আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

॥নিরপরাধ বিডিআরদের প্রতি সুবিচার আশা করি॥

কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, ইহাতে উহারা কষ্ট পায়

পিলখানায় গত ২৫ ও ২৬ ফ্রেব্রুয়ারী ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনায় দেশের অনেক প্রশিক্ষিত সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন। বিশেষত ব্যক্তি ও পরিবারের অবস্থানের দিক থেকে এ ক্ষতি সম্পূর্ণ অপূরণীয়। তাদের সমবেদনা জানানোর ভাষা আমাদের কারোরই জানা নেই। এর প্রেক্ষিতে আমরা সবাই এখন এত বিডিআরবিরোধী যে, কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার দাবির মুখে বাহিনীটির নাম পাল্টে গেলেও আপত্তি করার মতো কেউ নেই। চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত একদল বিডিআর সদস্যের কারণে পুরো বাহিনীটিকেই ভিলেনে পরিণত করা হয়েছে।

আমরা ভুলে গেছি, হাজার হাজার বিডিআর সদস্যের বেশির ভাগই এ ঘটনার ভিলেন নয়, বরং ভিকটিম। প্রকৃত ভিলেন কারা, তা খুজেঁ বের করতে হলে নজর দিতে হবে দেশের তথা গোটা বিশ্বের সার্বিক রাজনৈতিক গতিধারার দিকে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে নানা রকম সন্ত্রাস আর জঙ্গী হামলা দেখে আমাদের মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে বর্তমান সরকারের সন্ত্রাস দমনের জন্য দক্ষিণ এশীয় টাক্সফোর্স গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরার জন্যই কি এই সব হামলা বা বিদ্রোহ? সরকারের পক্ষে বলা হয়েছিল এঘটনায় জঙ্গিদের হাত আছে। পরক্ষণে আবার ঐ বিবৃত হতে সরে যেতেও দেখা গেছে। নিহত সামরিক অফিসারদের পরিবারের জন্য সরকার নানা রকম সুবিধা প্রদানের ঘোষনা ইতিমধ্যে দিয়েছে এবং তারা তা পেতে শুরুও করেছেন।

কিন্তু সুবিধা বঞ্চিত বিডিআর সদস্যরা কি পেলেন আর কি পেলেন না তার হিসাব বোধ করি কারো জানা নেই। এমন একটি পরিস্থিতে মিডিয়ার কল্যাণে আমরা এখন আর বিডিআরকে মনে রাখতে চাই না। এরা খুনী, বিদ্রোহী হত্যাকারী ইত্যাদি ভাবতেই বেশী ভালবাসি। দেশের সুশীল সমাজ মানবাধিকার কমিশণ কেউই এখন পর্যন্ত বিডিআরদের এহেন অবস্থার জন্য কোন বিবৃতি দেখলাম না কোন মিডিয়াতে। সরকার বলেছে, প্রায় আঠারশত বিডিআর পলাতক রয়েছে, সংখ্যায় আঠারশত কম নয়।

এরা কোথায় লুকিয়ে আছে, বা আদৌ বেঁচে আছে কিনা তা জানে না সেই নিখোঁজ জওয়ানের পরিবার পরিজন। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য হয়তো বের হয়ে আসবে কিন্তু তার আগে দীর্ঘমেয়াদী তদন্তের একটি ক্ষতিকর দিকও আছে। অভিযুক্তের পরিবার ও নিরপরাধ কেউই স্বস্থিতে নেই। অপরদিকে দেশের সীমান্তে আবার চোরাচালান শুরু হয়েছে, বলা যায় সেটা অবারিত। প্রতিদিনই আসছে অবৈধ মাদক আর নানা ভারতীয় পণ্য।

সাধারণ বিডিআর সদস্যদের এই ‘ভিকটিমপ্রবণতা’ও কাজে লাগিয়েছে চক্রান্তকারীরা, তারা ‘আর্মি আসছে’ গুজব তুলে চেষ্টা করেছে শেষদিনে বাইরের আর সব বিডিআর ক্যাম্পে সংঘাত ছড়িয়ে দেয়ার। বিডিআর বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ুক, তাদের থামাতে সামরিক বাহিনী বেরিয়ে পড়ুক এবং এতগুলি সামরিক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ক্ষোভে তারাও কোনও অঘটন ঘটাক - এটিই চেয়েছে চক্রান্তকারীরা। এ চক্রান্ত সফল হয়নি। কিন্তু আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিডিআর-এর ওপর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বাদেই সামরিক বাহিনীর আরও কর্তৃত্বপ্রবণ হয়ে ওঠার। বিডিআর : সংক্ষিপ্ত অতীত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিডিআর সদস্যদের এক গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে।

