অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি
হুমায়ুন আমার ঘুরানো প্যাচানো সহপাঠী। এবং বন্ধু। আমি ঢাকা কলেজ, সে মির্জাপুর ক্যাডেট। তার ক্লাসমেট রোকন আমার মেডিকেল সহপাঠী। সুবাদেই আমরা বন্ধু।
ফেসবুকেও। আজ সকালে রোকনের মেইলে জানলাম হুমায়ুন নেই। মারা গেছে। ফেসবুকে যদিও বন্ধুসংখ্যাটা স্ট্যাটিক থেকে যাবে অনেকদিন। কিন্তু হুমায়ুন আর স্ট্যাটিক নয়।
রাঙ্গামাটিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় হুমায়ুন হায়দার মেজর পদবীধারী ছিলো। ঢাকায় এসেছিলো লে. কর্ণেল হয়ে (সংশোধনী : স্যরি তথ্য ভুল, সে মেজরই ছিলো মরার আগ পর্যন্ত) । পিলখানায় প্রথম দফা ক্যাজুয়ালটির একজন সে। আজ সকালে ব্যাপারটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। রক্তারক্তি ব্যাপারটা বরাবরি দুঃখজাগানিয়া।
কাল রাগ ইমনের পোস্ট পড়ে মন আরো খারাপ হয়েছিলো এর ভবিষ্যত ট্রাজেডিগুলোর কথা ভেবে। বাস্তবতা হচ্ছে হুমায়ুন নেই। যুদ্ধ এবং বিদ্রোহে আচমকা টপাটপ ঝরে যায় প্রিয় কিংবা অচেনা মুখগুলো। অনেক দূরে, ঘটনায় আচ না লাগা দূরত্বে থাকা আমার মতো একজন তীব্র মনখারাপ নিয়ে নিরূপায় থেকে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।