আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অচেনা বিছানায় চুরি সম্মান বা এই আমরা।

তুমি ক্ষমাশীল হও, সৎ কাজের আদেশ কর, আহাম্মকদের থেকে দূরে থাকো. -সুরা আরাফ, আয়াত.১৯৯ খুব সকালে ঘুম ভাংল মুনিয়ার। রাতে ভালো ঘুম হয়েছে ওর। অদ্ভুত সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখেছে ও। একটা ফুট ফুটে সুন্দর শিশু ফুলের মধ্যে ঘুমিয়ে আছে। মুনিয়া শিশুটাকে কোলে তুলে বাড়ীতে নিয়ে এসেছে।

এর কিছুখন পরই সে দেখলো শিশুটি তার আচল ধরে টানছে। তাকাতেই বলল আম্মু আমি ক্লাশে ফার্স্ট হয়েছি। সেই থেকে শিশুটির মুখ মুনিয়ার চোখের সামনে ভাসছে। রাতুল কে জানাতে হবে কথাটা, ও শুনলে কি যে খুশি হবে! রাতুলের ইচ্ছে ওদের একটা ছেলে হোক। মুনিয়া স্বপ্নেও দেখেছে ছেলে।

রাতুল যা মেধাবী কোন ক্লাশে ফার্স্ট ছাড়া সেকেন্ড হয়নি তার ছেলেতো ফার্স্ট হবেই। স্বপ্নটা দেখার পর থেকে রাতুলের মোবাইলে কল করছে মুনিয়া, মোবাইল বন্ধ। রাতুল ঢাকায় নেই সিলেট গিয়েছে, কি এক অফিসের কাজে। আজ ঢাকা আসবে ও যে প্রেগনেন্ট সেটা রাতুল জেনে গেছে। হয়তো মোবাইলে চার্জ নেই।

ওর যা ভুলো মন। মুনিয়ার সাথে রাতুলের প্রথম কবে কথা হয়েছে মনে নেই সেই দিন ক্ষন। তবে প্রথম দেখা হবার কথা খুব মনে আছে মুনিয়ার। এক রাতে হুট করে মুনিয়ার মোবাইলে একটা কল আসে। ওপাস থেকে একটা কোমল পুরুষ গলায় বলে- হ্যালো ঘুমিয়ে আছেন কেন? বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।

এমন সময় কেউ ঘুমিয়ে থাকে? মুনিয়া খুব অবাক হয় এই লোক বলে কি? এত রাতে ফোন করে কেউ এরকম ভাবে কথা বলতে পারে সেটা ভেবে মুনিয়ার কেমন যেন লাগে। আঠের বসন্ত শেষ মুনিয়ার, কেউ যে প্রেমের প্রস্তাব দেয়নি এমন না। স্কুল জীবনে একটা ছেলে ঘুর ঘুর করত মুনিয়ার পিছনে ওই পাত্যা দেয় নি। কেমন যেন চোর চোর একটা ভাব চেহারায় নাম সবুজ, আরে ছেলেরা হবে বলিষ্ঠ যা বলবে সরাসরি বলবে। সেই ছেলেটা ওকে একবার একটা ডায়রী দিয়েছিলো তার ভেতরে চ্যাপ্টা সুকনো গোলাপ ফুল।

সাথে লেখা "তোমার জন্য গত ভ্যালেনটাইনে কিনেছিলাম সাহস হয়নি দেবার, রেখে দিলাম তাই ডায়রীর পাতায়। আর একটা কথা বলার ছিল। বলা হলো না যদি কখনো সময় পাই বলব। " সেটা দেখে মুনিয়ার মেজাজ আরো খারাপ হয়ে ছিল। আরে ভাই টাটকা গোলাপ দেবার সাহস নাই ভাল, সত্যি কথাটা স্পষ্ট করে বল।

বললেই তো হয় "আমি তোমাকে ভালো বাসি, মুনিয়া। " না সেটা বলবে না, যদি আমি ধরে খেয়ে ফেলি। আমি তো বাঘ। আমর জন্য পাঠিয়েছে সুটকি গোলাপ ফুল সাথে সাথে এক কেজি লইট্যা মাছের সুটকি দিতি, ভর্তা করে খাওয়া যেত। এই সুটকি গোলাপের ভালো বাসা লাগবেনা আমার।

ছেলেটা কে রিফিউজ করার পর ও নাকি খুব কেদেছিল। মুনিয়ার বান্ধবী ঝুমা বলেছিল ওকে। ঝুমাই ডায়রী চালা চালি করত। ঝুমা যে সুটকি ফুলআলা সবুজকে ভালো বাসতো সেটা খুব বুঝত মুনিয়া। শেষে ঝুমা বিয়েও করেছে সবুজ কে, ভালো আছে ওরা।

