আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাণ চাই না: চাই অনন্ত জগত

সন্দেহে আছি সত্য

পুরাতনের যুগ শেষ। এখন নতুন যুগ আসছে। এখন দরকার নতুন মানুষ। জ্ঞানে আর কাজে। অতীত নিয়া অফসোস করবে না, অতীতকে বিশ্লেষণ করবে, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখবে, স্বপ্নটা হবে সাম্যের, সাম্য মানে তাকে আগে বুঝতে হবে, আর কাজ করবে বর্তমানের।

জাতীয়তাবাদ ভালো বস্তু না, কিন্তু তার একটা প্রয়োজন আছে আত্মরক্ষায়, নিজেকে টিকিয়ে রাখায়, যেমনটা ১৯৫২ সালে আমাদের বেলায় ঘটেছিল। অনুপ্রেরণার জন্য অপেক্ষা মানে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা, আর এক ধরনের আত্মহত্যাই বলা যায় একে। আমাদের বাংলাদেশে হাজার রকমের মানুষ। বেশিরভাগ মানুষ পরিচয়ে মুসলমান,হিন্দুও আছে, আছে খ্রিস্টান-বৌদ্ধ আর আদিবাসীরা, অনেক আদিবাসী মুসলমান-খ্রিস্টানও আছে, অনেকের আছে নিজ নিজ কৃষ্টি-কালচার। এই সবার যদি একটা বৈপরীত্যের ঐক্য না হয় তো হবে না, দেশে জাতীয়তাবাদ কি গণতন্ত্র কি সাম্য কিছুই আসবে না।

কমিউনিস্টরা অনেক কথা কয়, কিন্তু উত্তরাধুনিক রমরমায় তারা হেরে যেতে বসছে, ক্লাসিক সমাজতন্ত্র বলতে কি বুঝায় জানি না, কিন্তু হাইপোথেসিসের মূলগুলা এক থাকতে হয়, মৌলবাদী কথাটা ঠিক না, কথা হওয়া উচিত প্রাচীনপন্থী যা আর কিছুকে শুষে নিয়ে আরো বড় হতে পারে না। দর্শন হলো একাটা ব্যাড়া দেয়া, এই ব্যাড়া পাল্টায়ে যেতে পারে,যায়ও, তাই সমাজতন্ত্রের উচিত উত্তরাধুনিককে এবজোরব করা। তাকে ধারণ করার চেষ্ট করা, যারা খালি এ্যাস্থেট, আজকের যুগে যারা চার্বাকের কথা কয়ে নাস্তিক্য ফলায় তারা আসলে ' লাইফ ইজ শর্ট লিভ ইট আপ' তত্ত্বে বিশ্বাসী, যাদের সংক্ষেপে বলতে পারি ডিজুস। বাংলাদেশের অনেক স্বপ্ন আছিল। সে একটা সেই আমলের বৃহদায়তন সংবিধান দিয়া শুরু করছিল।

কিন্তু শেষতক তা টেকে নাই, কারণ তখন যারা তা বানাইছিল তাদের ব্যর্থতা আর বাইরের চক্রান্ত। ৩৭ বছর তাই পার হয়ে গেছে বাংলাদেশের কিছু হয় নাই । কমিউনিস্টদের কথা বইলা লাভ নাই, তারা সবসময়ই বড় বড় কথা কয়, জনসংযোগ করতে ব্যর্থ হয়, ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ দুইবারই তারা এমন করছে। আমি এইখানকার কমিউনিস্টদের কথা বলতেছি, যারা আসলে কুম্ভীলক। তার জনগণকে আসলে নিচু চোখে দেখে।

আর এই তত্ত্বের পক্ষ নিয়া যারা চারু মজুমদারগিরি ফলায় তাদের অযথা খুনাখুনি কী ব্যর্থ রূপ নিল আমরা দেখলাম, আর যারা এ্যাকাডেমিশিয়ান হইয়া এই পক্ষের কথা কয়, এরা আসলে এক ধরনের ক্লেদাক্ত বুদ্ধিজীবী, এরা আসলে জ্ঞানবিক্রেতা। বাংলাদেশের এই মাস খুব জরুরি মাস। এই মাস হওয়া উচিত ঐক্যের মাস, ভুল সংশোধনের মাস। কিন্তু এই মাস হয়ে গেছে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র দেখায়ে বিজয় দিবস পালনের মাস, ফাইটার চালায়ে টাকা খরচ করার মাস, আসলে এই মাসটা হয়ে গেছে আত্মধর্ষণের মাস। যখন রাজাকার-আলবদর-আল শামসের জারজগুলা যেয়ে স্মৃতিসৌধে দাঁড়ায়, আত্মবিকৃতির এক কুৎসিত রূপ তখন ধরা পড়ে।

ধর্ম মানেই হইলো টুপি দাড়ি পাগড়ি আরবি হরফ আর রাত দিন জাকির নায়েকের বক্তৃতা। আর ধর্ম না মানেই হইলো যেন ফ্যাশন শো স্ট্রিপটিজ ন্যাংটা গান জারজ শিল্পের নাম দিয়া। এই দুইটার কোনোটাই ধর্ম না। ধর্ম আস্তিক্যেও না নাস্তিক্যেও না, ধর্ম সত্যকে বোঝার অবিরাম প্রয়াসের মধ্যে - যে সত্য আমরা জানি না। বাংলায় ধর্ম শব্দটা খুব বড় অর্থ বোঝায়, রিলিজিয়নের মত এত ছোটো তা না।

কষ্ট হইলো আবারও সেই হাসিনা খালেদা জামাত এরশাদ এইসব নাম নিয়া আমাদের বাকবিতণ্ডা করতে হবে। আমরা এখনো আমাদের পাকিস্তান প্রীতি ছাড়তে পারি নাই। আমরা এখনো পাকিস্তানরে বাধ্য করতে পারি নাই ক্ষমা চাইতে। আমরা এখনো শকুনের চাইতেও বীভৎস গোলাম আযম নিজামিদের বিচার করতে পারি নাই। কাল থেকে খুব রাফায়েল লেমকিনের কথা মনে পড়ছে, একটা বিপ্লব দরকার, তাঁর ১৯৪৮ এর আইনে (-বা আমাদের আইনে, যা-তে সুবিধা হয়, যারা আইন বুঝেন তারাই বুঝবেন, তবে আইন যারা বুঝেন তারা যুদ্ধাপরাধ বুঝতে চান কিনা সেটাই প্রশ?) টিক্কা ইয়াহিয়ার তাবৎ উত্তরসূরী'র আইনি শাজা দরকার, তাদের দোসরদের আর তাদের মুক্তিযোদ্ধা বন্ধুদের যারা আসলে রাজাকারদের চাইতেও বড় বিশ্বাসঘাতক।

জয় হোক - বাংলার শাশ্বত (আবহমান) কৃষ্টির যা কিছু শুভ বলে ঠাহর হইছে তার সব কিছুর।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।