আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি চমৎকার দেখা গেলো।। সম্মানিত স্যারদের কি চমৎকার নির্লজ্জ স্ববিরোধীতা।



নাম যদি বদল করতেই হয় তাহলে কর এভাবে- যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে তখন জিয়া আন্তর্জতীক বিমানবন্দর এর 'জিয়া' শব্দ থেকে ই-কার এবং শেষের আ-কার এর নিয়ন সাইন বন্ধ থাকবে, নাম হবে 'জয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর'- এতে কিছুটা বিদ্যুত সাশ্রয় ও হতো, আবার নাম বদলের জন্য কোটি কোটি টাকাও খরচ করা লাগত না। আবার বি,এন,পি ক্ষমতায় আসলে নিয়ন বাতি দুটি জ্বালিয়ে দিলেই হতো। মজার ব্যাপার হলো সরকার চাচ্ছে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা আনতে, আবার নামকরনের রাজনৈতিক দূরঅভিসন্ধি আড়াল করার জন্য এবং জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর জন্য সরকার ধর্মীয় আবেগ ও চাতুর্যের আশ্রয় নিয়েছে। একজন মহান সূফী সাধকের নাম টেনে এনে ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যাবহারের হীনষ্মন্যতাও এখানে স্পষ্ট। এর মাধ্যমে সরকারের দেউলিয়াপনা ও স্ববিরোধিতা আড়াল করার আর কোন সুযোগ রইল না।

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জনাব কবীর চৌধুরী,ডঃ জাফর ইকবাল,মুনতাসির মামুন এবং বিজ্ঞ সুশীল সমাজ তথাকথিত মৌলবাদীর যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তাতে হযরত শাহজালাল (রঃ) নাম সর্বাগ্রে পড়ার কথা। কারন তিনি ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন এবং এর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী অশুভ শক্তি ও স্বৈরসাশকের বিরূদ্ধে জিহাদের ডাক দিয়েছেন এবং বিজয়ী হওয়ার পর তার শিষ্যদের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ করে মুসলিম সাশনের সপক্ষে কাজ করতে ও ইসলামের গৌরবগাথা প্রচারের দায়িত্ব পালনের তাগিদ দিয়েছেন যা মোটেই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নয়। বরং হযরত শাহজালাল (রঃ) ছিলেন আপাদমস্তক ধর্মপন্থী এবং বাগদাদভিত্তিক খেলাফত ব্যবস্থার আধ্যাত্মিক প্রতিনিধি,একই সাথে আদর্শ হিসাবে ইসলামের বিজয়কামী। সবাই একমত হবেন যে হযরত শাফজালাল রহঃ এ যুগে একই ভূমিকা পালন করলে তাকে জঙ্গিবাদী বলা হতো,সাম্প্রদায়ীক কিংবা মৌলবাদী ধর্মান্ধ হিসেবে চিহ্নিত করা হত। অত্যন্ত আনন্দের এবং তার চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো আমার বিজ্ঞ স্যাররা এবার এই মৌলবাদী (ওনাদের সংঙ্ঘা অনুযায়ী) সূফী সাধকের নামে দেশের সাথে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের যোগাযোগের সংযোগ স্থাপনকারী প্রধান বিমানবন্দরের নাম হওয়ায় কোন প্রকার আপত্তি তোলেননি।

এর বিরূদ্ধে কোন বক্তৃতা বা বিবৃতিও কোথাও দিয়েছেন বলে শুনা যায়নি। এবং রাজনীতিতে ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহারের বিরূদ্ধে আপসহীন তাদের কন্ঠও যেমন নিশ্চুপ তেমনি তাদের কলম ও বন্ধ রয়েছে। তাহলে কি তাঁরা ইসলামী শাসনব্যবস্থাকে এবং রাজনীতিতে ধর্মীয় অনুভূতির সংযোগ কে সমর্থন করেন? আসলে বিরূধিতা করবেন কি করে? এবার তো আর চারদলীয় জোট সরকারে নাই, এবারতো এই নাটকের কুশীলব তাদেরই সমর্থিত আওয়ামী সরকার। আর ওনারা তো হলেন এই সরকারের নগ্ন সমর্থক, আওয়ামী পা-চাটা বুদ্ধিজীবী। সম্মানিত স্যারদের কি চমৎকার নির্লজ্জ স্ববিরোধীতা।

তথ্য সূত্রঃ নয়া দিগন্ত, লেখকঃ মাসুদ মজুমদার ও আশফাক চৌধুরী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।