আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন আপনাদের এক স্বপ্ন বাস্তবানের গল্প শোনাই। মিশন রংপুর !! ( দুঃস্থদের ভিতর শীতবস্ত্র বিতরণ )--- ছবিসহ সর্বশেষ আপডেট।

মানুষ বদলে যায় অন্য মানুষে...................আকাশ বদলে যায় অন্য আকাশে........................
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি অনেক দেরিতে আপডেট পোস্ট করার জন্য। আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল বেশ বড়সড় একটা চ্যালেন্জ নিয়ে। কারণ প্রথমত ঢাকার বাইরের প্রোগ্রাম, দ্বিতীয়ত ভলান্টেয়ার স্বল্পতা। এবং সেই সাথে ডিস্ট্রিবিউশনের আগে নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা মিলিয়ে আরো কঠিন ও চ্যালেন্জিং হয়ে গেছিল। যারা মিস্ করেছেন আমাদের প্রোগ্রামটা তাদের জন্য এ সম্পর্কিত আমার ব্লগের পোস্টগুলো দিচ্ছি।

১। এই শীতে আপনার একটা পুরনো শীতবস্ত্র বা কিছু ডোনেশন যদি দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে তবে ক্ষতি কি??! ২। ডেটলাইন ২৬ তারিখ। মানুষের মখে হাসি ফোটাত আমাদের সন্গী হোন, মিশন রংপুর!! শীতবস্ত্র বিতরণ----আপডেট ৩। মিশন রংপুর !! ( দুঃস্থদের ভিতর শীতবস্ত্র বিতরণ ) আর মাত্র ২ দিন বাকি।

কেউ যদি ডোনেট করতে চান তবে এখনই শেষ সময় । - আপডেট ৪। মিশন রংপুর !! ( দুঃস্থদের ভিতর শীতবস্ত্র বিতরণ )আগামীকাল শেষ দিন। অভাবী অসহায় মানুষের পাশে আপনি কি দঁড়াবেন না? -আপডেট এছাড়া আমরা এর আগে একটা প্রোগ্রাম করেছিলাম ঢাকায়, পথশিশুদের নিয়ে, সেই সম্পর্কিত পোস্ট দেখতে নিচের লিন্কগুলো দেখুন। ১।

কেমন হবে যদি একটা শিশুকে এই ঈদে একটা নুতন জামা পাওয়ার আনন্দ দিতে পারেন !! ( পথ -শিশুদের নিয়ে একটা উদ্যোগ ) ২। কিছু প্রত্যাশা, অতঃপর হতাশা এবং দৃঢ় এক প্রত্যয়............... (পথশিশুদের নিয়ে একটি উদ্যোগ) ৩। পথ -শিশুদের নিয়ে একটা উদ্যোগ : সর্বশেষ আপডেট ৪। পথশিশুদের মাঝে নতুন জামা বিতরন --- ছবিসহ শেষ আপডেট। এবার শুরু থেকে এবারের কার্যক্রম আর অভিগ্বতা বর্ননা করা যাক।

অনেক আশা এবং সেই সাথে কিছুটা উৎকন্ঠা নিয়ে শুরু হয়েছিল আমাদের এবারের প্রোগ্রামটা। প্রথমেই যে কথাটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল সেটা হল আমরা রোজার ঈদে পথশিশুদের নিয়ে যে প্রোগ্রামটা করেছিলাম, তারপর অনেকদিনই সবাই অনেক ব্যস্ত ছিল। কারণ অধিকাংশেরই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে টেনশন। তো যাই হোক কোরবানীর ঈদের আগে পরামর্শ পেয়েছিলাম আবারও পথশিশুদের নিয়ে একই প্রোগ্রামটা করার। কিন্তু তখন অনেক কন্ডিশন মাথায় রেখে সেটা করিনি।

