আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন হাসান মশহুদ চৌধুরী এবং আমার কিছু কথা

আমি বলছি যাব যাব, ঘর বলছে না; অবাধ্য সেই দুয়ার আমার, আটকে রাখে পা...

যুদ্ধে যে জিতে তার নামে রামায়ন লেখা হয়। তাই পুরনো দিনের হেরে যাওয়া যোদ্ধার মতো হাসান মশহুদ ম্লান হেসে বিদায় নিলেন। তিনি এখন থেকে আর অকপট ভাবে কিছু বলবেন না। তার ছায়া দেখে দূর্নীতিবাজ মন্ত্রীরা লেজ তুলে পালাবে না। তিনি এখন রাবন।

না হেরেও তিনি রাবন। গতকাল সারাদিন আইন প্রতিমন্ত্রী থেকে শুরু করে শেখ হাসিনা এবং কিছু গঞ্জিকা/ বোতলজীবি কীটপতঙ্গ তার অপরাধনামা লেখায় অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে। পুরো সংবাদ মাধ্যম এখন তার ঘোর বিরোধী। কেউ তার কোনো ভালো কাজের কথা বলেনি। কেউ বলেনি বললে ভুল হবে, কিছু খুউব সাধারন মানুষ এসএমএস করে কয়েক লাইন ভালোবাসা লিখে পাঠিয়েছে, গতকালের ভালো লাগা কেবল ঐটুকুই।

হাসান মশহুদ জীবনে আর কিছু নাই পান, সাধারন কিছু মানুষের ভালোবাসা তিনি আজীবন পেয়ে যাবেন। কে কি বলছে? সরকার বলছে- দূর্নীতি কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ একটা কমিশন। হাসান মশহুদ বিবেকের তাড়নায় দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। সরকার বলেছে- নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি সফল একটা কমিশন। তারা এখনো অবদি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে যাচ্ছে।

বিরোধী দল বলেছে- হাসান মশহুদ আওয়ামীলীগের খাস চামচা। তার জন্য বি.এন.পি'র ভাঙন। বিরোধী দল বলছে- নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আওয়ামীলীগকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চুরি করে জিতিয়ে দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যম কি বলে সেটা নিয়ে আমার বালেরও কোনো আগ্রহ নাই।

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে আমার আর বিশ্বাস নাই। জনগণ কি বলে? বাংলাদেশে জনগণ আছে। তবে, তারা বেশির ভাগই সচেতন ভাবে অচেতন। এদের ভেতর জাগরন সম্ভব না। নির্বাচন কমিশন শতভাগ সফল।

এর জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে দূর্নীতি দমন কমিশনকেও। যদিও নির্বাচন কমিশনের থেকে দূর্নীতি দমন কমিশনের কাজ অনেক অনেক বেশি জটিল। ২০০৪ সালের দুদকের প্রধান কাজ ছিলো দূর্নীতির বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হওয়া। একে প্রতিরোধ করা। তখন দুদক তেমন সচল হতে পারেনি তৎকালীন চার দলীয় জোটের হস্তক্ষেপের কারনেই।

তত্ত্বাবধায়ক আমলে হাসান মশহুদ দায়িত্ব নেবার পর থেকেই মূলত দুদক পরিপূর্ণ্যতা পায়। তিনিই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন আইনের উর্দ্ধে কেউ নাই। দূর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। এতোসব কি তিনি নিজের জন্য করেছেন? নাকি বাংলাদেশের মানুষের জন্য করেছেন? তিনি অপরাধি। কারণ একটুও চিন্তা করেন নাই গণতান্ত্রিক সরকার আসলে তাকে কতো কি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।

এই দিনে আমার মতো মানুষেরা কি ভাবে? ডিজিটাল বাংলাদেশ পরে দেখবো, আগে মাননীয়া তেলতেলে চেহারা থেকে হিংসুটে মনোভাব ঝেড়ে একটু কাশুন। তারপর, এই বেকারদের কিছু মৌলিক চাহিদা পুরনে একটু নজর দিন। ভালো মানুষকে ভালো মানুষের কাতারে রেখে নিজের জন্মবীজের মান রাখুন। আপনার এই চরমপন্থী মনোভাবের কারনে কেউ যেন না ভেবে বসে আপনি অন্য কারো সন্তান। যাদের সন্ত্রাসী বলে জানতাম তারা আজ এপাচি করে দলবল নিয়ে শো ডাউন করে, তাদের আগ্রাসন বন্ধ করুন।

শাক দিয়ে মাছ না ঢেকে জনগণকে সঠিক তথ্য দিন। নির্বাচনী ইস্তিহারে যা বলেছেন তার শত ভাগ না, মাত্র ৪০ ভাগ পুরন করার চেষ্টা করুন। পরিশেষে: একজন হাসান মশহুদকে লাল সালাম। তিনি যেখানেই থাকুন, যে অবস্থায় থাকুন, যেন অনেক ভালো থাকেন, সুস্থ্য থাকেন, সে কামনা করি।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.