আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্ধুত্ব একপাক্ষিক হয় না: ভারতকে ওবায়দুল কাদের

“ভারতকে মনে রাখতে হবে, আমাদেরকেও আমাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। বন্ধুত্ব ওয়ান সাইডেড (একপাক্ষিক) হয় না। ”
বুধবার রাজধানীর পলাশী মোড়ে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাদেরর এই বক্তব্যের সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী।
তিস্তা চুক্তি এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকর না হওয়ায় ওবায়দুল কাদের এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ভারতের প্রতি বন্ধুত্বের উদার হস্ত প্রসারিত করেছেন।

তাদের কাছ থেকেও আমরা সৎ প্রতিবেশীমূলক আচরণ আশা করব। ”
তিস্তা ও স্থল সীমান্ত চুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাভাষী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণে হতাশা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।  
“হিন্দীভাষী অঞ্চল থেকে এই বাধা এলে একটা কথা ছিল। আমরা এভাবে ব্যথা পেতাম না। কিন্তু আমাদের নায্য হিস্যা আদায়ের এই বাধা এসেছে বাংলাভাষী অঞ্চল থেকে।


“এপার বাংলা-ওপার বাংলা বলে যখন আমরা শান্তি পাই, সাবেক পূর্ব বাংলা আর পশ্চিম বাংলা বলে যখন আমরা অনুপ্রেরণা লাভ করি। তখন পশ্চিম বাংলার এই আচরণ প্রত্যাশিত নয়। ”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের্ উদ্দেশে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “আপনি মা মাটি ও মানুষের নেত্রী বলে দাবি করেন। তাই আশা করব, অগণিত বাঙালির চাওয়া বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করবেন। ”
শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথির এই অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, শ্রীকৃষ্ণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের বিজয়ের জন্য, অশুভের বিরুদ্ধে শুভের বিজয়ের জন্য, অশান্তির বিরুদ্ধে শান্তির বিজয়ের জন্য লড়াই করেছেন।

শ্রীকৃঞ্চের জন্মদিনে সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
“আজ রব উঠেছে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। যে কোনো উৎসবেই বাংলাদেশে সবাই এক কাতারে এসে দাঁড়ায়। ”
হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কেন নিজেদেরকে আপনারা মাইনরিটি ভাবেন? আপনারা মাইনরিটি নন। আপনারা এ দেশের নাগরিক, এ দেশের ভোটার।

এই মাটিতে একজন মুসলমানের যে অধিকার, আপনাদেরও সেই একই অধিকার।
“তাই ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগবেন না। নিজেদেরকে ছোট ভাববেন না। সমান মর্যাদার মানুষ হিসাবে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবেন। ”
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, “একটা শান্তিপূর্ণ দেশ গড়তে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম।

ধর্মীয় সম্প্রীতি ও কল্যাণকর দেশ গড়তেই আমরা হাতে অস্ত্র নিয়েছিলাম।
“আজ অনেকে রাজনীতির নামে ধর্মে নামে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আসুন শ্রীকৃষ্ণের দেখানো পথে অন্যায়কে প্রত্যাখ্যান করে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হই। ”
জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাচ্চু দেব দাশ। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সেক্টর কামান্ডার সি আর দত্ত।


উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর বিশাল একটি শোভাযাত্রা বের হয়। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নেচে-গেয়ে শ্রীকৃষ্ণের ভক্তরা পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত ওই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।