আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুহাম্মদ (সা শ্রষ্ঠে রাজনীতিবীদ ।

আমি সত্যে বিশ্বাসী।

"জেগে ওঠ সাবধান কর এবং তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষনা কর” এই কথাকে পুজি করে রাসুল(সা তার জীবনের সকল শ্রম কাজে লাগিয়েছেন। তিনি ঐ সমস্ত অন্ধকার জাতিকে দাওয়াতের মধ্যেমে আলোর জাতিতে পরিনত করছেন। রাসুল (সা এর দাওয়াতের ফলে তিনি একজন শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ককে পরিনত হলেন। আজ তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট।

আল্লাহ পাক বিশ্বনেতা রাসুল (সা) কে তাগুতি শক্তির হাত থেকে সমাজ কে মুক্ত করে আল্লাহর সর্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিশ্বমানবতার নিকট প্রেরন করেন। আধ্যাতিক সাধক সম্রাট রাসুল (সা আল্লাহর নির্দেশে সমাজের অশান্ত মানুষকে সান্ত করা,অত্যাচারিত কে অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা করা,নারীর বন্বিচত অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, শ্রমিকের ন্যয্য মুল্য আদায় করা ইত্যাদির জন্য গ্রহন করলেন এক অনুপম কর্ম কৌশল । তিনি মানুষের কাছে তুলে ধরলেন ইসলামের সুমহান জীবন পদ্ধতি। তিনি এমন একটি সমাজে জম্ম নিলেন। এবং সেই সমাজে তিনি দেখতে ফেলেন জুলুম নিপীড়নে মুমুষু আতœাধুকছে ।

দেখত ফেলেন অগনিত মজলুম জনতার আহজারী আর আতœনাদ । তিনি আর ও দেখতে ফেলেন বুভুক্ষ মানুষের করুন হাহাকার,মদ,জুয়,সুদ, হত্যাকান্ড ও পারের অধীকার হরনের জন্য সমাজ জীবন ক্ষত বিক্ষত। তখনি তিনি চিন্তা করলেন কি ভাবে বর্তমান সমাজ কে পরিবর্তন করা যায়। তাই মক্কার মানব রচিত সে সমাজ ভেংগে চুরে একাকার করে দিলেন। আর সেই স্থানে আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করলেন ।

আর সেই সমাজের সংবিধান হিসাবে গ্রহণ করলেন আল কুরআন মক্কার প্রতিকুল পরিবেশকে মুকাবিলা করার মত মুহাম্মদ(সা এর হাতে কোন সয়সম্ভল নেই,নেইতেমন জনশক্তি,নেই কোন আর্থিক অবস্থা। একমাত্র পুজি ছিল একহাতে আলোর মশাল মহাগ্রন্থ আল্ কুরআন এবং অপর হাতে মহা সত্যের ডাক । অন্য দিকে তার সততা ন্যায় নিষ্ঠা ও অনুপম চরিত্রের মার্ধযে আকৃষ্ঠ হলো জনতা। তাই দেখা যায় অমানিশায় ঘোর অন্ধকার কাটিয়ে জেগে উঠল সত্য সন্ধানি পথ ভ্রষ্ঠ মেহনতি জনতারা। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা এর সুমহান কৃতকর্মকান্ড দেখে তার সুমহান ডাকে সাড়া দিলেন তখনকার ধনাঢ্য আদম সন্তান হযরত খাদিজা (রা অনত্র জেগে উঠলেন ধানবীর হযরত আবু বকর , সাড়া দিলেন শক্তিশালী যুবক হযরত আলী (রা একই ভাবে বহু আদম রাসুল (সা কে সহযৌগিতা করলেন ।

তিনি আল্লাহর দেওয়া পথ ও পাথেয় অবলম্ভন করলেন। “তোমরা পরস্পর সংঘবদ্ধ ভাবে আল্লাহর রজ্জুকে (ইসলাম)কে আকড়ে ধর এবং বিচ্ছিন্ন হইওনা” তার এই ডাকে সাড়া দেওয়া ব্যক্তি বর্গদের কে একত্র করে একটি দল গঠন করলেন। এই দলের মাধ্যামে ইসলামকে ছড়িয়ে দিলেন মক্কার অলিতে গলিতে। সিংহদীল মুসলিম জনতা ঝাপিয়ে পড়লেন ইসলামী আন্দোলনে,ইসলামকে প্রচার ও প্রসারের কাজে । অন্যদিকে আতংক ও শস্কি হলেন তখনকার ধর্মনীরপেক্ষ বাদীদের অনুসারী আবু জেহেলের গোষ্ঠীরা , সাথে সাথে শুরু করে দিলেন অত্যাচার আর নির্যাতন ।

