আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তত্বাবধায়ক সরকারের পুনর্বহাল !!

সত্য পথের অনুসন্ধানি

যখন তত্বাবধায়ক ব্যবস্থার কথা প্রথম উচ্ছারিত হয় তখন আমরা খুব উৎসাহ নিয়ে বলেছিলাম- ভালো সিস্টেমতো!! সাংবিধানিক আইগত গভীর দিকটাকে উপেক্ষা করেও আমরা মনে করেছিলাম এটা বাংলাদেশের ইউনিক আবিস্কার। বিজ্ঞ ব্যারিষ্টারেরা কাগজ কলম এবং ক্যালেন্ডারের পাতা ধরে অংক করতে বসে গেলেন। কোন বিচারপতির বয়স কতো? কোন বিচারপতি আমাদের হয়ে কাজ করতে পারে? যেই ভাবা সেই কাজ ! বাড়িয়ে দিলো আস্থাভাজন বিচারপতির চাকুরীর বয়স। শুরু হয়ে গেলো বিচারালয়ে দলীয় করণ। তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উৎস মুখে বসানো হলো ফাঁদ।

তত্ববধায়ক হলো রাজনৈতিক দল সমুহের অসততার চুড়ান্ত দলিল। গণতান্ত্রক অগ্রযাত্রার পথে কলংক তিলক। রাজনৈতিক দল গুলার অসতমনোবৃত্তি আছে বলেই এটা এসেছে। অনেক গুলা কারণের মধ্যে একটি কারণে তত্বাবধায়ক সরকার আর হওয়া সম্ভব নয় । আর সেটা হলো - ত্রয়োদশ সংশোধনীর 58খ অনুচ্ছেদের (2) দফা অনুযায়ী নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার যৌথভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে দায়ী থাকবেন।

কিন্তু সাধারণ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীসভার সদস্য তাঁদের কাজের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দায়ী থাকেন না। তারা দায়ী থাকেন সংসদের কাছে। অর্থ্যাৎ জনগনের কাছে দায়ী থাকেন। এটিই গণতান্ত্রিক রীতি ও নীতি। এ অবস্থায় নির্দলীয় সরকার আমলে মুল সংবিধানের শর্তে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌমত্ব খর্ব হয় এবং জনগণের সার্বভৌমত্বের পরিবর্তে রাজার ন্যায় রাস্ট্রপতি সার্বভৌম হন এটা সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থী ও সাংঘর্ষিক।

তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সংবিধানের 58 খ(4) অনুচ্ছেদের আওতায় নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর তথা জনগণের ভুমিকা অনুপস্থিত থাকে। এটা মুল সংবিধানের মৌলিক আদর্শ ও নীতির সঙ্গে সম্পুর্ণ সাংঘর্ষিক। গণতন্ত্রকে অনুপস্থিত রেখে তা যত স্বল্প সময়ের জন্যই হোক না কেন, কোন ব্যবস্থাই সংবিধানিক হবে না । আপনি যতদিন জানবেন না যে একটি বিষধর সাপ আপনার খাটের নীচে ঘুমায় ততদিন আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যাবেন । কিন্তু কেউ যদি দেখিয়ে দেয় তখন কিন্তু আপনার উচিত হবে সেটা সরিয়ে দেয়া।

সেই সাপ সরিয়ে না দেওয়ার কারণেই কিন্তু ফকরুদ্দিন মইনুদ্দিনরা ছোবল মারার চেষ্টা করেছিল। জনগন তথা সংসদের অবিরাম চলা শাসনে তত্বাবধায়ক একটা বিচ্যুতি। সেই বিচ্যুতির মধ্যে ঢুকে পড়ে বিষধর সাপ। প্রথম দিকের সংক্ষিপ্ত রায়ের অবজারভেশনে বলা হয়েছিল – সাংসদ মনে করলে আরো দুই টার্ম রাখা যেতে পারে। এই খানে আমার একটা শিশু সুলভ প্রশ্ন রেখে যেতে চাই – যেটা খারাপ,সেটা আবার রাখবে কেন? আর দুই টার্ম পরে আবারো লগি বৈঠা দা কুড়াল কাস্তে নিয়ে বের হয়ে যাবো? অনেকটা এই রকম- খুন করা খারাপ ;কিন্তু খুনিকে বাঁচাতে হলে তাকে আরো দুইটা খুন করতে দিতে হবে।

মোটা দাগে বলতে চাই আমাদের নির্বাচিত শাসকদের তথা রাজনৈতিক দল গুলার মধ্যে যতদিন না জেন্টেলমেন্ট এটিচুড় অথবা চুড়ান্ত গণতান্ত্রিক মানসিকতা আসবে না ততদিন কোন ব্যবস্থাই কার্যকর হবে না। লিখাটা এখান থেকে নেয়া - কেউ ডিটেইলস পড়তে চাইলে ক্লিক করুন। টকশো এর বুদ্ধিজীবিরা তাদের গন্ডির মধ্যেই কথা বলেন কিন্তু আপনি যদি একটু ডিফারেন্ট কিছু ভাবেন তাহলে পড়তে পারেন লিখাটা। Click This Link


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.