সুখি সংসার। সিলেটে থাকে, বিয়ের পর ঝুমার সাথে কথা হয়ে ছিল মুনিয়ার। সবুজ নাকি অনেক টাকা কামাচ্ছে। মুনিয়া জানতে চেয়ে ছিল কি করে সবুজ? ঝুমা বলেনি, কেবল বলে ছিল অতজেনে আমার লাভ কি? আমি খাই দাই দামি গহনা পরি, দিব্যি আছি, বিন্দাস। তুই তো ঠোকর দিলি সবুজ কে।

দেখ এখন আমি কত সুখি। এই জায়গায় তো তোর থাকার কথা। যাক তুই ঠোকর না দিলে আমার কপাল খুলতো না। ও দের কথা আর আগায় নি, মুনিয়াই কেটে দিয়ে ছিল লাইনটা। মুনিয়াও কম সুখি না, রাতুলের মতন একজন সু পুরুষ পেয়েছে ও।

সেই বৃষ্টির রাত থেকে একটু একটু করে ভালো বেসে ফেলে ছিল মুনিয়া, রাতুল কে। সে ভাবেই কাছে আসা। দেখতে দেখতে এক বছর কেটে গেছে ওদের কাছে থাকার। মুনিয়ার খুব মনে আছে এক মাস আগের সেই ১৪ ফেব্রুয়রীর কথা টানা ১১ মাস মোবাইলে কথা বলার পর ওরা দেখা করে ছিল ভালোবাসা দিবসে। রাতুল একটা সাদা ধবধবে পান্জাবী আর নীল জিন্স পরে এসে ছিল।

কি স্মার্ট! এত দিন মোবাইলে কথা বলা লোকটা আজকে ওর সামনে দাড়িয়ে আছে হাতে এক তোড়া লাল গোলাপ। মুনিয়া ওর জন্য একটা টি শার্ট কিনে নিয়ে গিয়েছিল, লাল রংয়ের। রাতুল টিশার্ট হাতে পেয়েই ওর পান্জবী টা খুলে পরে নিয়ে ছিল কি বডি ওর সালমান টালমান কিচ্ছু না নস্যি। মুনিয়ার খুব ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিলো ওর বুকের পশম গুলো। কিছুখন এদিক সেদিক ঘুরে মুনিয়াই বলল- "এই রাতুল বাহিরেতো খুব ধুলা আর দেখছনা কেমন ভিড় তোমার সাথে যে একটু নিরিবিলি কথা বলব সেটাও হচ্ছেনা।

চারপাশে মানুষ গিজ গিজ করছে। " রাতুল যেনো একটু খুশি হেয়ে বলল, হ্যা ঠিকই বলেছ ধানমন্ডী আটের দিকে আমার এক বন্ধুর একটা ফ্লাট আছে সেখানে যাওয়া যায়। তোমার তো দেখি ধুলায় একে বারে কাহিল অবস্হা, সেটা বলেই রাতুল একটা রিকশা ডাকল। কি ভালোই না বাসে এই লোক মুনিয়াকে, মুনিয়ার চোখে জ্বল এসে গেল রাতুলের কথা শুনে। প্রিয় পাঠক আমি আর লিখব না ফ্লাটে গিয়ে সেদিন কি হয়ে ছিল? তবে আপনারা সবাই নিশ্চই বুঝতে পারছেন।

ওরা ওখানে গিয়ে নিশ্চই দাবা খেলেনি, খেলে থাকলে তো আর এক মাস পর একটি শিশু জন্মানোর স্বপ্ন দেখতে হয়না। দুপুর দুইটা, মুনিয়া দাড়িয়ে আছে মিরপুরের একটা কাজী অফিসের সামনে। রাতুলের এখানে আসার কথা, সকাল থেকে মুনিয়া আর পায়নি রাতুল কে, ফোনে। যে দিন রাতুল সিলেট গিয়ে ছিল সেদিনই মুনিয়াকে বলে গিয়ে ছিল ঢাকা ফিরেই এখানে এসে, এই কাজী অফিসে বিয়ে করবে ওরা। কিন্তু রাতুলটা কেন যে আসছে না, কে জানে? মুনিয়ার কাছে রাতুলের বাসার ঠিকানাটাও নেই একদিন জানতে চেয়ে ছিল মুনিয়া, রাতুল অন্য প্রসংগ এনে ব্যাপারটা চাপিয়ে গিয়ে ছিল।

