আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিলখানা ট্র্যাজেডির বিচার সেনা আইনে করা ঘোরতর অন্যায্য হবে

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
কেননা হত্যাকারী ও নিহত কেউই (দু' একজন আমন্ত্রিত সাবেক বিডিআর অফিসার ছাড়া) সেনাবাহিনীর লোক ছিলেননা। তারা ছিলেন বিডিআর। বিডিআর চাকরি করে স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীনে। তাদের নিজস্ব সার্ভিস রুল আছে। তবে বিদ্রোহ বা খুনের বিচার আচার নিয়ে হয়তো ততটা বিস্তারিত নেই যতটা আছে সেনা আইনে।

আর্মি কাজ করে প্রতিরক্ষার অধীনে। পরিস্কার সেনা আইনে। তবে বাহিনী বিডিআর অফিসারের প্রয়োজন মিটায় আর্মির মূল-বাহিনী থেকে সাময়িক লোক ভাড়া নিয়ে। সংগত কারনে ঐ কদিনের জন্য তারাও বিডিআর হিসেবেই পরিগনিত হবেন। মূল কথা হচ্ছে বাহিনী বিডিআরে ১ টি নৃশংস বিদ্রোহ হয়েছে, দেদার হত্যাকান্ড ও নানাবিধ অপরাধ হয়েছে।

সেনাবাহিনীতে নয়! কর্মরত অবস্থায় বিডিআররা সেনাবাহিনীর সুযোগ সুবিধা পাননা, সেনা আইনের অধীনে চাকরিও করেননা, ভাল কাজের জন্য সেনাবাহিনীর স্টাইলে পুরস্কারও পাননা, সমাজেও সেনাবাহিনীর সমান মর্যাদা পাননা। যা পান তা বিডিআরের আইন কানুন মোতাবেক। এখন একটি খারাপ কাজের বিচার কেন সেনা আইনে করতে হবে? এটা কি অপরাধীর সাথে আরেকটি অপরাধ নয়? এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে তা করতে চাচ্ছে রাস্ট্র! খোদ রাস্ট্র কি করে এতটা অন্যায্য ও প্রতিহিংসাপরায়ন হয়? বিডিআর সার্ভিস রুলে হত্যাকান্ড কাভার না করলে সমস্যা কোথায়? হত্যার বিচারের জন্যতো দেশে পর্যাপ্ত আইন এমনিতেই আছে। এমনকি সরকার চাইলেতো এখনো আইন করতে পারে। আবারো বলি, বাহিনী বিডিআরের বিশৃংখলার বিচার সেনা আইনে করা চূড়ান্ত একটি অবিচার হবে।

কেননা, ঘটনাটি পুরোপুরিই বিডিআরের পরিমন্ডলে ছিল, এটার সাথে সেনাবাহিনীর কোন সম্পর্ক নেই।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।