আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমের উৎপত্তি ও উপকারিতা

হ্যানিম্যান

আম খেতে কে না ভালবাসে। স্বাদে গন্ধে আম এদেশের একটি সেরা ফল। আমকে ফলের রাজাও বলা হয়। ল্যাংড়া, ফজলী, ক্ষীরসাপাতি, হিমসাগর , গোপালভোগ, মিসরিভোগ, গোপালখাস, কোহিতোর, লক্ষণভোগ, বোমবাই, আলফানসো, লতাবম্বে, গোপালকোহিতুর, কিষাণভোগ, দিলসাদ, কুয়াপাহাড়ী, রানীপছন্দ, শাহপছন্দ, মোহনভোগ, আশ্বিনা, কাঁচামিঠা, বারোমাসী, আরো কত নাম না জানা আম বাংলাদেশেই পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সর্বত্র আম জন্মায় ।

দেশের উত্তর অঞ্চলের রাজশাহী, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া ও যশোরে উন্নত জাতের আম পাওয়া যায় । চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচুর পরিমাণে উন্নত জাতের আম জন্মে । বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৬ হাজার হেক্টর জমিতে ভালো জাতের আমের চাষ হয় । এর মধ্যে রাজশাহীতে ৯৭৬৫ হেক্টর , দিনাজপুরে ৩৭৫৮ হেক্টর , রংপুরে ৩২৪৮ হেক্টর এবং কুষ্টিয়ায় ১৫১৯ হেক্টর জমিতে ভালো জাতের আম জন্মে । ফল এবং গাছের গুণ ও বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে বিজ্ঞানীরা প্রায় আড়াই হাজার আমের জাত পেয়েছেন ।

একই জাতের আম স্থান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত হতে দেখা যায় । যেমন বাংলাদেশের ক্ষীরসাপাতী পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন স্থানে হিমসাগর নামে পরিচিত । নানা আকৃতির ও নানা স্বাদের আম পাওয়া যায় । যেমন গোল, লম্বা, পাঁচেরআকৃতি বিশিষ্ট এবং হলুদ , গাঢ়হলুদ , ঈষৎ হলুদ, সিঁদুরে, সবুজ প্রভৃতি রঙের আম দেখতে পাওয়া যায় । স্বাদের দিক থেকে আম টক, মিষ্টি, আঁশযুক্ত, আঁশহীন, তীব্রগন্ধী, মধুগন্ধী হয়ে থাকে ।

অনেকে মনে করেন মালয় অথবা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আমের উৎপত্তি স্থান। মহাবীর আলেকজান্ডার খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে সিন্ধু উপত্যকার আম বাগানের কথা উল্লেখ করেছেন । সাধক কবি আমীর খসরু তাঁর কাব্যে আমের কথা বলেছেন। সম্রাট আকবর বিহার প্রদেশের দ্বারভাঙ্গা জেলায় ’লাখবাগ’ নামের আমের বাগান তৈরি করেন। এই বাগানে ছিল একলাখ আমের গাছ।

আমে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন এবং ভিটামিন বি ও সি , স্বেতসার , আমিষ ও খনিজ পদার্থ আছে। আম কাঁচা পাকা উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়। প্রাচীন চিকিৎসা মতে কাঁচা আম পিত্তকর এবং পাকা আম মানুষের রং উজ্জ্বল করে ও শক্তি বৃদ্ধি করে । আমাশয়, বমি বমি ভাব এবং অকালে দাঁত নড়লে কচি আম পাতার রস ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।