আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কওমী জঙ্গি নেতা মুফতে হন্নানের স্বীকারোক্তি: হুজি’র পেছনে জামাত-শিবির



জামাতের তত্ত্বাবধান: জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জামাত নেতাদের জড়িত থাকার ব্যাপারে জানিয়েছে হুজি’র কমান্ডার মোহাম্মদ ইউনুসও। সাক্ষাৎকারে সে বলেছে যে, টাকা দিয়ে, সাহস দিয়ে ও পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতো তারা। জামাত নেতা শাহজাহান চৌধুরী (সাতকানিয়া আসনে জামাতের সাবেক সংসদ সদস্য) তাদের মাদরাসায় আসতো। ট্রেনিং দেখতো। টেনিংয়ের সময় আলাপ-আলোচনা করত।

সাবেক শিবির ক্যাডার জঙ্গি শাকিল জিহাদী বলেছে যে, ‘জামাত, হরকাতুল জিহাদ ও আরএসও-এর মধ্যে যে সম্পর্ক তা যদি মুখে বলি অবিশ্বাস্য ঠেকবে। কিন' আমার কাছে বাস্তব প্রমাণ আছে। আরএসও-এর একটি মুখপত্র বের হতো, দুই ভাষায়, উর্দু ও আরবিতে। নাম ‘আহতাদাম’। সেই পত্রিকার ১৯৯১ সালের সংখ্যায় সচিত্র ছবি আছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ডা. আব্দুল্লাহ তাহের (জামাতের সাবেক সাংসদ) ও শিবিরের আমিনুল ইসলাম মুকুলের।

ডা. তাহের ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মুকুল সাধারণ সম্পাদক ছিলো। সেই সচিত্র প্রতিবেদনে তাদের বাহারি অস্ত্রসহ কিভাবে ট্রেনিং দিচ্ছে তা উঠে এসেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ফেডারেশন অব স্টুডেন্ট’ (আইআইএফএস)-এর মাধ্যমে এ দু’জন কী অস্ত্র দেয়া হবে, কত টাকা দেয়া হবে সব তত্ত্বাবধান করত। প্রশিক্ষণ পাহাড়ে, মাদরাসায়: হরকাতুল জিহাদের কমান্ডার মোহাম্মদ ইউনুস বলেছে যে, ‘১৯৯১ সালে আফগানিস্তান গিয়ে ১৯৯২ সালে ফিরে আসি। দেশে ফিরে প্রথমে পটিয়া মাদরাসায় (চট্টগ্রামে) ট্রেনিং করেছিলাম।

পাহাড়ের মধ্যে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়েছি প্রায় ছয় মাস। ’ এরপর আরাকানেও শারীরিক ও অস্ত্রের ট্রেনিং নিয়েছে বলেও জানায় সে। পাকিস্তানের লাহোরে মারাত্মক সব অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক ভারতীয় জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই তৈয়্যবার কর্মী মুফতে ওবায়দুল্লাহ। সাক্ষাৎকারে সে বলেছে যে, ‘দেশে পাকিস্তানের ‘হরকাতুল জিহাদে ইসলামী আলমী’র নেতা ছিল নুরুল কবীর দেওবন্দী। একদিন সে আমাকে একটি চিঠি দিয়ে বলল, আপনি লাহোর চলে যান।

সেখানে মুজাহিদদের ও হরকাতুল জিহাদের অফিস আছে। ওই অফিসে চিঠিটা দেখাবে। এই চিঠি দেখালে আপনার আর চিন্তা করতে হবে না। তারাই আপনাকে নিয়ে যাবে। লাহোরে যাওয়ার পর মুজাহিদের লোক দিয়ে আমাকে পেশোয়ারে পাঠিয়ে দেয়া হলো।

পেশোয়ার অফিসে ওরা আবার খোঁজ নেয় যে, লোকটা কেমন, কোথাকার। ইন্ডিয়ান কোনো মানুষ হলে একটু সমস্যা আছে। কারণ ওদের সাথে ইন্ডিয়ার একটু ইয়া আছে। তারা আমাকে দেখল যে ভালো। এরপর তারা আমাকে একটি গাড়িতে করে খোস্ত শহরের ভেতরে ঢুকিয়ে দিল।

সেই শহরে এক মাস ট্রেনিং নিয়েছি। একেক দিন একেক রকম অস্ত্র। ’ রোহিঙ্গা সলিডারি অরগানাইজেশনের (আরএসও) সাবেক কর্মী ও শিবিরের জঙ্গি ক্যাডার শাকিল জিহাদী তার প্রশিক্ষণের বর্ণনা দিয়ে বলেছে যে, ‘২০০০ সালে প্রথমে সারিয়া মাদরাসায় লেখাপড়া করি এবং ওখানেই জঙ্গি ট্রেনিং নিই। এর একবছর পর হাটহাজারী মাদরাসায় (চট্টগ্রাম) লেখাপড়া করেছি। তিন বছর পর লিবিয়ায় যাই লেখাপড়া করতে।

ওখানে দুই বছর লেখাপড়া করার পর ২০০৬ সালের ২০ জুলাই বাংলাদেশে চলে আসি। যোগ দিই হরকাতুল জিহাদে। ’ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.