আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইচ্ছে: হয়ে উঠা

আমি তোমায় বুঝেছি সমগ্র বুঝহীনতার ভেতর দিয়ে।

জগতকে আমরা যখন দেখি- দেখি বিশেষ কোন ভাবের স্থান হতে। যখন ব্যক্তির কথা বলি, তখন সে ব্যক্তিটি কোন বিশেষ ভাবের স্থান হতেই আমাদের সামনে হাজির হয়। এই ভাবের স্থানটি কে তৈরী করে? কে এর দ্বারা সুবিধা (কোন কিছুকে যত সহজভাবে দেখা যায় তত ভালো) লাভ করে? কোনো ধরনের সচেতনতার ভেতর দিয়ে সে একে দেখে কিনা? যদি বলি এই ভাবের জায়গাটা আমরা নিজেরাই তৈরী করে নিই, তবে তা কখন এবঙ কেন ঘটে? আর যদি তা না হয়? তবে কেন এই প্রশ্নে আসছি? ব্যক্তিকে উচ্চস্থানে রেখে কথাগুলো বলছি, উপায়ও নেই বটে। ব্যক্তিকে নিজ অবস্থান হতে প্রতি মুহুর্তে ভাবতে হয়, দেখতে হয়।

তাকে বলতে হয় – আমি দেখছি, আমি ভাবছি। আমি দেখছি, আমি ভাবছি মানে আমি উপস্থিত , আমি স্বাক্ষী। যে আকারে সে দেখছে তা সঠিক কিনা, সে প্রশ্ন বাদ দিয়েও সে যে দেখেছে তা বলার ক্ষমতা সে রাখে। এই বলতে পারাটাকে এই বলে চিহ্নিত করা যায়, সে বলে অথবা বলতে চায় আমি নিজে হাজির। এই যে বলা সেখানে জগতকে তার বলতে হয়, আমি তোমার সামনে হাজির অথবা তুমিই আমার সামনে হাজির।

এই সামনা-সামনি হওয়া মানে ভাবের আদান-প্রদান। কখনো যদি ব্যক্তিটি জগতের ভাবের সাথে এক হয়ে গেছে দাবী করে, এই উচ্চারনটা উড়িয়ে দেয়া কঠিন। ‌' ’আমি’' ভাবের জায়গায় এসে আমরা যাকে সচেতনতা বলি তার সাথে জগতকে আপাতত এক করার প্রশ্ন আসে না। এর আগে ভাবের বিবর্তন দরকার। এই বিবর্তনের জায়গায় জগত অর্জন সহজ নয়।

তাই সহজে এক করে দেখা অনুচিত। ‘'আমি’' অস্তিত্ত্বের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির উচ্চারণ - তোমাতে আমি। সে নিজেকে বুঝে অপরকে দিয়ে। সে নিজেকে হা’'র ভেতর দিয়ে নিয়ে বুঝে, যেমন- আমি আমাকে জানতে চাই। সে কি 'হা'’কে না করে দিতে পারে? যদি পারার বিষয় হয়, তবে প্রশ্ন হলো সে ব্যক্তি তা চায় কিনা? সে তার অস্তিত্ত্বকে তাৎপর্যপূর্ণরুপে স্বীকার করে নিলে- তার প্রত্যেকটা 'না' আসলে একটা একটা 'হা' হয়ে উঠে।

কারণ সে তার প্রতিটি 'হা' এবঙ 'না’' এর মধ্যে দিয়ে একেকটা সর্ম্পকের জালে নিজেকে আবদ্ধ করে নিচ্ছে। যখন সে বলে, ‘আমি নাই’। এটা কি সম্ভব? সম্ভব। তখনই সম্ভব, যখন '‘না'’ হওয়াটাই ব্যক্তির ইচ্ছাকে অনিবার্য করে তোলে। এই হলো অভাব বোধ।

না, যে অর্থে মানুষ পরিপূর্ন নয় সে অর্থে এই অভাববোধ । ব্যক্তি যখন সম্পূর্ণতায় নিজেকে গ্রাস করতে দেয়- তাহলো ভালোবাসার অলিঙ্গন, বোঝাপড়ার আলিঙ্গন। সে শূন্যে ঝাঁপ দিলো, আসলে নিরুপায় হয়ে নয়- বরঙ সে নিজেকে অনুধাবন করছে। অর্থ্যাৎ ইচ্ছের মধ্যে আস্থা আছে। এইখানে তার উত্তরন ঘটছে।

আবার, সে আমাকে বলে ঘটনা হলো এই এই। কি আকারে আমি আপনাকে বর্ণনা করব? এরপর সে মীমাংসা। আপাতত ক্লান্ত লাগছে...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.