সাহাবীগন ধৈয্যর শীতল ছায়ায় নির্বাপিত করতেন তাদের উপর নিপতিত জুলুমের আগুন । নির্যাতনের মাত্র বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বনেতা আল্লাহর আদেশে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করলেন। রাসুল (সা) মদীনায় এসে একই ইসলামের দাওয়াত প্রচার করলেন। এবং প্রতিষ্ঠা করলেন একটি ইসলামী রাষ্ট্র। আর সেই রাষ্ট্রের সকল জনতার সর্বসম্মতি ক্রমে তিনি হলেন প্রেসিডেন্ট ও রাষ্ট্র প্রধান।

শুরু করলেন রাষ্ট্র পরিচালনা,রাসুল (সা) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্রকে সুসংহত করার জন্য ইয়াহুদি,খৃষ্টান ও পৌত্তলিকদের কে সাথে সহ অবস্থানের নীতি সম্মলিত একটি সনদ রচনা করলেন। যাহা “মদীনা সনদ” নামে খ্যাত। ইতিহাসে ইহাকে প্রথম লিখিত সংবিধান বলা হয়। রাসুল (সা) মদীনা সনদ রচনা করে ধর্মহীনতা বা ধর্মনীরপেক্ষ তার হাত থেকে বিশ্ব মানবতাকে বাচার পথ খুলে দিলেন। অনত্র বলা যায় একটি রাষ্ট্র তখনি শান্তি বিরাজ করতে পারে যখনি সে দেশের পররাষ্ট্রনীতি,অর্থনীতি,সমাজ কাঠামো রাসুল (সা) এর আর্দশে পরিচালিত হয়।

এবার তিনি তার রাষ্ট্রেয় প্রশাসন কি ভাবে পরিচলনা করলে এবং কাকে কি দায়িত্ব দিলেন। রাসুল(সা) শ্রেষ্ট্র প্রশাসক হিসাবে অতুলনীয় প্রতিভাধর ছিলেন। আর তিনিই সর্বপ্রথম সচিবালয় স্থাপন করলেন। ইসলামী রাষ্ট্রের সুন্দর প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য বহু বিভাগ এবং উপবিভাগ স্থাপন করেন। আর প্রতিটি বিভাগ রাসুল (সা) এর প্রত্যক্ষ তত্বাবাধানে পরিচালিত হতো।

আসুল নিন্মে রাসুলে আকরাম (সা) এর সচিবালয় গুলোর বিবারণ দেখা যাক। *রাষ্ট্র প্রধানের ব্যক্তিগত বিভাগ:- রাসুল (সা) ছিলেন মদীনার ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান। হযরত হানজালা বিন আনবারী ছিলেন রাসুলের একান্ত সচিব। *সীল মোহর বিভাগ:- এ বিভাগের দায়িত্বশীল ছিলেন মুকার ইবনে আবি ফাতেমা (রা) রাসুল (সা) এর সীল মোহর বা আংটি টি তার নিকট সংরক্ষিত থাকত। *অহী বিভাগ: এ বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ঠদের কে কাতিব বলা হত ।

হযরত ওসমান (রা) ও আলী (রা) এ দায়িত্ব পালন করতেন । তাদের অনুপস্থিতিতে উবাইব ইবনে কাব (রা) যায়েদ ইবনে সাবিত (রা)অহী লিখার দায়িত্ব পালন করতেন। *দাওয়াতী বিভাগ:-এ বিভাগে সম্পুন্নরুপে রাসুল (সা) এর নিয়ন্ত্রনে ছিল তিনি স্বয়ং প্রশিক্ষণ দিয়ে দায়ী (প্রচারক)দেরকে বিভিন্ন জাতি বা গোত্রের নিকট প্রেরণ করতেন। দায়ীদের দায়ীত্ব ছিল দ্বীনের আহবান পৌছানো ও দাওয়াত কবুল কারী নও মুসলিমদের কে বিধিবিধান শিক্ষা দেয়া ও তাদের যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা। * হিসাব রক্ষণ বিভাগ:- সরকারী আয় ব্যয়ের সঠিক সংরক্ষনের জন্য রাসুল (সা) সংরক্ষন বিভাগ চালু করেন।