শীতবস্ত্র বিতরণের আইডিয়াটা অনেকদিন ধরেই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। কিন্তু সেই সাথে টেনশন কাজ করছিল যে শীত কাপড়ের দাম বেশি, কোথা থেকে কিনব এবং আরো হাবিজাবি। তো গতবারের মতই এবারও হঠাৎ করেই আমাদের কার্যক্রম শুরু হল সেই শূণ্য থেকে। "কোন কিছু শুরু না করলে কখনো শেষ হবেনা" এই নীতি মাথায় রেখে আমরা কাজে নেমে পড়ি, একবুক আশা নিয়ে। কিন্তু আশার বেলুন কয়েকদিনের মাঝেই চুপসে গেল।

আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা ছিল গতবারের অভাবনীয় সাড়া। আমাদের ডেটলাইন ২১ তারিখ কিন্তু ২০ তারিখ রাত ১০ টায় আমাদের ফান্ডে সর্বসাকুল্যে ৩০০০ টাকা এবং অল্প কিছু কাপড়। সবার হতাশ অবস্থা তখন, আমি নিজেও কি করব বুঝতে পারছিনা। তখন সবাইকে সাহস যুগিয়ে যাচ্ছিলাম আর সারাদিন দৌড়াদৌড়ি। আগের অভিগ্বতা থেকে জানতাম ধৈর্য্যটা জরুরি।

এর মাঝ একদিন বের হলাম কাপড় বাড়ি বাড়ি যেয়ে টুকাইতে . চোরের মত মত দেখে দেখে দারোয়ান ছাড়া বাড়িগুলোতে ঢুঁ মেরে মোটামুটি কালেকশন হল। এরই মাঝে ব্লগের থেকে কয়েকজন সাড়া দিলেন যা ছিল ঐ মুহূর্তে আমাদের একটা বড়সড় বুস্ট দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ইউ.এস.এ থেকে মেহেদী হাসান ভাইয়া ২০০ ডলার ডোনেট করলেন, হামিদ পায়োনিয়ার ভাই কিছু ডোনেট করলেন সেই সাথে ব্লগে আমাদের পোষ্টও দিলেন। সেই সাথে অফুরন্ত শুভ কামনা আর সাহায্যের আশ্বাস। তো যাই হোক এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

নতুন ডেটলাইন ঠিক হল ২৮ তারিখ। এর ভিতর শেষ দিনের দেয়া ব্লগপোষ্ট দেখে বেশ কিছু সাড়া পেলাম। ব্লগার সৈকত ভাই ও রিপন ভাই উত্তরা থেকে বেশ কিছু ডোনেশন এর সাথে আন্তরিক শুভকামনা দিলেন। ২৭ তারিখ (যাওয়ার দিন ) সন্ধ্যায় দেখা গেল ১০ বস্তা ( চালের বস্তা ) পুরনো কাপড়ে আমার ড্রইং রুম ভরে গেছে। সেগুলো নিয়া আরেক বিপদ।

কারণ দুপুরে বাসের টিকেট কাটা হলে তখন ৪ বস্তা ছিল। এই ৪ বস্তা শুনেই পারলে আমাদের টিকট না দেয় আরকি। তো বেশ কিছু জায়গায় ঘুরলাম কিভাবে জিনিসগুলো পৌঁছানো যায় এই নিয়ে। শেষ পর্যন্ত বাসে আরো ২টা টিকেট করে বস্তাগুলোকে সেগুলোতে চড়িয়ে নিলাম। এর মাঝে আরো কয়েকটা দুর্ঘটনা ঘটলো।

শেষ মুহূর্তে এক ভলান্টেয়ার বলল যেতে পারবেনা। সেই সময়ে ত্রাতা হিসেবে হাজির হল রাজু ভাই ( আমাদের টীমের সবচেয়ে ফিচারড মেম্বার )। আবার ডিজিটাল ক্যামেরা ম্যানেজ করার কথা থাকলেও সেটা ও হাতে পেলাম না। আমার আ্যন্টিক আ্যনালগ ক্যামেরা আর ফ্রেন্ডের চার্জ না থাকা আ্যন্টিক হ্যান্ডিক্যাম সম্বল করে রওনা হলাম রংপুর। আমরা ৩জন, আমি, সামিন, রাজু ভাই।

