আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গতির রাজ্যে রেলওয়ে শ্লথিময়

কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....

সারা পৃথিবীতে গন যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম রেলওয়ে । সস্তায় একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার মাধ্যম হিসাবে বিশ্বব্যাপি খুবই জনপ্রিয় এই একটি যানবাহন। উন্নত বিশ্বে এই বাহনটিকে টিকিয়ে রাখতে প্রতিদিন করে চলেছে গবেষনা। রকেট ট্রেন বা ইলেক্ট্রিক ট্রেন এর গতি প্রতিদিন বাড়ীয়ে চলেছে। সেই সব দেশে প্রতি ঘন্টায় যখন ট্রেন চলে ৫০০ কিঃমিঃ এর অধিক।

হয়ত এর গতি ভবিষ্যতে আরো কয়েকগুন বাড়াবে। আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ন দেশে রেলওয়েকে একটি গন পরিবহন এর ব্যবস্থায় পরিচালনা করা গুরুত্ব সহকারে অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে রেলওয়ের সংস্কার উন্নত প্রযুক্তির দ্রুতগতির ইঞ্জিন সংগ্রহ করে এটিকে যদি যুগ-উপোযোগী করা যায়। তাহলে পন্য পরিবহন সহ যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করে বাংলাদেশে একটি টেকসই যোগাযোগ ব্যাবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। তার সূদুর প্রসারী প্রকল্প সফলতার সহিত বাংলাদেশের অর্থনিতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।

আমার মতে ধনীক শ্রেনীর জন্য দামী মোটাচাক্কা ওয়ালা গাড়ীর সুবিধার্থে রাজপথের জন্য বাজেটে বড় অনুদান না রেখে। আগামী পঞ্চবার্ষিকি পরিকল্পনায় রেলওয়েকে সম্প্রসারন সহ অব-কাঠামোগত উন্নয়ন সহ মানুষের কাছে সস্তায় যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন করে একে একটি নিরাপদ পরিবহন ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে হবে। অধিকতর পন্য পরিবহনের সুবিধার্থে পন্য মূল্য সহনীয় মাত্রায় রাখতে হলে। রেলওয়েকে দ্রুততার সহিত পন্য পরিবহন সুবিধা আরো সহজ ও গনমুখি করতে হবে। যদি এই যোগাযোগ মাধ্যমটিকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌছানো না যায়।

তাহলে দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েই চলবে। কারন মুনাফাখোর ব্যাবসায়ীরা শুধু যানবাহনের বাড়তী ভাড়ার দোহাই দিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ীয়ে চলছে। এই খাতে সরকারের কোন ভূমিকা নাই বললেই চলে। অনেক কিছু করা সম্ভব। সরকারের নিজস্ব যে জনবল আছে।

যা আমাদের ট্যাক্স এর টাকায় তাদের ভোরন পোষন চলে। জাতীর প্রয়োজনে যদি এই জনবলকে ভিন্নভাবে একটি লাভ জনক কাজে লাগানো যায়। আমাদের সেনাবাহিনী যদি জাতীসংঘের প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষি বাহিনীতে শান্তি রক্ষার প্রয়োজনে সম্মানের সহিত দায়িত্ব পালন করতে পারে । তাহলে আমাদের রেলওয়েকে কেন ব্যাবসা করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় থোক বরাদ্দ দিয়ে পন্য সামগ্রী এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে তাদের নিজস্ব লোকবল দিয়ে অনেকটা টিসিবির মতো পন্য মজুদ এবং বিতরনের দায়িত্‌ দেয়া হয় না। তাহলে প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে সরকারের একটি অংশের সাথে মজুদদারী ব্যাবসায়ীদেরকে নিয়ন্ত্রন করা যেত।

বি ডি আর এর নায্য মূল্যের দোকান গুলো লাভজনক হতো। যদি রেলওয়েকে তাদের সাথে সম্পৃক্ত করা যেত। এখানে সরকার একটি সমন্বিত প্রকল্প গ্রহন করতে পারে। যেমন পন্য বিতরন প্রকল্প। থানা কৃষি অফিস বিক্রেতা + রেলওয়ে পরিবহন কমিশন এর ভিত্তিতে + থানা কৃষি অফিস ক্রেতা সার্বিক তত্বাবধানে বি ডি আর, সব ক্ষেত্রে মুনাফা কে অগ্রাধিকার দেয়া হবে ।

তবে মূল্য মানুষের ক্রয় সিমার মধ্যে রাখার জন্য মুনাফা সরকারের লোকবল কম করবে বলেই বিশ্বাস রাখতে চাই। কারন বিশ্বাসে শান্তি মিলে। সব থানা কৃষি অফিস এর মাধ্যমে একটি ওয়েব সাইট থাকতে পারে । যা কৃষকের পন্যের নায্যমূল্য কৃষি অফিসগুলো প্রান্তিক কৃষক সমিতির মাধ্যমে নির্ধারন করে, তা দিতে বাধ্য থাকবে। পন্য পরিবহন ব্যাবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে।

দালাল ও ফারিয়াদের দৌরাত্ব নিয়ন্ত্রন করতে হবে। প্রতিটি কৃষি অফিস একটি লাভ জনক খাত নির্ধারন করে এতে বিনিয়োগ করতে পারে। বীজ, সার, কীটনাশক, প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃষি অফিস প্রয়োজনে সরাসরি আমদানী করার ক্ষমতা দেয়া যেতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.