রাসুল স্বয়ন এ বিভাগের কাজের তদারক করতেন। যাকাত ও সাদাকাহ বিভাগ:- যাকাত ও সাদাকাহ বাবদ যে অর্থ বা মাল সংগৃহীত হত রাসুল (সা) এর নিদের্শে তার হিসাব সংরক্ষণ করতেন যুবাইর ইবনুল আওয়াম ও যুবাইর ইবনে সালাত। বিচার বিভাগ:-রাষ্ট্রের প্রধান হিসাবে রাসুল (সা) ছিলেন বিচার বিভাগের প্রধান এ ছাড়া ও হযরত আলী (রা) ও মুআজ ইবনে জাবাল (রা) রাসুল (সা) কর্তৃক বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। রাসুল (সা) প্রশাসনিক কার্যক্রম সহ বিচার কার্য সস্পাদন করতেন। প্রতিরক্ষা বিভাগ:- রাষ্ট্রের সার্বিক প্রতি রক্ষার স্বার্থে ইসলামী বিপ্লরের সংঘাতময় মুকাবিলা করার জন্য রাসুল (সা) প্রত্যেক নাগরিক কে সুদক্ষ সৈনিক হিসাবে গড়ে তুলে ছিলেন।

মদীনা রাষ্ট্রে কোন বেতন ভোগী সেনাবাহিনি ছিলনা। প্রযোজনে প্রত্যেক সক্ষম মুসলমানই মুজাহিদ হিসাবে রনাংগনে হাজির হতেন। সমরাস্ত্র নির্মান বিভাগ:-খোদাদ্রোহিদের সাথে মোকাবিলার জন্য তরবারী ,তীর ধনুক, ঢাল, বল্লম, ক্ষেপনাস্ত্র ইত্যাদি জরুরী যুদ্ধান্ত তৈরি ও সংরক্ষণ কার্যাদি এ বিভাগে কর্তৃক সম্পন্ন হত। নগর প্রশাসন বিভাগ:- হযরত ওমর (রা) এ বিভাগের দায়িত্ব নিয়োজিত ছিলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ: প্রশাসনিক সুবিদার জন্য মদীনা রাষ্ট্রের সমগ্র অধীনস্থ এলাকা কে কতগুলো প্রদেশে বিভক্ত করা হয় ।

প্রদেশের একজন করে প্রাদেশিক শাসন কর্তা বা ওয়ালী নিযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ও ক্ষুদ্র ক্ষদ্র এলাকা বড় বড় গোত্রের উপর স্থানীয় সরকার প্রদান ছিলেন । রাসুল (সা) এর সময় মদীনা রাষ্ট্রে ছিল সাতশত এলাকা ও গোত্র । মহানবী (সা) এর সুষ্ঠু ও দক্ষ প্রশাসনের কারণেই মদীনায় ছয়বর্গ মাইল বিশিষ্ট ইসলামী রাষ্ট্রের দশ বছরের মধ্যে আটলক্ষ বর্গমাইল বিস্তৃতি লাভ করে। তাই .ডবলিও,এন.এরটি, এর কথাই আমাদের কে মনে করে দেয় ।

রাসুল (সা) তিনটি বিষয়ে সার্বাধিক শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ছিলেন। যা ততকালিন সময়ে খুবই বিরল ছিল। ১.ধর্ম প্রবর্তক হিসাবে তার মেধা। ২. রাষ্ট্রে নায়ক হিসাবে তার বুদ্ধিমত্তা ও.মেধা। ৩. প্রশাসক হিসাবে তার আসামান্য নৈপুন্য।

এই ভাবে প্রত্যেক বিভাগে আল্লা ভীরু তাকওয়াবান লোকের দায়িত্ব পালনের কারণে রাসুলের যুগকে শ্রেষ্ট যোগ বলাহত । এখনো যদি যে কোন ক্ষমতা শীল রাষ্ট্রের প্রধান দেশ ও জনগনের উন্নতি চান তাহলে ফিরে আসতে হবে কুরআনের মতবাদএবং রাসুল (সা) এ মেনিফিষ্টের দিকে । রাসুল (সা) যে রাজনীতি পদ্ধতি দেখিয়ে দিয়েছিলেন তা আমাদের কে মেনে চলতে হবে। তাহলেই সর্বস্থলে শান্তি বিরাজ করবে। দলমত র্নিবিশেষে সন্ত্রাস,র্দুরনীতি সহ সকল প্রকার অপরাধ ক্রমেই বিদায় নিবে।

আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রধান কে রাসুলের আর্দশকে রাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন আমীন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।