যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
দেখতেছি কেবল জিসিনেমা। সমস্যা একটাই। প্রচুর বিজ্ঞাপন। তাও দেখি। একই বিজ্ঞাপন অসংখ্যবার।
সিনেমার চেয়ে বিজ্ঞাপনের মেকিং অনেক ভাল, নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ; দশ সেকেন্ড, বিশ সেকেন্ড বা এক মিনিটেই অনেক কিছু দেখে ফেলা হয়, কিন্তু তারপরেও একই বিজ্ঞাপন কতবার আর দেখা যায়।
এই ক'দিন যে সব সিনেমার অংশ বিশেষ দেখলাম তার মধ্যে একটা হলো আমির খানের। ইশক, মাত্র দশ দশ/বারো মিনিট দেখার সুযোগ হয়েছিলো, কিন্তু দেখতে দেখতে টের পেলাম ছবিটা কয়েক শ বার দেখেছি, অথচ আবারও দেখতে ইচ্ছে করছে। আমির খানের ছবির ব্যাপারে আমার এই একই ঘটনা অসংখ্যবার ঘটেছে।
তারপরে একদিন দেখলাম কুলি।
অমিতাভ হজ্বে যাচ্ছে মায়ের আরোগ্য কামনায়। কিন্তু জাহাজে ওঠার সময় গায়ে জ্বর ধরা পড়ায় আটকা পড়ে যায়। একজন বর্ষীয়ান বুজুর্গ বললো, যার টিকিট নাই এমন একজনকে কেন সে তার টিকিট দিয়ে দিচ্ছে না? কুলিও সম্ভবত শ'বার দেখেছি, তারপরেও দেখতে খারাপ লাগে নাই।
বরাবরের অপছন্দ শাহরুখেরও ছবি দেখলাম একটা। সেটার নামও ইশক দিয়ে।
শাহরুখ খান জীবনেও আমির খানের নখের যোগ্য হবে না। কিন্তু তারপরেও ছবিটা ভালো লাগলো। নাসিরউদ্দিন শাহ এর জন্য। বিশেষ করে একেবারে শেষ দৃশ্যে নাসিরউদ্দিন যখন তার ছোটবোনকেই ঘটনাচক্রে গুলি করে ফেলে - সে সময়ে তার চেহারায় অভিব্যক্তি দূর্দান্ত লেগেছে।
আমার সবচেয়ে ফেভারিট নায়ক হলো সানি দেউল।
যার এক একটা ঘুষির ওজন মনখানেক। লাথি মারলে ভিলেন গিয়ে কয়েকশ মিটার দূরে পড়ে। সব ছবিতে সে বিগবস। যদিও বেশীরভাগ মানুষ সানি দেউলের মধ্যে নায়কোচিত কিছু খুঁজে না পেলেও সানি দেউলের প্যাট্রিয়টিক ছবিগুলার তুলনা হয় না। সেরকম এক একটা ছবি।
আজকেও একটা দেখলাম। বিগব্রাদার। যথারীতি ঘুসির ওজন আশি মন।
এবার জি-সিনেমা দেখার কারণ বলি। ইদানিং বাসায় ফিরে রিফ্রেশ হবার জন্য জি-সিনেমার ছবিগুলা খুব কাজের মনে হচ্ছে।
অন্য যা কিছু দেখলেই মাথার মধ্যে নানান চিন্তা ঢুকে পড়ে। কিন্তু জি-সিনেমা দেখে কিছু নতুন করে ভাবতে হয় না। পুরাই বিনোদন। ইন্ডিয়ান ছবিগুলা আসলেই এক একটা চীজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।