দেশের শত্রুদের সাথে কোনও আপোষ নেই, হোক সে শিবির অথবা ছাত্রলীগ
"ভাই আপনার মত লোক তো আজকাল সরকারি অফিসে পাওয়াই যায় না, আমার কাজটা একবারে করে দিলেন। "
- "আরও আগেই করে দিতাম, কোনও সমস্যাতো ছিলোনা। নিয়মের ভিতর পড়লে কেন করে দিবো না বলুন? আরও সকালে আসলে আরও সকালেই করে দিতাম। "
"কিভাবে আসব বলুন অনেক সকালে রওনা দিয়েছি, তবুও আসতে আসতে দুপুর পার হয়ে গেল"
-"তাই নাকি! আহা, বসেন চা খেয়ে যান.. মজিদ, চা দে তো এখানে"
"আর বলেন না ভাই, শাহাবাগে যা শুরু হয়েছে না! মানুষের দুর্ভগের শেষ নেই"
-ঞঁ
"ছাত্রলীগের ছেলেপুলে যা শুরু করেছে রাস্তা আঁটকে, আর থাকা গেলো না ঢাকা শহরে। সব গাধার দেশে জন্ম হয়েছে আমার।
"
-ঞঁ
"সবগুলা একসাথে রাস্তা আঁটকে গাঞ্জা টানছে বসে বসে"
--ঞঁ
"শুনলাম ঘন্টায় ঘন্টায় বিরিয়ানি আর টাকাও নাকি দিচ্ছে"
-ঞঁ
"এইসব ব্লগার না কি যেন এদের কি কোনও কাজকাম নাই?"
-ঞঁ
"আন্দোলন তো না যেন পিকনিক হচ্ছে সেখানে, আসল আন্দোলনের কি দেখেছে তারা? শিবির জিহাদ ঘোষণা করলে সব লেজ গুটিয়ে পালাবে"
-ঞঁ
"আপনি বসে বসে হু হা করছেন কেন? আপনার কি মনে হয়? সাইদি হুজুর সহ জাতীয়নেতাদের নিয়ে এমন অপমানজনক কাজ করা ঠিক হচ্ছে? গাঞ্জা খেয়ে আজম স্যার এর নাম মুখে নেওয়াটাই তো পাপ"
-ঞঁ
"তা ভালো মন্দ কিছুতো বলুন"
-"আমি আর কি বলব ভাই, আমি তো সামান্য সরকারি চাকুরে"
"তা বটে, কিছু আওয়ামি দালাল ছাড়া এ নিয়ে কেউ কথা বলছে না। সব সরকারের চাল। "
-আচ্ছা ভাই, নেন চা চলে এসেছে চা খান
লোকটি চা খেল তৃপ্তি করে। আমার সাথে হাত মেলালো। তার পর ফাইলটি নিয়ে হাসিমুখে বের হয়ে গেল চেম্বার থেকে, আমি তখনও বাম হাত দিয়ে আড়াল করে রেখেছি আমার মোবাইলটি।
যা দিয়ে একটু আগে মজিদকে মেসেজ করেছি চায়ের ভিতর আচ্ছা করে টয়লেট থেকে পানি মিশিয়ে দিতে।
ছাগুদের সাথে কোনও আপোষ নেই। সবাই নিজ নিজ স্থান থেকে এর মোকাবেলা করুন। ঘটনাটি গতকাল দুপুরের।
জয় বাংলা।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।