আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে কারোর কোনো ভুল-ভাল মতের অমতে কেউ কথা বললেই তারে “নব্য রাজাকার” / “রাজাকারের দোসর” বলে দিলেই নিজেরে মুক্তিযুদ্ধ-চেতনা ধারি বইলা ঝাহির করা যাবে!!!!

তাই বলতে চেষ্টা করি...যা আমি বিশ্বাস করি এবং যা আমার মনে হয়......এর বেশি না। দল-মত নির্বিশেষে কোনো অজাত রাজাকারই ফ্লাগ উড়িয়ে VIP বেশে সামনে দিয়ে যাওয়া দুরের কথা হরামীদের বেচে থাকার অধিকারই নাই-সোজা ফাসি চাই। কথা হলো যেন কেউ রক্ষা না পায় স্লোগান আর বিচার থেকে। পছন্দের রাজাকারদের মন্ত্রী আর অপছন্দের রাজাকারের ফাসি দিলেই দেশ রাজাকার মুক্ত হবেনা। এই দাবী উপেক্ষা করার মতো না।

এতে কোনো অতি উৎসাহী তথাকথিত দেশ-প্রেমী আমারে বা আমি কেন্দ্র্রীক কাউকে নব্য রাজাকার নামে উপাদী দিলেও, কোনো সমস্যা নাই। জামাত শিবির ইসলামের নামে রাজনীতি করে ধর্ম নিয়া হট্টিমাটিম খেলা খেলছে এবং রাজাকাররা মুসলমানদের(সত্ত্যিকারের ইসলাম-ধর্মে এই-সব আকাম করতে বলে নাই) বেশ-ভুষায় আকাম করছে, তাদের অপরাধের বিচার করা উচিত, কিন্তু তাই বলে না বুঝে ক্ষামাখা বেকুবের মতো স্ব-ধর্ম বিরোধিতা কাম্য নয়। আমি বিচারের(যুদ্ধপরাধীদের ফাসি) পক্ষে, কিন্তু তা করতে যাইয়া স্ব-ধর্ম বিরোধিতার(ধর্মের আইন-কানুন যতই আমি না মানি) প্রতি আমার আজীবন সমর্থন থাকবেনা। আমরা দেশের অনেক আইন আমান্যকারী(মানার চেষ্টা করিনা বা মানিনা-যেমন, পাবলিক প্লেসে প্রকাশ্যে ধুমপানের জরিমানা না দেওয়া) হওয়া সত্বেও দেশদ্রোহীতা যেমন সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নাই, যতই আমরা দুর্বল দেশ হইনা কেন !! তেমনই ধর্ম কম-বেশি অমান্যকারী(সব পালন করতে পারিনা অথবা বুঝি না-যেমন, ওয়াক্ত মতো নামায না পড়া) হওয়া সত্বেও কাছেও ধর্মদ্রোহীতা সহ্য করার মতো না, যতই সাধারন ভিতু মানুষ(নাস্তিকদের মতে ভিতু মানুষরাই ধর্ম পালন করে) হইনা কেন!! এতে কোনো অতি উৎসাহী তথাকথিত দেশ-প্রেমী আমারে বা আমি কেন্দ্র্রীক কাউকে মৌলোবাদী নামে উপাদী দিলেও, কোনো সমস্যা নাই। শাহবাগ-প্রজন্ম চত্বর কেন্দ্র করে যে আন্দোলন ঝারি আছে তার মৌলিক উদ্দ্যেশ্যের প্রতি সমর্থন আছে, তারপরেও…. ==>> আন্দোলনের পরিনতির সফলতার সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হয়, যখন যাদের কাছে বিচার চাওয়া হচ্ছে(সরকার-আওয়ামলীগ) তারাই এই আন্দোলনে সাথে সংগহতি প্র্রকাশ করে, কারন যতই “ফাসি, ফাসি, ফাসি চাই” বলে স্লোগান দেই না কেন—যুদ্ধপরাধীরা তো আর নিজে নিজে দড়িতে লইটকা ফাসি দিবেনা, সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে, আর সেখানে…..।

