আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দানব সুন্দরীর নাচ


চোখের শিরায় কে ছড়িয়ে দিয়েছে মরফিনের আবেশ যখন আমার মায়ের উন্মাদনা আমার হৃদকম্পে আনে উন্মত্ততা। আত্মার গহীনে বসে থাকা শ্বাপদ - পশমে ঢাকে বেড়ে চলা নখর যখন পৃথিবীর সব মন্দির যেন বন্ধ্যানারী আর অবতারের অন্ডকোষে সাঁতরে বেড়ায় কয়েক লক্ষ বেশ্যার যোনী। মুদ্রা-মোড়ানো কুকুর; লক্লকে জিহ্বায় বসে থাকে বিশ্বাসের ফটকে। হায়! এখানে পুরুষত্বের হিংস্র গোঙানী আমাকে করে ধ্বজভঙ্গ পুরুষের শামিল। যখন চাঁদের হিম রক্তের উষ্ণতায় জ্ব’লে যায় সূর্যের শীতল প্রদীপ।

মহাশূন্যের অনন্ত-প্রসবিনী জরায়ুতে ঈশ্বর-প্রসব এখনও অসমাপ্ত তবু তা দেখেই; জানালায় জানালায় কুমারীরা গায় পবিত্র কৌমার্যের গান অথচ পৃথিবীর কুমার-ঈশ্বরেরা অপাংক্তেয় তাদের জন্য এখন সংযমের ঔষধি আর পরপারে শুধু অনন্ত সম্ভোগ। এইসব প্রহসন স্বপ্নে দে’খে ঊষায় হাসে পাখিদের কোমলকণ্ঠ যেন দগ্ধ উনুন থেকে চিম্নি বেয়ে ওঠে ধোঁয়ারকুন্ডুলী। হায় কবি! তোমার চিম্নীতে বসে আছে নি:সঙ্গ সমকামী তাকে বসে থাকতে দাও; যেন ছড়ায়ে না যায় ইথারে ইথারে - ভেঙ্গে আদিম প্রেমেরনিক্তি। চারদিকে সব ভুল শক্তির প্রসবিনী - যাদের মুকুটে বিপর্যস্ত শির যুদ্ধের রক্তের রেশমী বুননে জানালায় ঝোলায় অভেদ্য পর্দা তেলের কারবারী আর হাড়ের হাতিয়ারে -আত্মার গতি; কুঁড়ায় শুধু জড়ের অনন্ত শক্তি। সাগরের স্রোত থামিয়ে দিয়ে হৃদয়ের গহীনে - নীলিমায় রাঙানো পারমাণবিক সন্ধি পিতা-সূর্যকে মানুষের মজ্জায় কয়েদ ক’রে - দিগন্ত পাহারা দেয় পোষ্যতার সারমেয়।

এই পৃথিবী যেন এক নিত্যশ্মশান - জীবন্তের চিতার দাহে উদগ্রীব ধর্মের পুরোহিত পুরুষের সমস্ত শক্তি নিংড়ায়ে নিয়ে - যেখানে চিতাগ্নির জলসায় নাচে যৌনতার বিভীষিকাকে ঐশী ভেবে - সব দানবিক সুন্দরীর ভস্ম প্রতিমূর্তি। (এটি আমার ১ম কবিতার বই নৈঃশব্দের মৃত্যু হতে দেওয়া হলো)
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।