রংপুর নেমেই বন্ধুর চাচার বাসায় উঠলাম। মাথায় তখন নতুন টেনশন। ৩ জন মিলে এত কাজ কিভাবে ম্যানেজ করব? সকালের নাস্তা সেরেই বেরিয়ে পড়লাম পুরাতন কাপড়ের পাইকারী বাজারে। যেখানে বাইরের পুরাতন কাপড় বেল ( লট ) হিসাবে আসে। অভাবনীয় কম মূল্য!!! ২০ টাকায় জ্যাকেট , কোট , সোয়েটার এবং সবই ভাল ভাল , শুধু পুরনো আর কুঁচকানো।

কিছুতো আছে অনেক বেশি মাত্রায় ভাল জিনিস। একটা পুরাতন লটে তো ১০ টাকা রেটেও পেলাম। (পুরাতন কাপড়ের মার্কেট ) সারাদিন চলল বাছাই। বেছে বেছে ১৬০০ এর মত ভাল কোয়ালিটির কাপর বাছাই করলাম। মাত্র ৩ জন মিলে।

(কাপড়ের মইধ্যে ডুইব্যা গেল রে.... ) (হাপায়ে গেছি) (বাছাই করা কাপড় আলাদা করে রাখা হচ্ছে। ) দুপুর থেকে রাত হয়ে গেল এই কাজে। ২৬,৭০০ টাকা খরচ হয়ে গেল। তবুও পুরোটা খরচ করতে পারলাম না। সেদিনই স্থানীয় ভলান্টেয়ার পেলাম ৭ জন।

তাদের ছোটখাট একটা ইন্টারভিউ ও নিলাম। ৩ টনের একটা ট্রাক ভাড়া করা হল। কাপড়ের বড় 'ঢোপ' (অনেক বড় বস্তা) ৬টা আর ঢাকা থেকে নেয়া ১০ বস্তা কাপড়ে পুরো ট্রাক ভরে গেল। এর ভিতর নতুন টেনশন যোগ হল সিকিউরিটি সমস্যা। নিজেদের মত কাজ করার স্বার্থে পুলিশ , মিডিয়া সাপোর্ট ও অন্যান্য ফর্মালিটির প্রস্তাব যুক্তি দেখিয়ে গ্রহণ করলাম না।

বিভিণ্ণ আশংকায় বন্ধুবর সামিনের তো শীতের দিনেও ঘর্মাক্ত অবস্থা! তাকে এহেন অবস্থায় ফেলে রেখে সারা দিনের কাজ সেরে রাত ১২:৩০ মিনিটে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার সুযোগ হল!! :O পরদিন সকালে উঠে দেখি সামিনের আ্যন্টিক হ্যান্ডিক্যামের চার্জ হয়নাই ( যদিও আগের রাতে আমি একটু কুকর্ম করছিলাম, ওটা ঠিকভাবে বন্ধ করিনাই ! ) । তো আমার আ্যন্টিক আ্যনালগ ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম আল্লাহর নাম নিয়ে। ট্রাকের পেছনে কাপড়ের উপর বসে রওনা দিলাম। কাপড়ের জন্য বসার জায়গা হয়নি। :O (স্থানীয় ভলান্টেয়াররা) আমাদের প্ল্যান ছিল কুড়িগ্রামের ওদিক থেকে দিতে দিতে রংপুরের দিকে আসা।

সেই লক্ষ্যে প্রথমেই গেলাম চিলমারীতে। এরপর আমাদের আসতে আসতে আরও কিছু স্পটে হল্ট করলাম। আমাদের স্পটগুলো হল : ১. চিলমারী ঘাটের পাড় ২. চিলমারী রেলগেট ৩. উলিপুর সরদার বাজার ৪. নাজিমখাঁর মোড় ৫. রাজারহাট ৬. সিংরার ডাবরী বাজার ৭. ঘড়িয়াল ডাঙা বাজার ৮. তিস্তার মোড় এছাড়া পথে আসতে আসতেও অনেক মানুষকে ছুটতে দেখা গেছে কাপড় নেওয়ার জন্য। তাদরকে চলনত ট্রাকের থেক কিছু দেয়া হয়েছে। এবং কাপড় বিতরণ করতে গিয়ে বেশ করার প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

