আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই গণপ্রজাতান্ত্রিক নয়। চাকর কেন মনিব: জনপ্রশাসন নিয়ে হাসিনার কথা ও জবাব

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
গোড়া থেকে টান দিই। গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার। এখানে প্রজাটা কে? রাজাটাই বা কে? রাজা-প্রজার কারবার না থাকলে প্রজাতন্ত্র হবে কেন? দেশটার নামেই তো গলদ। এটা ঠিক করেন পয়লা। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী কথাটাই তো সবপ্যাঁচকির মূল।

মানেটা দাড়ায় জনতা হল প্রজা, তারা সবাই একটা তন্ত্র বানিয়েছে। আমলারা কর্মচারী। তাহলে রাজা কে? প্রধানমন্ত্রী? বাকিরা উজির নাজির। আসলে তাই হয়েছে! চলছে! বদলাতে চাইলে দেশের নাম করেন "গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ''। আমলা, সিভিল সারভেন্ট, প্রশাসন, সচিব এগুলো কোন ভদ্র ও সভ্য শব্দ নয়।

তারা ব্যবস্থাপক। এ নামেই ডাকুন। আগে পরে শব্দাংশ দিয়ে ৪/৫ টা র‌্যাংক বানান। কাজ একই হলেও সেলসগার্ল ও সেলস এসোসিয়েট শব্দদুটো চাকরিতে ভিন্ন মাত্রা আনে। কথায় কথা আসে।

রাস্ট্রযন্ত্র একটি সেবাধর্মী জটিল বিরাট প্রতিস্টান। সেটার ব্যবস্থাপক নেয়ার সময় কথাটা মাথায় রাখতে হবে। বনফুল কার ছদ্মনাম, অলুক সমাস কাকে বলে মার্কা মুখস্তনির্ভর, মেধাবিবর্জিত, বিরক্তিকর ও বাজে বিসিএস (দুর্নীতির ইস্যু এখানে উহ্য রাখলাম) পরীক্ষা বিপুল সংখ্যক মেধাবি কে নিরুৎসাহিত করছে ফলে সমসংখ্যক গর্দভ রিক্রুটেড হচ্ছে। আল্লাহর ওয়াস্তে সিস্টেমটা পাল্টান। Language, Analytical ability, Demonstration skill, General Knowledge, Creative Thinking- বস্তুগুলা টেস্ট কইরা লোক নেন।

ভাত না পাওয়া কলেজ/ভার্সিটির টিচারদের হাতে কামটা ছাইড়া দেয়া ঠিক হয়নি। ভাল করে উপরের পরীক্ষাগুলা নিলে বেশীরভাগ অধ্যাপক বুড়া বয়সে চাকরি হারাবেন নিশ্চিৎ! চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে কইলাম। অন্যান্য প্রতিস্টানের চিত্র ভিন্ন হইলে ব্লগাররা আওয়াজ দিয়েন। আগাম ক্ষমা চাইলাম। আসি আইন কানুনের ব্যাপারে।

বিনা কারনে ধইরা পাবলিকরে অনিদ্দিস্টকাল বাইন্দা রাখার যে ক্ষমতা ডিসি সাবদের দিছেন, তার পরে হেগোরে 'চাকর-মনিব' ওয়াজ করেন কোন আক্কেলে। এসব জংলি, অসভ্য তথাকথিত আইন কাইলই পার্লামেন্টে বাতিল করেন। আপনের ক্ষমতাও ভগবান তুল্য কেন? পার্লামেন্ট অনাস্থা দিলে আপনি বাদ। ভাল কথা, দলীয় মতের বাইরে গেলে তো এমপিত্ব বাদ। আবার দলীয় সভানেত্রির কথা না শুনলে দলীয় পদ বাদ।

সেক্ষেত্রেও এমপিত্ব বাদ! এসব বর্বর আইনি স্বৈরতন্ত্রকে গণতন্ত্র বলার কি দরকার। এত উপহাস তো চাইনা। বলি সম্ভোধনের কথা। আপনেরে ও মন্ত্রি এমপিগোরে মাননীয়, মহামান্য, হার রয়াল হাইনেস কইতে হইব কেন? জনাব/জনাবা কি ভদ্রলোক/ মহিলাকে সম্ভোধন হিসেবে যথেস্ট নয়। ভাই, আপা ডেকে তো হাজার কোটি টাকা টার্নওভারের প্রতিস্টানে সুন্দর ভাবে কাজ চলছে।

আপনাদের পোষায় না কেন? সম্মানির কথা বাদ। জনপ্রশাসক(ব্যবস্থাপক)দের ন্যায্য সম্মান দিতে টাকা লাগেনা। স্থানীয় ছাত্র, যুব, প্রৌঢ়লীগের কাছে তো আমরা দেশটা ৫ বছর মেয়াদি লীজ দিয়নি। তাদের উৎপাতে তো সরকারি কাজ করা দায়। এই যে গত দু বছর আর্মি আপনারে বাইন্দা রাখল, প্যাদাইল হেরা কি করছে? ইলেকশানেই বা হেরা কি বাল ছিড়ছে? কোল্থেকে একপাল লোকাল টাউট, গাজাঁখোর, ছিছকে চোর বিপ্লবী আওয়ামীলিগ বনে গেল।

এইটা ঠেকান। তারপরে জনসেবার উপদেশ দেন। জনপ্রশাসনে ভাল কাজের কোন ফায়দা আছে কি? বেস্ট ডিসি, বেস্ট ইউএনও, বেস্ট সচিব এসব চালু করতে কয় টাকা লাগে? বার বার বিচার বিভাগের খৎনা করা বন্ধ করেন। সরকারের ফরজ কাজ বিচার পর্যন্ত যাতে কোন বিষয় না গড়ায় তা নিশ্চিৎ করা। নেহায়েৎ গড়িয়ে গেলে লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে চুপচাপ বসে থাকা।

আংগুল নাড়ানো, চোখ টিপ দেয়া, ঘাড়ের উপর বন্ধুক ধরা বন্ধ করেন। আজ আপনি আমার জন্য ধরছেন কাল আমি আপনার জন্য ধরব। কথাটা মনে রাইখেন। সুতরাং বেটার ন্যায়বিচারটা নিশ্চিৎ করা। ভালো থাকুন।

কথা কম ও কথার কথা একেবারেই বন করে কাজ করুন।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.