==>> আন্দোলনের লিডারদের মতিগতি নিয়া খটকা লাগে, যখন দেখি সমান রাজাকার হিসাবে পরিচিত এবং দোষী হওয়া সত্বও স্লোগানে আন্য সবগুলান রাজাকারদের সাথে সাথে আওয়ামলীগের ভিতরকার রাজাকার মখা কিংবা মোশারোফের নাম নেওয়া হচ্ছে না। ==>> আন্দোলনের একান্ত উদ্দ্যেশ্য “যুদ্ধপরাধীদের ফাসি” হওযা সত্ত্বেও লিডারদের কিছু কিছু (ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের) স্লোগান আমার সেনসিটিভ অনুভুতিতে আঘাত আনে, বিশেষ করে কিছু লিডিং-পারসনদের প্রকাশ্যে ধর্ম নিয়া বিকৃতি(যার ভালো লাগে ধর্ম পালন করবে, যার ভাল লাগবেনা করবেনা। সোজা ব্যাপার। অহেতুক ধর্ম নিয়া খুচাখুচি-বিতকৃত কথাবার্তা কেনো?) করার প্রবনতা দেখার পরে। জামাত-শিবির বন্ধ করার দাবী করা এক-কথা, আর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবী করা অন্য জিনিস।

সরকার কেমনে করবে তা সরকারকেই পথ বের করবে, তাই বলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করে নয়। জামাত ইসলাম ধর্ম নিয়া খেল-তামাশা করছে বলে অন্য কারও সৎ ভাবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করতে পারবেনা, তা কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারেনা। এবং এই ধরনের দাবী আন্দোলেনর মৌলিক দাবীকে প্রশ্নবৃদ্ধ করে আন্দোলনেকে আজকে না হয় কালকে দ্বীধাবিভক্ত করে দিবে। মৌলিক উদ্দ্যেশ্য বিফলের এই ক্ষতি পুরনের নয়। সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন দেখি তথাকথিত শিক্ষিত কিছু আহাম্মক ইসলাম ধর্ম মানেই জামাত শিবির এবং ইসলাম ধর্মের সাথে গর্দভের মতো রাজাকারদের সম্পর্ক খোজে।

ধর্ম বড় না দেশ বড় তা নিয়া বিতর্কে না করাই ভাল। নিজস্ব চিন্তার দৃষ্টি-ভঙ্গীর পরিপেক্ষিতে কারও কাছে যেমন দেশ এগিয়ে, আবার কারোও কাছে ধর্ম। শাহবাগ-প্রজন্ম চত্বর কেন্দ্র করে যে আন্দোলনে সক্রীয় অবস্থান করার পরে আমার সার্বিক মনোভাব, হয়তো কম-বেশি আমার মতো অনেকেরই একই না হলে কাছাকাছি মনোভাব পোষোন করে। সমস্যা হলো “তুমি কে, আমি কে!! বাঙ্গালী, বাঙ্গালী” স্লোগানের সাথে সাথে আমদের সমাজের তথাকথিত এক-ধরনের অতি-উৎসাহী দেশ-প্রেমীরা ধরেই নিছে যে, তারা শাহবাগ-আন্দোলনের উদ্দ্যেশ্য কি হওয়া উচিত তা না বুঝে ভুল-ভাল বলবে, আর অন্য কেউ তা বুঝাইতে চাইলে অথবা তার মতো করে বলতে চেষ্টা করলেই তারে “তুই রাজাকার” বলে দিলেই নিজেরে সেই লেভেলের মুক্তিযুদ্ধ-চেতনা ধারি বইলা ঝাহির করা যাবে। এবং তাই করা হচ্ছে এখন।

ভুল-ভাল মতের অমতে কেউ কথা বললেই তারে নব্য-রাজকার কিংবা রাজাকারের দোসোর অথবা মৌলোবাদী বলে ট্রিট করা এক প্রকার অসুস্থ ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে এক-ধরনের “তথাকথিত” দেশ-প্রেমীদের কাছে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.