আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমায়ুন আজাদ

মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।
লাল সালাম ড. হুমায়ুন আজাদ ছিলেন প্রথাবিরোধী লেখক, কবি, ঔপন্যাসিক, ভাষা বিজ্ঞানী, সমালোচক, রাজনীতিক ভাষ্যকার, ও কিশোর সাহিত্যিক। সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই পদচারণা ছিল। ড. হুমায়ুন আজাদ ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল বিক্রমপুরের রাঢ়ীখাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে রাঢ়ীখাল স্যার জেসি বোস ইনস্টিটিউশন থেকে ১৮তম স্থান অর্জন করে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।

১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও ১৯৬৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। উভয় ক্ষেত্রে তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯৭৩ সালে কবিতার বই অলৌকিক ইস্টিমার প্রকাশ করেন। এরপর একের পর এক কাব্যগ্রন্থ। ১৯৮০ সালে প্রকাশিত হয়- জ্বলো চিতা বাঘ, ১৯৮৫ সালে- সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, ১৯৮৭ সালে- যতোই গভীরে যাই মধু যতই উপরে যাই নীল, ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে, ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয়- নারী।

এই বইয়ের প্রকাশের জন্য তিনি জামাত ইসলামসহ মৌলবাদী গোষ্ঠীর তীব্র রোষাণলে পড়েন। যার কারণে ১৯৯৫ সালে নারী বইটি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার। ১৯৯৪ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস- ছাপ্পানো হাজার বর্গমাইল প্রকাশিত হয়। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয়- সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে, ২০০২ সালে- ১০০০০ এবং আরও একটি ধর্ষণ, ২০০৩ সালে একটি -খুনের স্বপ্ন এবং ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়- পাকসার জমিন সাদবাদ । আজ ১২ আগস্ট ২০০৯ দেশের প্রথাবিরোধী লেখক ড. হুমায়ুন আজাদের ৬ষ্ঠ তম মৃত্যুবার্ষিকী।

আসলেই হুমায়ুন আজাদ জন্মেছিল অন্যদের সময়ে। তার সময়টা হলো মুক্ত মানুষের মুক্ত পৃথিবী। শোষণ-বৈষম্যহীন পৃথিবী। যেটা তিনি চেতনার মধ্যে সারাক্ষণ নির্মান করতেন। আর কাজও করেছিলেন সেই লক্ষ্যে।

যা আমরা তার সৃষ্টি কর্ম গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে বুঝতে পারি। কিন্তু ওই ৭১ এর পরাজিত বুনো জানোয়ার, রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও তাদের সৃষ্টি নব্য মৌলবাদী পশুরা আমাদের এই সৃষ্টিশীল মানুষটিকে বাঁচতে দেয়নি। ওদের বিরুদ্ধে শুধু মিছিল মিটিং করে ধিক্কার জানানোর মধ্য দিয়ে ওদের কিছুই করতে পারবো না। কিছুই হবে না। স্বমুলে ওদেরকে নির্মূল করতে হলে খুব শক্ত পরিকল্পনা দরকার।

অগ্নিযুগের বিপ্লবীরা যেভাবে ব্রিটিশদের নির্মূল করেছিলেন। ঠিক সেইভাবে ওদেরকে নির্মূল করতে হবে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.