বিকেল পাচটা রাতুল এখনও এলো না, মোবাইল ও বন্ধ। তাহলে কি মুনিয়ার সাথে চিট করল রাতুল? মুনিয়ার মাথাটা কেমন ফাকা হয়ে যেতে থাকে। ওর পেটের ভেতর যে ভ্রুন টা বড় হচ্ছে প্রতি নিয়ত ওর রক্ত খেয়ে, তার কি হবে? মুনিয়ে খুব শক্ত মেয়ে ও খুব সহজেই পারবে শিশুর ব্যাবচ্ছেদ করে ফেলে আসতে কোন ড্রেনে কিন্তু রাতুল যে ওকে ঠকালো। রাত আটটা, রাতুল এখনো মোবাইল খোলেনি, মুনিয়া বসে আছে ওর খাটের উপর, গত কালের সাজানো স্বপ্ন গুলো এভাবে ওর চোখের সামনে শেষ হয়ে যাচ্ছে ভাবতে খারাপ লাগছে ওর। ও একটা ম্যাটার্নিটির সাথে কথা বলেছে সেখানে কাল কের একটা এপয়েনমেন্ট দিয়ে রেখেছে।

কাল সকালেই ও ফেলে আসবে ওর শরিরের ভেতের বেড়ে ওঠা ভ্রুন নামের অসুখ টাকে। মুনিয়ার ভাবতে অবাক লাগে কাল যে শিশুর ভ্রুন ওকে শিহরিত করছিল আজ সেই ভ্রুনটাকে ওর কাছে পাপ মনে হচ্ছে। মুনিয়ার কিছুটা খারাপ লাগে, ও যদি এভাবে রাতুলের কাছে এগিয়ে না যেত তাহলে কি রাতুল ওর এত বড় ক্ষতিটা করতে পারত? কেন ধরা দিল মুনিয়া রাতুলের পাতা ফাদে। কি বোকা মেয়ে ও, একবার জানতেও চায় নি, কোথা থেকে রাতুল পেয়ে ছিলো মুনিয়ার ফোন নাম্বার। সকাল আট টা, মুনিয়া ম্যাটার্নিটি ক্লিনিকের একটা ছোট্ট ঘরে বসে আছে।

ওর পেটে বারতে থাকা ভ্রুন টাকে একটু আগে টেনে-হিচড়ে বের করে আনা হয়েছে। ওর ভেতর কার পাপ মুছে গেছে, কিন্তু যে এই পাপ ওর শরিরের ভেতরে দিয়ে পালিয়ে গেছে তাকে কি অত সহজে ছেড়ে দেয়া যায়? কিন্তু কোথায় পাবে ও রাতুল কে? রাত ১২ টা, ঝুমা ফোন করেছে, মুনিয়া আলসেমী করে ফোন ধরে, ও পাশ থেকে ঝুমা বলে হ্যালো মুনিয়া, শুনতে পাচ্ছিস? ঝুমার গলায় উৎকন্ঠা। মুনিয়া আলসেমী নিয়েই বলে এত রাতে ফোন করেছিস কেন? মুনিয়া সর্বনাশ হয়েছে, তোকে যে কিভাবে বলি? মুনিয়া কিছুটা অবাক হয় ও জানতে চায় কি হয়েছে রে ঝুমা। ঝুমা কিছুখন চুপ করে থেকে বলে তোর ব্লু ফ্লিম বের হয়েছে। সবুজের এক কলিগ ওকে ব্লুটুথ দিয়ে দিয়েছে।

ঝুমা আর কিছু বলে না। ও মোবাইলটা বিছানার উপর রেখ উঠে দাড়ায় ওপাশ থেকে ঝুমা বলতে থাকে হ্যালো মুনিয়া শুনতে পাচ্ছিস হ্যালো শোন, সবুজ সি, আই, ডিতে চাকরী করে ও কোন দিন বলেনি আমাকে আজ বলেছে। যে কলিগ ওকে ভিডিও টা দিয়েছে সে এই ভিডিও পেয়েছে এক ছিনতাই কারীর কাছ থেক উদ্ধার করা মোবাইল থেকে। ছিনতাইকারি জবানবন্দী দিয়েছে। মোবাইলটা তারা যার কাছ থেকে ছিনতাই করেছে সে নাকি জীবন দিতে রাজি ছিল কিন্তু মোবাইলটা না।

