আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হার্ড ডিস্ক মেইনটেনেন্স - পর্ব ২

~ ভাষা হোক উন্মুক্ত ~
আগের পর্বঃ হার্ড ডিস্ক মেইনটেনেন্সে - পর্ব ১ এতক্ষন হার্ড ডিস্কের সমস্যা আর বেসিক মেইনটেনেন্সের ধারনা দিলাম। এবার মেইনটেনেন্স পর্ব। আগেই বলেছি, বেসিক মেইনটেনেন্স খুবই সোজা, ঘাবড়ে যাবার মত, বা না পারার মত কোন কিছু নয়। বর্ননার সাথে সাথে ছবি দেয়া আছে। এই পদ্ধতিটি উইন্ডোজ পিসির জন্য করা।

আশা করি সবাই কাজগুলো করতে পারবেন। আর কোন প্রকার সমস্যা হলে তো আমরা আছিই। প্রথম কাজঃ ডিস্ক ক্লিন আপ মেইনটেনেন্সের প্রথম ধাপেই যা করতে হবে তা হলো হার্ড ডিস্কে জমে যাওয়া জঞ্জাল অর্থাৎ অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো মুছে ফেলতে হবে। এটি করার জন্য আমরা উইন্ডোজের ডিস্ক ক্লিন আপ টুলটি ব্যবহার করবো। ১) ডেস্কটপ অথবা অল প্রোগ্রামস থেকে মাই কম্পিউটারে ক্লিক করতে হবে।

তখন যে উইন্ডোটি আসবে তা অনেকটা নীচের ছবিটির মত। আপনার হার্ড ডিস্কে পার্টিশন বেশি হলে C ড্রাইভের পর D,E,F ... এভাবে আরও অনেক ড্রাইভ দেখাবে। কিন্তু আমরা শুধু C ড্রাইভটি নিয়ে কাজ করবো। ২) C ড্রাইভে রাইট ক্লিক করলে যে মেনুটি আসবে তার সব চাইতে নীচে থাকবে Properties. ওখানে ক্লিক করুন, নীচের ছবির মত একটি উইন্ডো আসবে। ৩) উইন্ডোজের মাঝামাঝি থাকা ডিস্কের গোল ছবিটার পাশে Disk Cleanup লেখা বাটনটিতে ক্লিক করুন, নীচের ছবির মত উইন্ডো আসবে।

৪) Files to Delete এর নীচে যত গুলো চেক বক্স আছে সব গুলোতে টিক দিয়ে দিন। তারপর Disk Cleanup এর পাশে More Options ট্যাবে ক্লিক করুন, নীচের উইন্ডোটি আসবে। ৫) এই ট্যাবে তিনটা ভাগ, সব চাইতে নীচে আছে System Restore। এর পাশে একটা বাটন Clean up... ক্লিক করুন। একটা ছোট পপ আপ উইন্ডো আসবে, যার দুইটা বাটন Delete আর Cancel. এখান থেকে Delete এ ক্লিক করুন।

খানিকটা সময় নেবে ফাইল গুলো ডিলিট করতে। হয়ে গেলে একেবারে নীচে দুটি বাটন OK আর Cancel থেকে OK বাটনে ক্লিক করুন। আরেকটা পপ আপ উইন্ডো আসবে, সেখান থেকে Delete Files বাটনে ক্লিক করুন। ফাইল ক্লিন আপ শুরু হবে। শেষ হয়ে গেলে ডিস্কের গোল ছবিটা সহ যে উইন্ডোটা প্রথমে খুলেছিলেন, সেটার নীচে OK লেখা বাটনে ক্লিক করুন।

ব্যস, আপনার বেসিক ক্লিনিং পার্ট শেষ। পিসি রিষ্টার্ট করুন ও স্পিডের পরিবর্তন লক্ষ্য করুন। অবস্যই আগের চাইতে ভাল স্পীড পাবেন। আপনি চাইলে এর পরের পার্টটা মাসে একবার করতেও পারেন, অথবা ২/৩ মাসে একবার করলেও চলে। পরের কাজঃ ডিস্ক ইরোর চেক ১) C ড্রাইভে রাইট ক্লিক করলে যে মেনুটি আসবে তার সব চাইতে নীচে থাকবে Properties. ওখানে ক্লিক করুন, নীচের ছবির মত একটি উইন্ডো আসবে।

২) General ট্যাবের পাশ থেকে Tools ট্যাবে ক্লিক করুন। নীচের উইন্ডোটির মত উইন্ডো দেখতে পাবেন। ৩) এই উইন্ডোর উপরে Error-checking অপশনের ভেতর থেকে Check Now বাটনটি ক্লিক করলে দুইটি অপশন সহ ছোট উইন্ডোটি খুলবে। দুটি বক্সের টিক দিয়ে দিন। তারপর Start এ ক্লিক করুন।

একটা ছোট পপ আপ উইন্ডো আসবে, যেটা বলবে যে উইন্ডোজ চাল তথাকা অবস্থায় ডিস্ক চেক করা সম্ভব না, আপনি কি ডিস্ক চেক সিডিউলড করে রাখতে চান? Schedule Disk Check বাটনে নিশ্চিন্তে ক্লিক করুন। এবার কম্পিউটার রিষ্টার্ট করুন। চালু হবার পর ডেস্কটপ আসার আগে নীচের উইন্ডোর মত ডিস্ক চেক করতে থাকবে। মনে রাখবেনঃ ডিস্ক চেক সিডিউল ক্যানসেল করার জন্য আপনাকে রিষ্টার্ট করার পরেই কয়েক সেকেন্ড সময় দেবে। আপনি চাইলে - মানে কম্পিউটারে কোন জরুরী কাজ থাকলে সে সময় যে কোন কি চেপে ডিস্ক চেক ক্যানসেল করতে পারেন, কিন্তু পরের বার রিষ্টার্ট করতে গেলে আবার সিডিউল দেখাবে।

কাজেই সবকাজ শেষ করে ডিস্ক চেক দেয়া উচিৎ। চেক শেষ হতে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা সময়ও লাগতে পারে। কাজেই সময় বেশী লাগলে ঘুমিয়ে যেতে পারেন। ডিস্ক চেক শেষ হবার পর পিসি রিষ্টার্ট হবে। সে সময় আপনি পিসির সামনে না থাকলেও ঘন্টা খানেক পর পিসি আপনা থেকেই স্লিপ মোডে চলে যাবে।

আগামী পর্বেঃ ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট ও কিছু বেসিক সফটওয়ার
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.