আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার' কবিতার জন্য কী ঘটেছিল ।

গুগল সার্চ করলে সাপ, ব্যাং পাওয়া যাবে । চেষ্টা করে দেখুন, ইংরেজি ও বাংলায় ।

এই কবিতাটি লেখার জন্য হাংরি আন্দোলন মামলা হয়েছিল । ১৯৬৪ সালের ২রা সেপটেমবর ১১ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ১২০বি (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ) ২৯২ (সাহিত্যে অশ্লীলতা ) ও ২৯৪ (তরুণদের বিপথগামী করা) ধারায় ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল । ছয়জনকে গ্রেপতার করা হয়েছিল ।

১৯৬৫ সালের মে মাসে সবাইকে রেহাই দিয়ে কেবল আমার বিরুদ্ধে ২৯২ ধারায় চার্জশীট দেয়া হয় । গ্রেপতারি পরোয়ানার দরূন উৎপলকুমার বসু অধ্যাপকের চাকরি থেকে বরখাস্ত হন । প্রদীপ চৌধুরী বিশ্বভারতী থেকে রাসটিকেট হন । সমীর রায়চৌধুরী সরকারি চাকরি থেকে সাসপেন্ড হন । সুবিমল বসাক ও দেবী রায়কে কলকাতা থেকে মফসসলে বদলি করে দেয়া হয় ।

আমাকে গ্রেপতারের সময়ে হাতে হাতকড়া পরিয়ে, কোমরে দড়ি বঁধৈ সাতজন চোর-দাকাতের সঙ্গে রাস্তা দিয়ে দুই কিলোমিটার হঁটিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । ১৯৬৬ সালে ব্যাংকশাল কোর্ট আমাকে দুশো টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের কারাদন্ড দিয়েছিল । আমি কলকাতা উচ্চ আদালতে আপিল করি এবং ১৯৬৭ সালে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় নাকচ করে দিয়েছিল । আমার পক্ষের সাক্ষী ছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, তরুণ সান্যাল, জ্যোতির্ময় দত্ত এবং সত্রাজিৎ দত্ত (কবি অজিত দত্তের ছেলে ) । আমার বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হন শৈলেশ্বর ঘোষ ও সুভাষ ঘোষ ।

এনারা দুজন মামলা থেকে মুক্তির জন্য রাজসাক্ষী হতে রাজি হন । আমার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষের সাক্ষী ছিলেন সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, উৎপলকুমার বসু , শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সমীর বসু ও পবিত্র বল্লভ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.