আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে।

লেখার চেয়ে পড়তে ভাললাগে।

আমাদের দেশে যত সমস্যা তার মূলে অনিয়ম/দুর্ণীতি। আর এ অনিয়ম/দুর্ণীতির মূলে রাজনৈতিক দল। আর রাজনৈতিক দল অনিয়ম/দুর্ণীতকরে না আবারো বলছি অনিয়ম/দুর্ণীতকরে না, করতে বাধ্য হয়। কেন বাধ্য হয়? কারন স্বাভাবিক উপায়ে নির্বাচন হয় না।

স্বাভাবিক উপায়ে নির্বাচন হলে রাজনৈতিক কর্মীদের মারামারি/হানাহানি করতে হয় না। জেল/জুলুম সহ্য করতে হয় না। পুলিশের লাঠিপেটা খেতে হতো না। ফলে দল ক্ষমতায় এলে তারা অন্যায় ভাবে সুযোগ সুবিধা দাবী করতে পারত না। এজন্য সর্বাগ্রে দরকার নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে করার উপায় খুজে বের করা।

তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। কারণ যারা ক্ষমতায় থাকে তারা পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য নিজেদের পছন্দমত তত্বাবধায়ক সরকার-এর ব্যক্তি নির্ধারিত করে যেতে চায়। যা অন্য দলের জন্য অসুবিধাজনক। ফলে শুরু হয় আন্দোলন। জ্বালাও-পোড়াও নীতি।

দলীয় নেতা কর্মীর জেল জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন। আবার সে চক্র শুরু। এ থেকে মুক্তির উপায়- জনপ্রিয় (জনপ্রিয় হলেই ভাল নয়) দুটো দলকেই ক্ষমতায় যাবার ব্যবস্থা করা। এটা সম্ভব যদি সর্বাধিক ও দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোট প্রাপ্ত দুটো দলই পর্যায় ক্রমে ক্ষমতায় আসতে পারে সে ব্যবস্থা করা। যেমন- জাতীয় সঙসদ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট প্রাপ্তপ্রার্থীকে ৫ বছরের মধ্যে প্রথম ৩ বছরের জন্য এমপি হিসেবে নির্বাচিতও দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোট প্রাপ্তপ্রার্থীকে ৫ বছরের মধ্যে পরবর্তী২ বছরের জন্য এমপি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষনা করা যেতে পারে।

এতে রাজনৈতিক দলগুলো অযথা ঝগড়াঝাটি করবে না। গঠনমূলক পরামর্শ করবে। নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচের দরকার পড়বে না। এমনকি নির্বাচিত হোয়ার পরওপরবর্তীনির্বাচনে জয়লাভের জন্যকোটি কোটি টাকা দূর্ণীতি করারও প্রয়োজন হবেনা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.