আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বায়ন আসলে কী



আমরা বুঝতে পারছি সময়ের প্রবাহ আর তার দ্রুত পরিবর্তনশীলতা, দূরত্ব ক্রমেই ঘুচছে, এককেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে পৃথিবী। কিন্তু 'বিশ্বায়ন' -- চমৎকার এই শব্দটিকে মতবাদ হিসেবে প্রচার করছে কারা? অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি মূলত ধনী আর শোষক দেশগুলোর দরিদ্র দেশের বাজার দখলের কৌশল। সমাজতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, এ সেই উপনিবেশের নব্য রূপ। সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রয়াস। ধনিক-বণিকরা বুঝছেন বিশ্বায়ন হলো পণ্য আর পুঁজির অবাধ প্রবাহ।

এসবই হয়তো সত্য। কিন্তু ধারণাটাকে তত্ত্ব ভাববার যুক্তি কী, আমি তাই ভাবছি। এর উৎপত্তি নিয়ে আমরা নিশ্চিত জানি যে, এটি এসেছে উন্নত দেশগুলোর মাথা থেকে, যারা মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ না করে যখন বিশ্বায়নের পক্ষে ওকালতি করে তখন সেটা করে নিতান্তই তাদের অর্থনৈতিক বিকাশকে আরো প্রসারের জন্যেই। এর পেছনে আদৌ কোনো সদিচ্ছা আছে কি-না তা নিয়ে গভীর সন্দেহ পোষণ করা যেতে পারে, যদি আমরা ম্যাক্সিকান চিন্তাবিদ ফুয়েন্তেসের দেওয়া এ তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করি : উন্নয়নশীল দেশগুলোর মৌলিক শিক্ষা-চাহিদা পূরণের জন্য ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারই যথেষ্ট, অন্যদিকে কেবল আমেরিকাতেই সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় প্রসাধন সামগ্রীর পেছনে। এটা কী করে মেনে নেওয়া সম্ভব? আজকের পৃথিবীতে, গরিব দেশগুলোর খাদ্য, স্বাস্থ্য এবং পানি সমস্যা সমাধানের জন্যে তেরো বিলিয়ন মার্কিন ডলারই যথেষ্ট।

অন্যদিকে কেবল ইউরোপে সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় আইসক্রিমের পেছনে। এও কি গ্রহণযোগ্য? ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ফেদেরিকো মাইয়র এবং বিশ্বব্যাংকের (সাবেক) পরিচালক জেমস উলফেনসনের বলেছিলেন, ‘এটা মেনে নেওয়া অসম্ভব, যে পৃথিবী অস্ত্রের পেছনে বছরে আনুমানিক ৮০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে পারে সে কি-না প্রতিটি শিশুকে স্কুলে শিক্ষাদানের জন্য প্রয়োজনীয় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার জোগাড় করতে পারে না। ’ বিশ্বব্যাপী সামরিক খাতে ব্যয়ের মাত্র এক শতাংশ অর্থ দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেক শিশুকে ব্লাকবোর্ডের সামনে দাঁড় করানো সম্ভব। আমি বিশ্বায়ন নিয়ে আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাচ্ছি। এর সংজ্ঞা কীভাবে দেয়া যেতে পারে, বিশ্বায়নের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াগুলো কী, এইসব।

বর্তমান পৃথিবীর তুমুল আলোচিত তর্কটা নিয়ে ব্লগে আলোচনা হওয়া উচিৎ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.