আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভূতুড়ে বাড়ি ২

We have a best in our self and I have unlashed mine. YEAH, I FEEL COOL!!!

রাহাত গাড়ি থামাতেই তেড়েফুঁড়ে কিছু তার পানে ধেয়ে আসতে লাগল। তার সামনে ভূতুড়ে বাড়ি। এ বাড়ির পাশে দিয়েও কেউ যায়না। এ বাড়ির ভিতরে কত জন যে মরেছে তার হাদিস ইয়ত্তা নেই। কাউকে জিজ্ঞেস করলে বলে, আসল সংখ্যা জানতে ভূতুড়ে বাড়ির ভিতরে যা, সব জেনে যাবি।

কত জন বাড়িটা কিনে হুটেল বানাতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। যেই এই বাড়ি ভাঙ্গতে চেয়েছে তারই ঝাড়ে বংশে উজাড় হয়েছে। যাক, কিছু এসে গাড়ির সামন থামল। ‘ওরে আল্লা’রে এ কোথায় আমি এলামরে?’ গলারজোরে বলে রাহাত শিউরে ডানে বাঁয়ে তাকাচ্ছে। ‘রাহাত, তুমি এসেছ?’ ব্যস্ত উত্তেজিত আনন্দ গদগদ নারী কণ্ঠস্বর ভেসে এল।

‘সেরেছে! অবলাটা মরে ভূত হয়ে মানবলোকে ফিরে এসেছে, আমাকে নাস্তানাবুদ করার জন্য। হায়রে হায় বিয়ে করে আমি আর জীবনেও সংসারী হতে পারবনা। কেন যে আলাইর নানী ল্যার প্রেম সাগরে ঝাঁপ দিয়েছিলাম, অকালে হাবাকালা পাগল হবার জন্য। এখন কি করি, এই ভূতনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাই কেমন করে? হায়রে হায় আজ আমার নিস্তার নেই। ’ বলে রাহাত নারীর পানে তাকিয়ে কপট হাসি হসাল।

‘রাহত কি হয়েছে এমন করছ কেন, ভয় পেয়ছ নাকি? বেরিয়ে আস, তোমার সাথে খোশগল্প করতে চাই। ’ হেসে হেসে বলে নারী দু হাত প্রসারিত করল। রাহাত চোখ বুজে গুনগুন করতে লাগল। ছোট কালে পাতালিকোলে লয়ে দাদি নানি যা বলছিলেন তা তার মনের কানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ভূত পেত্নির কায়া ছায়া নেই, ওরা অশরীরী।

ওরা আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারেনা। ওরা আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারেনা, ঘাঢ়ে থাপ্পর মারাত দূরের কথা। যদি কখনো তোর সামনে ভূতাবির্ভাবত হয়, তখন সুরা নাচ পড়ে বুকে থুথু দিবি। ভূতপূর্ণিমায় কেউ ভূতাবিষ্ট হলে সুরা নাচ পড়ে তার গায়ে ফুঁক দিলে সাথে সাথে উপরিভার নেমে যাবে। দাদি নানির কথা মনে কানে প্রতিধ্বনিত হলেও দিব্যদৃষ্টিতে অশরীরীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখতে পাচ্ছে।

আর লেখলে পড়তে দেব তবে আর হয়তো লেখবনা, আমি এখন অশরীরীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখতে পাচ্ছি ছবি গুগুল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।