আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুড়িগঙ্গার কালো রং পরিবর্তন হতে যাচ্ছে কি?

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

বুড়িগঙ্গা থেকে বর্জ্য অপসারণ শুরু -- দৈনিক প্রথম আলো 7/1/10 শুরু হলো বুড়িগঙ্গার পলিথিন অপসারণ ...বিডি নিউজ ২৪ এর নিউজ ০৬/১/১০ প্রাণে যেন হু হু করে এক পলশা কল্প বাতাস বয়ে গেলো। নির্ভেজাল প্রশান্তি মাখা। মনে পড়ে যায় শৈশবের বুড়িগঙ্গার তীর। কত বিকেল..কত সন্ধ্যা সুর্যটা ডুবে যেত স্বচ্ছ পানির ঢেউ এড়িয়ে ঐ ওপারে..মনে পড়ে .নুড়ি বালুর উপর দিয়ে নদীর কূল ঘেঁষে হাঁটার স্মৃতি গুলো। গোপনে লুকিয়ে কাপড় নিয়ে চলে যেতাম ছুটির কোন এক সকালে , সাঁতার জানতাম না তবুও এক আকর্ষনে নেমে যেতাম বুড়িগঙ্গার জলে।

তারপর বন্ধুরা মিলে দাপাদাপি। খুব দ্রুত তারপর দেখতে দেখতে সময়ের আবর্তে ঘোলা জলখানি হয়ে উঠল কালো নোংরা ড্রেনের বন্ধ জলের বড় এক আধার। ছিঃ ছিঃ ছাড়া কোন বিশেষণ দর্শকের মনে আসেনা ঐ বুড়িগঙ্গার জন্য। অথচ নদীটার কি দোষ....দোষটা আমাদের। আমার আপনার সবার কম বেশি।

মনে পড়ে আজ থেকে ১৩/১৪ বছর আগে জীবনের প্রথ ফিচার লিখেছিলাম একটা সাপ্তাহীক ম্যাগাজিনে প্রিয় বুড়িগঙ্গার দূষন নিয়ে। কালো জল তার কি বিশ্রী। কি লজ্জা। তারপর কেটে গেছে এতটা বছর। নোংরা হতে হতে পানি এখন ঘন কালো হয়ে উঠছে।

দেখলেই একটা ছোট বাচ্চাও বোঝে ওটা জল নয়, নোংরা আবর্জনার স্তুপ। একটু তরলতা যা আছে মাত্র। উপরের নিউজগুলো মনে প্রশান্তি আনে। যাক নদীর মৃত্যকাল ঘুচতে যাচ্ছে। প্রাণ আসতে যাচ্ছে নদীর গর্ভে।

তলদেশে ১২/১৩ ফুট পলিথিন আর মানব বর্জ্য। উফ! কিভাবে নিশ্বাস নেবে নদীটা। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলট প্রকল্প নেয়া হয়েছে, কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি এই পাইলট প্রকল্প ফলপ্রশূ প্রল্প হযে উঠবে ধীরে ধীরে । লুটপাট যে হবে না এ দেশে তা অল্পনীয়।

তবুও নদীর জলটা কালো রংটা পরিত্যাগ করতে পারলেই নিশ্চয় আমরা খুশি হব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.