স্থাপন করেছি যেখানে সহজেই ৫/১০ কেজি মাশরুম তাপে শুকানো যায়। * অবশিষ্ট ২০০০ বীজ থেকে আশা করা যাচ্ছে আমরা মজু চৌধুরীহাটের প্রকল্পের সমান উৎপাদন করতে পারবো। ---------------------------------------------------------------------------------- উপরে যে হিসাবটি করা হয়েছে তাতে ৫০০০ চারা নিয়ে পুরো প্রকল্পের হিসাব।

প্রাথমিক অবস্থায় ৩০০০ বীজ চাষ করে আমরা যে ফলন পাচ্ছি তাতে নিরুৎসাহিত না হয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় লক্ষ্মীপুরে ২০০০ বীজ নিয়ে ২০ মার্চ থেকে আমাদের প্রশিক্ষককে প্রকল্পস্থলে পাঠাচ্ছি। প্রতিদিন আমাদের উৎপাদন কমপক্ষে ১৫ কেজি করতে হবে। যার বাজার মূল্য @ ১২৫/কেজি = ১,৮৫০/- টাকা। অর্থাৎ এ পরিমাণ উৎপাদন করতে পারলে আমাদের আয়-ব্যয় সমান হবে। ---------------------------------------------------------------------------------- ৫,০০০ বীজ থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ কেজি উৎপাদন করতে পারলে আমাদের খরচ মিটে লাভ হবে।

এ ব্যাপারে আমাদের কর্মতৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা আশাবাদী যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে মাশরুম চাষে সফলতা আনয়ন সম্ভব। মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনের মাশরুম চাষ প্রকল্পের সফলতার উপর এ স্কুলের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হবে। প্রকল্পের আয় দিয়েই স্কুলটি চলতে পারবে। প্রথম টার্ম শেষে মে মাসের ১৫ তারিখ আমরা আমাদের প্রথম প্রকল্পের চুড়ান্ত সফলতা-ব্যর্থতা জানাতে পারবো।

..................................................................................................... স্মরণিকা প্রকাশ আপডেট মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনের প্রথম স্মরণিকা 'মেঘনার নির্মলী' তে যারা লেখা দিয়েছেন- সবার লেখা সহ আমরা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করতে যাচ্ছি ২০/২১ মার্চ। এর মাঝে আপনারা যারা লেখা দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু এখনও দেননি দয়া করে এই অ্যাড্রেসে পাঠিয়ে দিন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.