আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকায় কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি আটক ॥ বিএনপির তীব্র ক্ষোভ

আমরা কারও তােবদাির করিনা

গত ১৮ জানুয়ারী সোমবার বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি শামীম আহমেদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে। কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় আটকের ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে মন্তব্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর কাতার এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইট কিউআর-৩৪৪ নং থেকে আর-০৩৭৯৪৭৫ নং পাসপোর্টধারী যাত্রী ওসমান আলীকে ১ কোটি ৯২ লাখ ৩৯ হাজার ১৬০ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সহ আটক করে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাষ্টমস শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। আটক ওসমানের কাছ থেকে উদ্ধার করা বৈদেশিক মুদ্রা মধ্যে ছিল ১০ লাখ ২৮ হাজার ২ শ সৌদি রিয়াল, ৮ হাজার ৫শ কাতার রিয়াল ও ৬২ হাজার ৮৫০ দুবাই দিরহাম। এ ঘটনায় শুল্ক কর্মকর্তা বাদী হয়ে বিমান বন্দর থানায় মুদ্রা পাচার আইনে ওই দিন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

আটক ওসমানের স্বীকারোক্তিতে ওই মুদ্রা পাচার ঘটনায় সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৮ জানুয়ারী সোমবার বিকালে কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান শামীম আহমদ চৌধুরীকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এলাকায় কোন ধরণের অভিযোগ না থাকায় তার গ্রেফতারের বিষয়টি জনমনে নানান মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করার উদ্দ্যেশে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কমলগঞ্জ পৌর এলাকার কুশালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর চৌধুরীর ৩য় পুত্র হলেন চেয়ারম্যান শামীম।

তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি হলেন সবার ছোট। তার বড় ভাই হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী গত সংসদ নির্বাচনী চারদলীয় জোটের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ(একাংশ) এর প্রার্থী ছিলেন এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় বি্েনপির সদস্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।