মানুষের আবদার, কেউ বলে নীলটা নিব না লালটা দেন। কেউ বলে এইটা কি দিছেন এইটা ভাল না, কয়েকজন তো ফিরিয়েই দিল। এগুলো নিয়ে যথেষ্ট ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এছাড়া আরো সমস্যা ছিল মানুষর বিশাল ঢল। অনেক জায়গায় এমনও হয়েছে বিশাল ঢল সামলাতে না পেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে দেখে সেখানে অর্ধেক দিয়েই চলে আসতে হয়েছে।

লাইন মেইনটেইন করাটা ছিল সবচেয়ে চ্যালেন্জিং। একটা স্পটে স্থানীয় দুই একজন তো পারলে আমাদের সাথে মারামারি করেন। আমরা যে তাদের জন্যই গিয়েছি এবং তারা সুন্দর মত নিলে যে আরো তাড়াতাড়ি হবে সেরকম বোধ খুব কম লোকেরই ছিল। যদিও এইসব সমস্যাগুলোই আমারা আগে থেকে ভেবে রেখেছিলাম , সে অনুযায়ী প্ল্যানও ছিল। এটাও জানতাম যে অনেক মানুষের কাছে খারাপ হয়ে যাব।

সেটা মেনে নিয়েই কাজ করেছি। তবু সবকিছুর পরও দিনশষে খারাপ তো লাগবেই। এবার ডিস্ট্রিবিউশনের কিছু ছবি দিলাম। খারাপ কোয়ালিটি আর ভাল ছবি না দিতে পারার জন্য দুঃখিত। এর কারণ হল আমাদের ভাল ক্যামেরা ছিলনা।

:'( এবং একজন ভলান্টেয়ারকে শুধুমাত্র ক্যামেরার পেছনে বসিয়ে রাখার বিলাসিতা আমরা করতে পারিনি। ২৫ দিনের ধকল ও হাড়ভাঙা খাটুনির সফল সমাপ্তির পর আমি এবং আমার সঙ্গীরা বাসায় ফিরলাম রাত ৯টায়। সেখান থেকে আমি আর রাজু ভাই সেদিন রাতেই ঢাকায় ফিরলাম। বন্ধুবর সামিন রয়ে গেল রংপুরেই তার চাচার বাসায়। সেইসাথে রয়ে গেল তার আ্যন্টিক হ্যান্ডিক্যাম।

এবার ডোনেশনের ব্যপারে বলি। সবমিলিয়ে আমাদের মোট ডোনেশন উঠেছিল ৩৪,৩৩৫ টাকা। গতবার স্বচ্ছতার স্বার্থে ডিটেইলস দিয়েছিলাম , কিন্তু অনেকেই সেটা পছন্দ করেননি দেখে এবার আর সেই ফিরিস্তি দিলাম না। সর্বমোট খরচ হয়েছে ২৬,৭০০ টাকা ( শুধু কাপড় কেনার জন্য )। এবং অর্গানাইজেশনের ফান্ডে জমা আছে ৭,৬৩৫ টাকা।

আমাদের পরবর্তী প্রোগ্রামে এটা আ্যড করার কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়া রংপুরে মোট কাপড় কিনেছিলাম ১,৬০০ পিসের মত , আর ঢাকা থেকে নেয়া ১০ বস্তা মিলিয়ে প্রায় ২,৫০০ এর মত কাপড় আমরা বিতরণ করি। বিশেষ কৃতঙ্গতা # সকল ভলান্টেয়ার। স্থানীয় ভলান্টেয়ার সুজন, রাশেদ, অপু, নাসের, হোসেন, সোহরাব,সালেহ। যাদের ছাড়া বিশাল ভীড় সামলানো অসম্ভব ছিল।

