আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের একটু সচেতনতা পারে দেশের পরিবেশের সাথে সাথে কয়েকটি শিল্পকে রক্ষ করতে

সব ক'টা জানালা খুলে দাওনা...

কে না স্বপ্ন দেখে একটা সমৃদ্ধ স্বদেশের। কিন্তু একটা দেশ মানে তো সে দেশের মানুষ। লাখো কোটি মানুষের যত্নেই তো একটা দেশ তিলে তিলে গড়ে ওঠে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন এ দেশকে নিয়ে আমাদের এত অবহেলা কেন তবে? আমরা রাজনীতিবিদদের দোষ দেই, দোষ যে তাদের নেই তা বলছিনা, কিন্তু তারা দোষ করে কারণ আমরা তাদের দোষ করার সাহস দেই। তারা দূর্নীতি করে সদর্পে চলে কারণ আমরা তাদের দালালী করি নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ রক্ষার্থে।

নাহ অন্য দিকে চলে যাচ্ছি। যা বলতে চাচ্ছিলাম তা হলো, আমাদের সবাইকেই কম বেশি বাজার করতে হয়, ২০০১ এর আগে ১ টাকার কিছু কিনলেও তা ফিনফিনে সাদা পলতথিনে দিয়ে দিত, আর আমরাও তা দুলিয়ে দুলিয়ে বাসায় নিয়ে আসতাম। ঢাকা শহরে প্রতিদিন অসঙ্খ্য পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহারে বুড়িগঙ্গার তলদেশে কয়েকফুট পলিথিনের আস্তরণ পড়ে গিয়েছিল। এরপর সরকার সাহস করে পলিথিন ব্যাবহার বন্ধ করে দিল। আমাদের খুব বেশি সমস্যা কি হয়েছে? আমরা কি পণ্য কিনিনি? এর থেকে কত জঘন্য কত কিছু মেনে নেই আমরা, এটাতো কিছুই না আমাদের কাছে।

ফলাফল, কাগজ ও নেটের ব্যাগের ব্যাবহার বেড়ে গিয়েছিলো, মানুষ পাটের ব্যাগের ব্যাবহার ও বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ভালো কিছু বোধ হয় বাঙ্গালীর বেশিদিন সহ্য হয়না, আবার ইদানীং শুরু হয়েছে পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার। আবারো ২ টাকা খরচের ভয়ে আমরা পলতথিন দুলিয়ে বাড়ি ফিরছি। আমরা কি দেখিনা ডাস্টবিন থেকে, নর্দমা থেকে, বুড়িগঙ্গা থেকে নোংরা পলিথিন সংগ্রহ করা, আমরা কি ভাববো না বিনা কারণে কেন এই পলিথিন সংগ্রহ করা হচ্ছে, এই পলিথিন ই রিসাইকেল করে আবারো চলে আসছে আমাদের কাছে, আর আমরা নির্বিকার ভাবে তা ব্যবহার করে চলেছি, আহ! কবে আমরা একটু শুধরাবো। আমাদের চালু পাট মিল গুলো বন্ধ হয়ে লাখো মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে, দেশীয় কাগজ শিল্পধ্বংস হয়ে বিদেশী কাগজ আমদানীতে চলে যাচ্ছে দেশের টাকা, আমরা কি কোনো কিছু দেশি ব্যবহার করবোনা? আহ! বড় কষ্ট লাগে ভাবতে, যে মানুষ গুলো একটা সুন্দর দেশের স্বপ্ন নিয়ে শত্রুর রাইফেলের সামনে বাড়িয়ে দিয়েছিলো বুক, সেই দেশকে নিয়ে কী নির্মম অবহেলা আমাদের।

আমরা কি পারিনা আর একটু সচেতন হতে? আমরা কি পারিনা দেশি পণ্য ব্যবহার করতে, আমরা কি পারিনা মোটা কাপড় পরতে? তা যদি না পারি তবে এ দেশে কেন আছি আমরা, আমাদের কি এতুটুকু ও লজ্জা নেই? সোনালী আঁশকে আমরা আজ হাস্যস্পদ করে তুলেছি, পার্শিয়ান কার্পেটের কথা বলি, দেশের নকশি কাথার কথা বলিনা, আসুন না একটু খাঁটি বাঙ্গালী হই, গরিব মায়ের দেয়া মোটা কাপড় পরি। হলপ করে বলতে পারি, দেশ নিয়ে আক্ষেপ কমে যাবে, মনে শান্তি নিয়ে বাঁচার চেয়ে সুখময় আর কী হতে পারে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.