আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রিপ্লাই পেতে অব্যর্থ চিটকোড

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

সরকারী আন্ত-মন্ত্রণালয়, সংস্থাগুলোর মধ্যে চিঠির চালাচালির দীর্ঘসূত্রিতা সবাই কমবেশী অবগত। ধরুন কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে একটা চিঠি গেল সেচ পরিদপ্তরে, সেই চিঠির রিপ্লাই আসতে আরো দুই-তিনটা চিঠি পাঠাতে হয়। ভাইস ভার্সা। দীর্ঘদিন সরকারী বিভিন্ন অফিসের সাথে করাসপন্ডেন্স করতে গিয়ে আমি একটা চিটকোড আবিষ্কার করেছি। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে অপ্রত্যাশিত কম সময়ের মধ্যে পত্রপ্রাপক আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

আপনার কোন কন্টাক্ট নম্বর না থাকলেও সে আপনাকে পাতাল থেকে খুঁজে বের করবে। এবং খুব সহজেই তখন আপনি আপনার যে বিষয়ের জন্য তার শরনাপন্ন হওয়া সেটাও সমাধান করতে পারবেন। চিটকোড সহজ। পত্রপ্রাপকের নামটা ইচ্ছা করে ভুল বানানে লিখতে হবে। যেমন ধরুন উপসচিবের নাম গাজী আনোয়ারুল ইকবাল - আপনি লিখবেন কাজি আন-উ-য়ারুল ইকবাল।

তবে এমনভাবে নয় যে একেবারে অশ্লীল দেখায়। ভুল নামে সম্বোধিত দাপ্তরিক পত্র পাওয়া মাত্র সরকারী কর্মকর্তারা তাদের নাম সংশোধনের জন্য চিঠি লেখে থাকে। কখনও ফোন করে। আপনাকে তখন একটু গদগদ হয়ে বেশ কয়েকবার সরি বলতে হবে। তবে সেইসাথে আপনার কাজের কথাও স্মরণ করিয়ে দেবার সুযোপ পাওয়া যাবে।

নাম সংশোধন করে এবার আবার পত্র প্রেরণ করুন - দেখবেন দ্রুতই কাজটি হয়ে যাবে। সতর্কবানীঃ ভুলেও আপনার লেবেলের থেকে অনেক উপরের স্তরের কারও সাথে এমন করবেন না, সেক্ষেত্রে চাকুরী যাবার সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.