আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গল্পটা লক্ষী পেঁচা কিংবা এক আশির্বাদ বাহকের

আমাদের ছড়া গুলো সমাজের আয়না,যার কাছে কোন কিছু ঢেকে রাখা যায়না!

ছেলেটা পশু পাখিদের ততটাই ভালোবাসতো যতটা ভালোবাসলে খুব সহজেই ওরা আপন হয়ে যায়, এবং ওর মা ছিল এ ব্যাপারে আরও এগিয়ে যদিও তারা তৈরি করেনি কোনো চিড়িয়াখানা কিন্তু তাদের বাড়িতে ছিল বেশ কয়েক ধরনের পশু পাখি । এর মধ্যো অনেক পশু পাখি এমন ছিল যাদের পাওয়া হয়েছে হঠাৎ করে, তেমন এক পাখি হচ্ছে লক্ষি পেঁচা, পেঁচা মানেই অশুভ প্রতিক তবে এই পেঁচা টাকে লক্ষি বলতেই হবে, শুধু ওরা নয়, যে দেখবে সেই এটাকে লক্ষি বলবে, এক রকম ইচ্ছে করেই ধরা দেয় এই পেঁচাটা, এটাকে ধরার পর থেকেই ছেলেটা লক্ষ করে এক অন্য অনুভূতি যা ভিষন ভালো লাগার, সব চেয়ে অবাক করা বিষয় হলো পেঁচাটার চাহনি, এটা যারা না দেখেছে তারা কিছু্ই বুঝবেনা যে কতটা মায়া আছে ওর চোখে, পেঁচাটার চোখে যে একবার চেয়েছে সে খুব তারাতারি চোখ ফিরিয়ে নিতে পারেনি , অসম্ভব রকম মায়াভরা চোখে ও তাকেয়ে ছিল ছেলেটার দিকে, মনে হচ্ছিল চোখ দিয়ে এর মনের সব ভাষা বুঝে নিচ্ছে পাখিটা । পেঁচাটার শারীরিক গঠনও ছিল সম্পুর্ন আলাদা । ছেলেটার মা খুব করে চাচ্ছিল এই অসম্ভব মায়াভরা চোখের লক্ষি পেঁচা টাকে পুষে রাখতে, কিন্তু ছেলেটার মনে হচ্ছিল এ পাখি পোষার জন্য না একে ছেড়ে দিতে হবে, যদিও এ পাখিটার চোখের মায়ায় পরে গিয়েছে ও তবু ও ভাবলো এ পাখিটাকে খাচায় পুষে রেখে যতটা ভালো লাগবে তার ছেড়ে দিলেই অনেক বেশি ভালো লাগবে, ... আর কিছু না ভেবেই ও ছেড়ে দিল মায়াভরা চোখের লক্ষিপেঁচা টাকে ওর মা এবং ঘরের অন্যরা যদিও এটা চয়নি তবু ছেলেটা এটা করলো, কারন ও ভারলো এতে করে হয়তো ওর কোন ভালো হবে । এবং ওর ভাবনাটাই সত্য হলো একসময়, খুব দ্রুত ওর চাহিদা গুলো পুরন হতে লাগলো যা এর আগে ও কখনও পায়নি কিন্তু চেয়েছিল, ও পেল খুব ভালো একটা চাকরি যা দিয়ে খুব সচ্চল ভাবেই চলে যাবে ওদের সংসার, আরও পেল এমন মর্যাদা যা ওর চাহিদারও উপরে আর এমন এক বিষয় পাওয়ার নিশ্চয়তা যা ও চেয়েছিল অনেক দিন ধরে । আর সেটা হলো ওর মনের মানুয়ের সন্ধান । আর কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক ও নিজে বিশ্বাস করে যে এসব সেই লক্ষিপেঁচা রুপি আশির্বাদ বাহকের জন্য , আর তাই ধন্যবাদ সৃষ্টাকে এমন একজন আশির্বাদ বাহককে পাঠানোর জন্য ।।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।