আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের চিত্র

কি যে বুঝি তাও বুঝি না।

বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের চিত্র ঃ বাংলাদেশে অভ্যšতরীণ বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগের স্থবিরতা বিদ্যান। জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আঙ্কটাডের বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন’২০০৮-এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০০৭ সালে প্রত্য বৈদেশিক বিনিয়োগ আ ঋউও ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত বৎসর ৬৬ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার ঋউও ঋউও আসিয়াছে যার পূর্বের বৎসরের তুলনায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার কম। ২০০৬ সালে ঋউও এর পরিমাণ ছিল ৭৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

২০০৮ সালের জুন মাস পর্যšত ১ হাজার ৫৫ টি বিনিয়োগ প্র¯তাব জমা পড়েছে যদিও এর আগের বছরের তুলনায় ৭৬৯ টি বেশি তবে শেষ পর্যšত কি পরিমান বিনিয়োগ হবে তা নিশ্চিত নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ পর্যšত ১০ বছরে মোট ঋউও এসেছে ৫৫১ কোটি মার্কিন ডলার, কিন্তু তার ৬৫ ভাগই মুনাফা হিসেবে বিদেশে চলে গেছে। এেেত্র ভুল ও অস্বচ্ছ চুক্তির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি তিগ্রস্তু হয়েছে। ফলে উহা বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভের মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করেছে\ এজন্য রফতানিমুখী শিল্প ও সেবাখাতে বিদেশী বিনিয়োগ সবচেয়ে জরুরি। বিদেশী বিনিয়োগের ধরন ও একটি চিত্র ঃ দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগের চরিত্র বদল হচ্ছে।

বদলে যাচ্ছে অগ্রাধিকার খাতের ধরন। এক বিশ্লেষণে দেখা যায়- জ্বালানি, কৃষি, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে। তবে টেলিকমিউনিকেশন, যোগাযোগ, বাণিজ্য এবং ব্যাংকিং খাতে বিদেশী বিনিয়োগ কমছে। ২০০৭ সালে বিদ্যুৎ, গ্যাস, এবং জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ বিদেশী বিনিয়োগ এসছে। ২০০৬ সালে সর্বোচ্চ বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছিল টেলিকমিউনিকেশন ও যোগাযোগ খাতে।

কৃষি এবং শিল্প উৎপাদনের কথা বিবেচনা করে বিশ্বের প্রতিটি দেশ এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাতে পরিণত হয়েছে জ্বালানি খাত। এইসব খাতে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে। অন্যদিকে টেলিকমিউনিকেশন ও যোগযোগ খাতে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সীমিত হওয়ায় এসব খাতে বিনিয়োগ কমছে। বিশ্বের যে কোন দেশে এখন বিদ্যুৎ ,গ্যাস, জ্বালানি এবং কৃষি এই চারটি খাত সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশ গ্যাস এবং কয়লার সম্ভবনাময় কয়েকটি ত্রে রয়েছে।

অন্যদিকে বিদ্যুৎ খাতে সঙ্কট থাকায় এতে বিনিয়োগের জন্য তুন করে বিদেশী সংস্থাগুলো আকৃষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় বিদেশী কোম্পানী গুলো কৃষিখাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০০৭ সালে মোট ৬৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশী বিনিয়োগ এসছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ ,গ্যাস, এবং জ্বালানি খাতে মোট বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ২১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৭ সালে কৃষিখাতে ৫০ কোটি টাকা বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে।

২০০৭ সালে তৈরি পোশাক শিল্পে মোট বিদেশী বিনিয়োগ এসছে ১৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বস্ত্র খাতে ১০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনয়োগ হয়েছে। বিশ্বঅর্থনীতি ও বিনিয়োগ ঃ আজকের বিশ্বঅর্থনীতির যে চালচিত্র বা অবস্থা তাতে মুক্তবাজার অর্থনীতি অনেকটাই মুখ থুবড়ে পরার উপক্রম হয়েছে। অর্থনীতির গতি-প্রকৃত বড়ই বিচিত্র। মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রবক্তারা সব সময় বলে এসছে যে, বাজার নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রন করার মতা রাখে।

তাই বাজারের উপর সরকার বা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রন পতিষ্ঠা করা চলবেনা। অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির প্রবক্তারা যখন বাজারের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রনের পে জোড়ালো যুক্তি পেশ করতেন তখন পঁজিবাদীবা একে কথার কথা হিসেবে দেখে এসেছেন। অর্থনীতির এই মহাবিপর্যয়ে পুঁজিবাদী বিশ্বের অর্থনৈতিক ¯তম্ভগলো যখন জাতীয়করণ করতে হচ্ছে তখন স্বাভাবিক ভাবেই মুক্তবাজার অর্থনীতির ত্র“টিগুলোর সাাত মিলছে। রাষ্ট্র যেহেতু মানুষের কল্যাণের নিমিত্তেই গড়ে উঠে, সেহেতু রাষ্ট্রের শাসন ধারায় এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গণমানুষের কল্যাণধর্মীতাকেই মুখ্য করে তোলতে পারলে তবেই কেবল একটি সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠা পায়। আর এ কারণেই ‘‘কল্যাণ রাষ্ট্রের’’ ধারণা সৃষ্টি হতে দেখা যায়।

সমাজতন্ত্র শ্রমিকরাজ বা মেহনতি মানুষের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার যে আকাঙ্খা তৈরি করেছিল তা সমাজের এক শ্রেণী শিতি তথা অগ্রবর্তী শ্রেণী মানুষের সুবিধাবাদী ভূমিকার কারণেই ধরাশায়ী হয়েছে। তবে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়েই মেহনতি মানুষের চেতনা প্রখরতর হবার সুযোগ পায়। আর এরই সূত্র ধরে কল্যাণ রাষ্ট্রের ভাবনাটি রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের কাছে গুরুত্ব লাভ করে। তাই কল্যাণ রাষ্ট্রে আমরা নাগরিকের মৌলিক ও আর্থিক অধিকারগুলি সংরনের জন্য যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র দর্শনের মধ্যে আকাঙ্খা বা স্বপ্নের রূপ নিয়ে বিদ্যমান ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, মার্কিন অর্থনীতি মন্দার কারণে উন্নত বিশ্বে ভীতি সঞ্চারক হলেও এর প্রভাব আমাদের দেশের মত দরিদ্র দেশগুলির উপর সহসাই মারাত্মক আকার ধারণ করবে না।

কারণ আমাদের দেশে বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগের পরিমাণ কম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.