এ বাহিনীর সদস্যদের প্রকৃত যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৭৯৫ সালে রামগড় লোকাল ব্যাটেলিয়ন নামে। পিলখানায় এদের সদর দফতর স্থাপিত হয় সেই ১৭৯৯ সালে, স্পেশাল রিজার্ভ কোম্পানি নামে। রামগড় লোকাল ব্যাটেলিয়ন নামে এ বাহিনী কার্যকর ছিল ১৮৬১ সাল অবধি। ওই বছর এটি ফ্রন্টিয়ার গার্ডস নাম ধারণ করে এবং ১৮৯১ সাল অবধি মোট ত্রিশ বছর এই নামে দায়িত্ব পালন করে। ১৮৯১ সালে এ বাহিনীর নাম দেয়া হয় বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ, যার কার্যক্রম বিস্তৃত হয় মোট চারটি কোম্পানিতে অধিকতর উন্নততর সমরাস্ত্রসহ ঢাকা, দুমকা ও গ্যাঙ্কটক অঞ্চলগুলিতে।

১৯২০ সালে আবারও নতুন নামে পুনর্বিন্যস্ত হয় বাহিনীটি এবং মূল কার্যক্রম হয় সীমান্ত রক্ষা করা। ১৯২০ সাল থেকে ১৯৪৭-এর পূর্বাবধি এ বাহিনী পরিচিত ছিল ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস নামে। ১৯৪৭-এ ভারত বিভক্তির পর এর নাম হয় ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্ট সংক্ষেপে ইপিআর। ১৯৫৮ সালে সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি এদের ওপর চোরাচালান রোধের দায়িত্বও দেয়া হয়। ক্রমান্বয়ে আন্ত:দেশীয় সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে বাহিনীটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

১৯৭১-এ ইপিআর তার গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করে, পঁচিশে মার্চের কালো রাতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালায়। সত্যিকার অর্থে, এরাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধগাথা রচনাকারী। সংঘবদ্ধভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এই ইপিআর-এর কয়েক হাজার ট্রুপস নিয়ে স্বাধীনতার পর ৩ মার্চ ১৯৭২-এ শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফেরার এক সপ্তাহ আগে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ রাইফেলস, সংক্ষেপে বিডিআর-এর। এই প্যারা-মিলিটারি বাহিনীটির প্রশাসনিক কার্যক্রম ও কর্মকর্তা পর্যায়ের কার্যক্রম মূলত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দিয়েই পালন করা হয়। বিডিআর-এর নিজস্ব অফিসার রয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০র মতো, এবং এদের পদোন্নতি ঘটতে পারে সর্বোচ্চ লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদ অবধি।

এ ছাড়া বিডিআর-এর রয়েছে ৪০ হাজারের মতো সাধারণ সদস্য। ১৯৭৩ সালেও একবার বিডিআর-এ অসন্তোষের ঘটনা ঘটে। তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত মুজিব বাহিনীকে বিডিআর-এ আত্তীকৃত করতে চাইলে আপত্তি ওঠে। বিডিআর-এর এ অসন্তোষ নিয়ে সেসসময় আলোচনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তোফায়েল আহমেদের ওপর। ১৯৭৫ সাল থেকে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী নানা অভ্যুত্থান, পাল্টা অভ্যুত্থান, নানা উত্থান-পতনের পথ পাড়ি দিলেও বিডিআর ছিল সে-তুলনায় একেবারেই সংঘাতহীন বাহিনী, যদিও এ-বাহিনীটিরও রয়েছে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা এবং সেই সুবাদে রাজনৈতিক চেতনা।

বোধকরি এই রাজনৈতিক চেতনা তুলনীয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাধারণ কৃষক-মজুরের মুক্তির চেতনার সঙ্গে,- যাতে কোনও এলিটিস্ট দেশপ্রেমের বাতাবরণ নেই। সামরিক বাহিনীর ক্ষেত্রে যেমনটি আমরা দেখেছি, পাকিস্তান প্রত্যাগত সামরিক অফিসারদের আত্তীভূত করার মধ্যে দিয়ে খুনোখুনি ও সংঘাত (ভদ্রভাষায় ক্যু বা অভ্যুত্থান) অনিবার্য করে তোলা হয়েছে, বিডিআর-এর ক্ষেত্রে সেরকম হওয়ার সুযোগ ছিল না। ১৯৭৩-এর সেই অসন্তোষের এতদিন পরে বিডিআর-এর মধ্যে এ-ধরণের ঘটনা, আমাদের চোখে যা আকস্মিকই বলা ভালো, ঘটার কারণ কি? এর একটি দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গি সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে আঞ্চলিক টাস্কফোর্স গঠনের প্রচেষ্টা, সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অপতৎপরতা সম্পর্কিত ব্যাপক আলোচনা। এ সময় কয়েকজন সাংসদ ও প্রাক্তণ মন্ত্রি-প্রতিমন্ত্রী, যারা সামরিক বাহিনী পরিচালিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ব্যাপক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন তারা তাদের ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন সংসদে দাঁড়িয়ে। এদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল সংসদে অসহায়ের মতো কেঁদেছিলেন এবং ডিজিএফআই-এর ভূমিকা সুনির্দিষ্ট করে দেয়ার জন্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

