আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌরজগতের সীমানা নিয়ে নাসার নতুন আবিষ্কার

এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
আমাদের সৌরজগতের সীমানা কতটুকু? সেটা কিন্তু এখনও আমরা সুনির্দিষ্টভাবে জানি না। সম্প্রতি এক তথ্যের মাধ্যমে নাসার বিজ্ঞানীরা সেই জানার অনেক কাছে চলে গেছেন। মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা আমাদের এই মানবসভ্যতার মহাকাশ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। শুধু সৌরজগত নয় এর বাইরে কি আছে তা জানার জন্য নাসা এখন পর্যন্ত বেশ কিছু নভোযান মহাশুন্যে পাঠিয়েছে। মানুষ বিহীন এই নভোযানগুলো মহাশুন্যের অসীম প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে পর্যটকদের মত এবং একের পর এক ছবি তুলে পাঠাচ্ছে আমাদের এই পৃথিবীতে।

সেসব পাঠানো ছবিগুলোই আমাদের সামনে খুলে দিচ্ছে বিজ্ঞানের অনেক অজানা অধ্যায়। গত বছরের অক্টোবর মাসে পৃথিবী থেকে মহাশুন্যের উদ্দেশ্যে ছোঁড়া হয়েছিল একটি ছোট নভোযান যার নাম ছিল ইন্টারস্টেলার বাউন্ড্রি এক্সপ্লোরার বা আইবেক্স। এই নভোযানের উদ্দেশ্য ছিল মহাশুন্যের অজানা সীমানাকে খুঁজে বের করা। পৃথিবীকে কেন্দ্র করে একটি সুনির্দিষ্ট কক্ষপথে এই আইবেক্স ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ছবি পাঠাচ্ছে। সম্প্রতি বেশ কিছু ছবির মাধ্যমে নাসার বিজ্ঞানীরা আমাদের এই সৌরজগতের সীমানা সম্পর্কে একটি ধারণা লাভ করেছেন।

ছায়াপথ বা মিল্কিওয়ের কথা আমরা কমবেশি সবাই জানি। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই মিল্কিওয়ের কোটি কোটি নক্ষত্র থেকে যেই তেজস্ক্রিয় রশ্মি আমাদের এই সৌরজগতের দিকে ছুটে আসছে তা থেকে আমাদের রক্ষা করছে একটি বিশাল আকারের বুদবুদ। অর্থাৎ আমাদের এই যে সৌরজগত এবং তার আশেপাশে আরো মহাশুন্য সবকিছুই যেন একটি বিশাল আকারের বুদবুদের মধ্যে অবস্থিত। কিন্তু এই বুদবুদের সীমানা আমাদের জানা নেই। অসীম ছায়াপথের সঙ্গে এই বুদবুদের মিলনস্থল যে জায়গাটিতে হয়েছে সেই জায়গাটির নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন হিলিওপাওজ নামে।

আইবিএক্সের পাঠানো ছবিতে বিজ্ঞানীরা জানতে পারছেন প্লুটোকে ছাড়িয়ে আরো বহুদুর সামনে চলে যাওয়া সুর্যরশ্মি কোথায় গিয়ে মিলিত হচ্ছে এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সঙ্গে। এই মিলনস্থলকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে হয়েছে একটি উজ্জল রংয়ের ফিতা। অর্থাৎ গোটা মহাবিশ্বের ছুটে চলা তেজস্ক্রিয় পদার্থ কণার সঙ্গে সূর্যরশ্মির বিদ্যুতায়িত তরঙ্গ গিয়ে মিলিত হচ্ছে ওই জায়গাটিতে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন সেটিই আমাদের এই সৌরজগতের সীমানা অর্থাৎ এর পর থেকেই শুরু এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের অসীম শুন্যতা এবং মিল্কি ওয়ে। আইবেক্স এর প্রধান অনুসন্ধানকারী বিজ্ঞানী ডেভিড ম্যাককোমাস নতুন এই আবিষ্কার নিয়ে বলেছেন, আইবেক্স এর পাঠানো ফলাফল সত্যি মনে রাখার মত৷ আমরা যা এতদিন ভেবে এসেছিলাম তা ভেঙ্গে দিয়েছে এটি, এবং যা এর আগে কোনদিন দেখা যায়নি।

আমরা মনে করেছিলাম আমাদের পৃথিবী থেকে ১০ বিলিয়ন মাইল দূরে যেখানে আন্তঃনক্ষত্র সীমানা সেখানে আমরা সামান্য পার্থক্য দেখতে পাব। কিন্তু আইবেক্স এর মাধ্যমে আমরা দেখতে পেরেছি একটি ফিতার মত যা আকাশের অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে দুই থেকে তিনগুন বেশি উজ্জ্বল। এই উজ্জ্বল ফিতা গোটা মহাকাশকে সাপের মত করে ঘিরে আছে যা এতদিন পর্যন্ত একেবারেই আমাদের নজরের বাইরে ছিল, বললেন বিজ্ঞানী ডেভিড ম্যাককোমাস। স্বাভাবিকভাবেই নতুন এই আবিষ্কার বিজ্ঞান জগতের নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে এবং আনন্দিত ও উত্তেজিত হয়েছে উঠেছেন নাসা সহ বিশ্বের সকল মহাকাশ গবেষকরা। বিজ্ঞানীরা আরো আশা করছেন আইবেক্স এর নতুন আবিষ্কার বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের মানচিত্র বের করতে তাদের এবার সহায়তা করবে।

এবার হয়তো তারা বিশ্বব্রহ্মান্ডের সেই অসীমতার সন্ধানে নতুন কোন মহাকাশযান পাঠাবেন। তথ্যসূত্রঃ
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.