# আরজু চাচ্চু। ওনার গাইডেন্স ছাড়া কখনোই ওরকম বাজারদর বুঝতে পারতাম না। উনি নিজে গিয়ে দরদাম করে একরকম হাতে কলমে শিখিয়েছেন কিভাবে আমরা ভাল জিনিস কম দামে পেতে পারি। # রুবেল চাচ্চু। উনার বাসা খাওয়ার হলেই গিয়ে হানা দিতাম।

এছাড়া ট্রাক ম্যানেজ করা এবং বিতরণের ব্যপারে অনেক পরামর্শ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছেন। উনারে ধইন্যাপাতা। # পিয়াস চাচ্চু। উনার বাসায় থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। খানাপিনাও হইছিল ২ বেলা।

এছাড়া উনাকে সবচেয়ে কষ্ট দিছি ঐ শীতে ভোরবেলা উঠে গেট খোলার জন্য ডাকাডাকি করে, এই হাশিখুশি মানুষটারে ধইন্যাপাতা। # ভলান্টেয়ার পার্থ। আমাদের ভিতর অন্যতম আ্যকটিভ মেম্বার। তার কন্ট্রিবিউশন সবার ভিতর উদ্যম বাড়াতে সহায়ক ছিল সবসময়। আর তার নিবেদিত মানসিকতা অবশ্যই সবার মনে থাকবে।

পার্থকে জাঝা। # ভলান্টেয়ার সামিন। রংপুরে তো বন্ধুবরের কল্যাণেই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হল। # ভলান্টেয়ার রাজু ভাই। এবারও আমাদের সবচেয়ে পরিশ্রমী আর ফিচারড মেম্বারের ট্রফি তার ঝুলিতে।

# ট্রাক ড্রাইভার ভুট্টো। তিনি সবারই মন জয় করে নিয়েছেন। স্পট সিলেকশন পুরোটাই তার হাতে ছিল। এবং সারাটাদিন এতটুকু বিরক্তিও প্রকাশ করেননি। এবার ভবিষ্যত পরিকল্পনায় আসা যাক।

আমরা খুব ডেসপারেটলি আমাদের অর্গানাইজেশনের জন্য একটা নাম খুঁজছি। আমাদের কাজ হবে এরকম কাজ করা পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করা। এবং প্রতিবার একই ধরনের কাজ করব এমন কোন কন্ডিশন নেই। তাই প্লিজ আমাদের অর্গানাইজেশনের জন্য একটা নাম সাজেস্ট করুন এবং আমরা আরো কি করতে পারি সে ব্যপারে পরামর্শ দিন। আমরা স্বপ্ন দেখি অনেক বড় কিছু করার।

সে লক্ষ্যে ছোট ছোট পদক্ষেপে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। আমাদের প্রেরণা আপনারা, আমাদেরকে সফল করেছেন আপনারা, যারা সচেতন, যাদের একটা হৃদয় আছে। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের হৃদয়ের অনুভুতিটাকে মুল্য দেই। দেখবেন মাঝে মাঝে বাস্তবতাকে বুড়ো আঙ্গুলও দেখানো যায়। আর আমাদের লক্ষ্য যে সচেতনতা সৃষ্টি আর সুন্দর একটা সমাজের পথে সূচনাটা গড়ে দেওয়া সেব্যপারে বলতে চাই , কোন পরিবর্তনই রাতারাতি হয়না।

সবকিছুই একসময় শূণ্য থেকে শুরু হয়, আর "কোন কিছু শুরু না হলে সেটা শেষ হওয়ার কোন আশা নেই" । সবাইকে আরেকপ্রস্থ ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য, অণুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য, শুভ কামনার জন্য। এবং আরো ধন্যবাদ আমার সাথে স্বপ্ন দেখার জন্য। স্বপ্ন দেখুন সেই সাথে বাস্তবায়নের উপায় খুঁজুন।

আল্লাহ্ সবার মঙ্গল করুন। যেকোন তথ্যের প্রয়োজনে- E-mail address: Cell no.: 01911514333, 01672784489 চোখ রাখুন নিশ্চুপের ব্লগে।
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.