পরে জানা গিয়েছিল, আবদুল জলিল, মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও ব্যারিস্টার মওদুদ এ ব্যাপারে মামলা করবেন। সংবাদপত্রে এরকম খবরও বের হয়েছিল আবদুল জলিল সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে-মামলা করবেন, ব্যারিস্টার মওদুদ সে মামলার আইনজীবী হবেন। ‘কারা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত? শুধুই বিডিআর জওয়ান? সেনা অফিসারদের কেউ কি জড়িত থাকতে পারে না যারা ভিন্ন বিশ্বাসে লালিত? বিডিআর-এর ক্ষোভ-অসন্তোষ যাচাইয়ের প্রসঙ্গটি তাই চোরাচালান বন্ধ বা বন্ধ না-হওয়ার প্রসঙ্গের সঙ্গে আপাতত যুক্ত না করাই ভালো। তা ছাড়া এ-ঘটনার পর সাধারণ বিডিআর সদস্যরা এমনিতেই মনস্তাত্বিক সংকটে রয়েছেন, একটি মাস শেষ হয়েছে, হয়তো তারা বেতনও তুলতে পারেননি, তার ওপর সবাই যদি গোটা বাহিনীর ওপর দোষ চাপানো হয় তা হলে তা দীর্ঘস্থায়ী এক ক্ষতের সৃষ্টি করবে। এ দেশে সামরিক বাহিনীতে অনেক সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে, হত্যা-খুন হয়েছে, কেউ কিন্তু সে-জন্যে গোটা সামরিক বাহিনীকে দায়ী করতে যাননি।

অথচ বিডিআর-এর ক্যু-এর জন্যে গোটা বাহিনীকেই অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এরশাদ যেভাবে সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন, বিডিআর যদি বিদ্রোহই করে, তা হলে তাকে বাঁচিয়ে রাখার কোন দরকার নেই, কিছু সামরিক কর্মকর্তারা যেভাবে এর নাম পরিবর্তনকে সামনে নিয়ে এলেন, মন্ত্রীরা তা নিয়ে যত দ্রুত চিন্তা করলেন, এতটা দ্রুততা না দেখালেও চলতো। কেননা নাম পরিবর্তনের চেয়েও এই মুহূর্তে বরং আমাদের প্রয়োজন বিডিআর সদস্যদের মনোবল ফিরিয়ে আনা, বাহিনীটিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা,- যাতে তারা ভবিষ্যতে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে। ‘বিডিআর প্রধান শাকিল আহমেদ দীর্ঘদিন যাবত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ট্রানজিট বা ট্রানশিপমেন্টের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছিলেন এবং তাঁর গভীর বিশ্বাস ছিল, এই পন্থায় বাংলাদেশের বাণিজ্য দ্রুত উন্নতি করবে এবং বাংলাদেশ দ্রুত মাঝারি আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবে। এ বিষয়ের ওপর তাঁর অনেক গবেষণাকর্মও রয়েছে তিনি এ বিষয়ে নানা জায়গায় বক্তব্যও রেখেছিলেন।

(জনকণ্ঠ, ৩ মার্চ)’ শাকিল আহমেদ কেন টার্গেট হয়েছেন, তা বিবেচনার জন্যে এ তথ্যের সত্যতা-অসত্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গে যেহেতু ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, বিএসএফ সব সময়ই আমাদের সীমান্তে অহরহ গুলি করে সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের হত্যা করে থাকে। কাজেই তাদের কাছে আমাদের মাথা নত করার কোন কারণ নেই বা তাদের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী বিডিআরকে পুণর্গঠন করতে হবে তা যেন আমার কাছে গারার কাছে মুরগী বর্গা দেয়ার মতোই ঘটনা মনে হয়। আমাদের সেনাবাহিনীর অত্যন্ত চৌকস অফিসার ও রয়েছেন যারা কোন দেশের সহযোগিতা ছাড়াই সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে গড়ে তুলতে সার্বিক দিক নির্দেশনা দিতে পারেন। তাহলে কেন আমরা পরের মুখাপেক্ষী হবো? আমাদের প্রতিরক্ষা পুরোপুরি নির্ভরশীল জনগণ থেকে শুরু করে আনসার, পুলিশ, বিডিআর ও সামরিক বাহিনীর মনস্তাত্ত্বিক ও আদর্শিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর।

আমাদের দ্রুত প্রয়োজন, এই দু:সময়ে সেদিকেই মনযোগী হওয়া। এবং সেই সাথে প্রকৃত অপরাধীদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করা, কোনক্রমেই যেন একজন নির্দোষ বিডিআর সদস্যও অবস্থার স্বীকার না হয় তার নিশ্চয়তা বিধান করা জরুরী আমাদের দেশের স্বার্থেই। আমরা মনে করি একজন সাধারণ পরিবারের সন্তান বিডিআরে যোগদান করে এবং সৈনিক হওয়ার পর সে দেশের সম্পদে পরিণত হয়। গরীব পরিবারের জন্য তার সন্তানের নিহত হওয়া যেমন কষ্টের ধনী এলিট সেনাপরিবারের জন্য একই রকম কষ্টের। এর কোন পার্থক্য করা যায় না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.