আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাজা খাওয়া ভালো

বাবা আমি গাজা খেয়েছি, বাবা তো রেগে আগুন গালাগালির পর বলেন তুই আমার বাসা থেকে বের হয়ে যা, মা এসে হস্তক্ষেপ করেন এই তুই তোর ঘরে যা। বাবা মা আবার ঝগড়া শুরু করেন, বাবা তুমি এই ভাবে ওকে নষ্ট করছো। মা তুমি জানো এখনকার ছেলেরা ইয়াবা খায়, ফেন্সিডিল খায়, ককেন হিরোইন এইসব নেয় আর ওতো শুধু গাজা খেয়েছে। বাবা বলতে থাকেন আমি কিছুতেই এটা মেনে নিতে পারিনা। বাবা রেগে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন।

ঘর থকে বের হয়ে বাবা সোজা হাটা শুরু করলেন। গলির শেষ মাথায় আসতেই রহমান সাহেব তাকে ডাকলেন, বলে কি ভাই কোথায় যান?? বাবা বলেন কই আর যাবো মেজাজ খারাপ তাই বাসা থেকে বের হইছি। রহমান সাহেব বলেন কেনরে ভাই মেজাজ খারাপ কেন??আর বইলেন না ভাই আমরা ভদ্র সমাজে বাস করি কিন্তু কেমনে মানুষরে বলি আমার ছেলে বাইরে থেকে গাজা খেয়ে এসে বাসায় ঢুকে বলে বাবা আমি গাজা খেয়েছি!! রহমান সাহেব আরে ভাই ছেলেপেলে একটু আকটু ভুল করে ফেলছে এতে এতো রাগার দরকার কী। আমার ছেলেরে একটু আগে থাপড়াতে থাপড়াতে গাল লাল করে দিয়েছি। বাবা অবাক এতো বড় ছেলেরে মারলেন বলেন কী ভাই?? রাহমান সাহেব এই বার একটু বিরক্ত মুখে বলেন কি করছে শুনলে আপনিও বাসায় যেয়ে আমার ছেলেরে একটা থাপ্পর মারবেন।

হারামজাদা গাজা বাচাও আন্দোলন শুরু করেছে। বাবা ছি ছি ভাই বলেন কি!! দেশটা তো দেখি পুরাই গাজাখোরের আখড়ায় রুপান্তরিত হচ্ছে। রহমান সাহেব এইবার একটু ক্ষেপে গেলেন কি যে বলেন আপনি এই গাজা সেই গাজা না, এইটা হচ্ছে ফিলিস্তিনের শহর গাজা ওই যে যেখানে ইসরাইল বোমা মারছে। বলেন কি ভাই? ছেলে জঙ্গি কোন গ্রুপে আংশ নিয়েছে নাকি? রহমান সাহেব এটাই তো চিন্তার বিষয় এই জন্যই তো ওকে মেরেছি। দেখি ফেসবুক আরও কিসব কিসব লেখা লেখির জায়গায় সে গাজা বাচাও আন্দোলন শুরু করছে, ফেসবুকে দেখি আবার মানুষ কে মানব বন্ধন করার জন্য আবেদন জানিয়েছে।

বাবা বেশ চিন্তিত বলেন কি এতো সম্পূর্ণ জঙ্গিদের মতো কাজকর্ম। তাহলে আর কি বলছি, ওর ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আরে গাধা কোথাকার কোন শিশু মরছে তাতে তোর কি?তুবি খাবি দাবী ঘুমাবি ক্লাস করবি এইতো তোর কাজ। তোর কি দরকার এই সমস্ত গাজা নিয়ে হাওকাও করে মানুষের বদ নজরে পড়ার। বাবা বেশ চিন্তিত না ভাই এইটা নিয়ে একটা আলোচনা সভা করতে হবে আমাদের এ পাড়াটাকে জঙ্গি মুক্ত রাখতে হবে ঘরে ঘরে সবাই কে সচেতন করতে হবে।

কোন মতেই এই ছেলেপেলে গুলোকে জঙ্গি হতে দেওয়া যাবে না। আরে কোথাকার গাজায় বোমা ফুটছে তাতে তোদের কি?দুনিয়ায় কত জায়গায় মানুষ মরে। মানুষ জন্মেছেই মরার জন্য এ নিয়ে এতো মানববন্ধন করে কি হবে? তোরা মানববন্ধন করলে কি মরা মানুষ লাফ দিয়ে দাড়িয়ে যাবে? বোমাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে??যতসব অকর্মার দল। তোরা মজা করবি ফুর্তিতে থাকবি মাঝে মাঝে একটু গাজা খাবি বকা দিবো তখন তোরা ওয়াদা করবি আর গাজা খাবো না এই তো তোদের জীবন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।