আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টাকার মান কমেছে



টাকার মান কমেছে। এর বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে ডলার। আমদানি চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় টাকার মান পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত কয়েকদিন ধরেই পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে মুদ্রাবাজারে।

গতকাল সোমবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬৯ টাকা ৩৭ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৬৯ টাকা ৩০ পয়সা। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬৯ টাকা ২৭ পয়সা। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এক ডলার কিনতে ৬৯ টাকা ১৫ পয়সা ব্যয় করতে হতো। এদিকে খোলাবাজারেও (কাব মার্কেট) মার্কিন ডলারের দাম বাড়ছে। কাব মার্কেটে ডলার বেচাকেনা হচ্ছে ৭০ টাকার ওপরে।

গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি ডলারে দাম বেড়েছে ২০ পয়সার ওপরে। টাকার মান হারানোয় আমদানিকারকদের আগের চেয়ে বেশি দামে পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে বেশি দামে পণ্য আমদানি করায় এতে ভোক্তা পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকে বলছেন, ভোগ্যপণ্যের চেয়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি প্রবাহ বাড়লে নেতিবাচক প্রভাব কিছুটা কমতে পারে। তবে ভোগ্যপণ্য আমদানি বাড়লে ক্রেতা পর্যায়ে এর দাম বাড়বে।

রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি এবং রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ার পরও টাকার মান কমছে। এদিকে ডলারের দাম ধরে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপ তুলনামূলকভাবে কমিয়ে দিয়েছে। রফতানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহ ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পন্থা অবলম্বন করছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.