আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গঃ ড. মুহাম্মদ ইউনূস



বাংলাদেশের কেহ নোবেল প্রাইজ পেতে পারেন এ ছিল, এ দেশের এবং এতদাঞ্চলের , অনেকের কাছে অকল্পনীয়! তার উপরে তা যদি হয় আবার এ দেশের ‘স্বাধীনতার পক্ষের’ অর্থাৎ ‘বিশেষ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব’ নয় এমন কেহ। মন ও মানসিকতার এমন কাঙ্গালীপনা এতদাঞ্চলের জন্য নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশের কিছু মানুষের কাছে রাজনৈতিক বশ্যতাই যেমন যোগ্যতার এবং উন্নতির একমাত্র মাপকাঠি, বাংলাদেশের এ সকল মানুষ তেমনি আশা করে নোবেল পুরষ্কার বিচারকরা বাংলাদেশের কাকে পুরষ্কার দেবে আর কাকে দেবে না তা তাদের বিবেচনাতেই নির্ধারণ করবে। কিন্তু, এখনকার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার ‘নোবেল পুরষ্কার’ কমিটি তাদের নিজস্ব মাপকাঠীতেই মেধা ও যোগ্যতার বিচার করে যা বাংলাদেশের এ সকল মহলের মনঃপুত নয়! বাংলাদেশে অবশেষে নোবেল পুরষ্কার এলো! বাংলাদেশের মানুষ যারা এই পুরষ্কারের মর্ম বোঝেন এবং যারা বাংলাদেশের সম্মানে নিজেরাও সম্মানিত বোধ করেন, তারা হলেন আনন্দে আত্মহারা! লক্ষপ্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশীদের ললাটে এত বড় সম্মান আর আসে নি! কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের এই মহান পাওয়াকে কলংকিত ও বিতর্কিত করার মত দুরাত্মা এ দেশের মাটিতেও আছে। এরাই সেই দুর্জন যারা এ দেশের যে কোন অর্জনকে তাদের একান্ত ব্যাক্তিগত সম্পদ বলে দাবী করে অথবা সেই অর্জন কিছুই না বলে প্রচার করে। বাংলাদেশের এ মহল এবং এদের বিদেশী সহচররা আমাদের এই নোবেল প্রাপ্তিকেও তাদের হিংসা ও বিদ্বেষের স্তুপে কদাকার করার সকল ব্যবস্থা ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে। এ আচরণের সর্বশেষ নিদর্শন হলো ইদানীংকার ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যাশিং! তবে, এ সব আলামত আমরা সচরাচর দেখি বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে! বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা তেমনি একটা মুহূর্ত বলে প্রতীয়মান হয়।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।