পরে নাকি ওরা সেই লোকটাকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। পুলিশ গিয়েছে ঘটানার স্পটে, এখনো জানা জায় নি লোকটা বেচে আছে নাকি মরে গেছে। সবুজ ভিডিওটা দেখে বলেছে তোর সাথে যে ছেলেটা আছে ও সবুজের বন্ধু, সবুজ আর ও একই মেসে থাকতো এক সময় সবুজের কাছ থেকেই নাকি তোর নাম্বার নিয়েছিল রাতুল। হ্যালো, হ্যালো বলার পর লাইনটা কেটে যায়। ঝুমা আরো কয়েকবার চেষ্টা করে কিন্তু কল রিসিভ করে না মুনিয়া।

মুনিয়ার এসব কথা কিছুই শোনা হয় না। কি এক অভিমান কাজ করে ওর বুকের ভেতর, এত খারাপ রাতুল! সেদিনের ধানমন্ডির সেই ফ্লাটের বেডরুমের অচেনা বিছানায় তার সম্মান কি চুরি হয়ে ছিলো না কি সে নিজেই বিলিয়ে দিয়েছিল। কতটা বিশ্বাসইনা করেছিল মুনিয়া রাতুল কে, মুনিয়াই বলে ছিল এই রাতুল তুমি কেমন মানুষ, তোমার মোবাইলে ক্যামেরা নেই? শেষ কথাঃ ভোর ৫টা বাহিরে মসজিদে আযান হচ্ছে মুনিয়ার বাবা একরাম সাহেব নামাজ পড়তে উঠেছেন। মুনিয়ার ঘরে আলো জ্বলছে, উনি গিয়ে দরজার পাশে দ্বাড়িয়ে ডাকলেন মুনিয়া মা জেগে আছিস? মা ওঠ অযু করে নমাজ পড় মা। মা মরা এই মেয়েটা কে তিনি ঠিক মতন স্নেহ দিতে পারেন নি।

তবে এই মেয়ের স্বাধীনতায় কোন হস্তক্ষেপ করেন নি তিনি। তিনি আবার মুনিয়ার ঘরের দরজায় টোকা দিয়ে বলেন মা মুনিয়া শুনছিস মা ওঠ। মুনিয়র ঘরের ভেতের থেকে কোন আওয়াজ হয় না। সকাল ৮ টা, মুনিয়াদের বাড়ীতে পুলিশ এসেছে। মুনিয়ার ঘরের দরজা ভাংয়া হচ্ছে।

মুনিয়া সে আওয়াজ শুনতে পারছে না। সে পরে আছে তার বিছানার উপর। হাতে একটা বোতল, বিষের। মুখবন্ধঃ গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক কেবল ১৪ ফেব্রুয়রীর চরিত্র টা ছাড়া। রাত জেগে লিখলাম লেখায় কিছু ভুল থেকে যেতে পারে, এডিট চলবে।

যারা আমার লেখা পড়েন তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি ইদানিং কিছুটা ব্যাস্ত তাই লেখা দিতে একটু দেরী হয়। শরিরটাও ব্যাগড়া দেয়, লেখা হয়না। একজন সহ ব্লগার আমাকে বলেছেন আমি সমসাময়ীক বিষয় নিয়ে কিছু লিখছি না কেন? সময় করে উঠতে পারিনি। এই লেখায় বলছি, রাজাকার সে যে দলেরই হোক তাকে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী আমাদের সকলের, ছোটদের, বড়দের, গরিবের-নিঃস্বের-ফকিরের। ভ্যালেনটাই সম্পর্কে আর কি বলব? যে আদর্শ তরুন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে লিখি তাদের ঝক ঝকে মুখ দেখতে পাই শাহবাগের অলিতে-গলিতে রাস্তায়।

তবে কষ্ট লাগে তখনই যখন দেখি এখন কার কিছু তরুন তরুনীরা ভ্যালেনটাইন বা থার্টি ফার্সট নাইটে বেলাল্লাপনা করে। কষ্ট হয়, খুব কষ্ট। সেই কষ্ট বুকে নিয়ে সামনের দিকে যাই, এই তরুন রা একে একে সব কিছুর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে, আমরা পাবো একটা সুস্হ সুন্দর দেশ। সে আশায় বুক বাধি। ছবিঃ আমার এডিট করা, বাংলা কোন একটা সিনেমা থেকে নেয়া।

ফেইস বুকে আমার পেইজ দেখতে চাইলে নিচের লিংকে যানঃ Click This Link আমার রিসেন্ট একটি লেখাঃ একজন প্লেবয় বা কোন সভ্যতা প্রজনন করি, কি আমার দায় ভার?  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।