আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাজা

I am fine

প্রতিদিনের খবরের কাগজে একটি ঘটনা আমাদের বিবেককে প্রচন্ডভাবে বিচলিত করছে, আর তা হচ্ছে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা। ইসরাইলি বাহিনীর এ বর্বরোচিত হামলায় অসংখ্য নিরহ মানুষ, বিশেষ করে নারী,শিশুসহ বেসামরিক মানুষ মারা যাচ্ছে। অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে। গাজাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে ইসরাইলি বাহিনী এ বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে। ফলে গাজায় প্রচন্ড মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

খাদ্য,পানি,গ্যাস,বিদ্যৎ ব্যবস্থার চরম অবনতির কারণে পরিস্থিতি আওতার বাইরে চলে গিয়েছে। ছবিতে দেখেছি ধ্বংস্তূপে শিশুর লাশ পড়ে আছে। যা সত্যিই হূদয় বিদারক । ইসরাইলি বাহিনী জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলেও নাকি হামলা চালিয়ে ৪০ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত করেছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হবার ফলে চিকিৎসা সেবাও পাচ্ছে না ।

মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছে। আসলে যুদ্ধাহত একটি দেশে যে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তা কোনটিই বাকি নেই। জাতিসংঘ মহাসচিব সহ বিভিন্ন দেশের যুদ্ধবিরতির আহবান করা সত্বেও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না । কিন্ত কেন? জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন দেশের আহবান অমান্য করে,কাওকে পরোয়া না করে ইসরাইলি বাহিনী যে হামলা চাল্লাচ্ছে তাতে তাদের মূল শক্তির উৎস কোথায় তাও বিভিন্ন দেশ বাসিকে ভাবতে হবে। জাতিসংঘের মত একটি সংস্থা যদি কোন একটি দেশের অন্যায় রুখতে কোন ভূমিকা রাখতে না পারে,তার আবেদন যদি কেও পরোয়া না করে সেখানে তাহলে জাতিসংঘের স্বয়ং ভূমিকা নিয়েই বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দেয়।

কার ইন্ধনে ইসরাইলি বাহিনী এত বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে তা সহজেই বোঝা যায়। আর আরব দেশ গুলোর কথা তো বলে লাভ নেই। অন্যের গোলামি করার জন্যই মনে হয় তাদের জন্ম। তারা কিছু দেখেও যেন কিছু দেখে না। তাদের এবং অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক আলাপ ও শেষ হয় না কোন সম্যসার সমাধানও হয় না।

শুধু আলাপ চলে আর চলে। আলাপ শেষ হয় না। দেশ যখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে তখন তাদের কূটনৈতিক আলাপ শুরু হবে। তামাশা আর কাকে বলে? তাই বলতে ইচ্ছা হয় রুগী মারা যাবার পর ডাক্তার দিয়ে কি হবে? ফিলিস্তীনিদের উপর ইসরাইলী বাহিনী অমানবিকভাবে হামলা চালিয়ে যে গণ্যহত্যা করছে তা সত্যিই অত্যন্ত জঘন্যতম একটি কাজ। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক এই জন্য যে, একটি মুসলিম দেশকে মেরে ধ্বংস করে ফেলছে অথচ অন্যান্য মুসলিম দেশ গুলো মুখে কুলুব এটে বসে আছে।

আমেরিকার গোলামি করতে করতে এদের লজ্জা শরম বোধ হয় একেবারেই নিশ্চিন্ন হয়ে গেছে। তারপরও আমরা থেমে থাকবো না ,আমরা অতি সাধারাণ মানুষ মুক্ত কন্ঠে,জোরালো দাবি জানাতে চাই অচিরেই গাজায় এ নিষ্ঠুর বর্বর হত্যাকান্ড বন্ধ করা হক। এবং তা এখনই। সেই সাথে ইসরাইলী বাহিনীর এহেন কর্ম তান্ডবের জন্য আমরা তাদের ধিক্কার জানাই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।