আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেক্টর কমান্ড়ারস ফোরাম কার দালালী করছে !!!

ইট মারলে পাটকেল খেতে প্রস্তুত থাকুন .....

নির্বাচন সামনে রেখে স্বার্থ-সন্দ্বানি হওয়ার কারণে সুতার টানে নাচতে অভ্যস্ত সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ব্যানারে আওয়ামী ঘরানার কিছু লোক চারদলীয় জোটকে ভাঙা ও জামায়াতকে দুর্বল করার যে ষড়যন্ত্র সাত বছর ধরে চলে আসছে তার একটা অংশ হিসেবে একটা মামলা দায়ের করেছে কতিপয় ব্যক্তিকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণার জন্যে। বিষয়টি ওয়াকিফহাল মহলে বিস্ময় নয় হাসির উদ্রেক করেছে। তারা বলছেন, ভারি মাপের অসহায় স্বার্থবুদ্ধির দ্বারা তাড়িত লোকগুলো বিবেক-বুদ্ধির দিক দিয়ে নিজেদের একেবারে দেউলিয়া করে ছাড়ল। উটপাখির মত স্বার্থের বালিতে মুখগুজে জল-জ্যান্ত সত্যকে অস্বীকার করে সম্ভবত তারা মনে করছে যে, দেশবাসীও সম্ভবত তাদের মত উটপাখি; সত্য তারাও দেখছে না। এই বিশ্বাসেই হাস্যকর নাটক করতে একটুও লজ্জাবোধ করছে না।

বাংলাদেশের সচেতন মানুষকে জানলে তারা এমন চিন্তা করতে পারতো না। আওয়ামী ঘরানার সাঙ্গ-পাঙ্গ সংস্থা সংগঠনগুলোর নির্লজ্জ তৎপরতা ২০০১ নির্বাচনের পর বেশি মাত্রায় শুরু হয়েছে। যখন ইন্দো-আওয়ামী লীগ স্বার্থ নিশ্চিত হয় যে, বিএনপি-জামায়াতসহ চারদলীয় জোট অটুট থাকলে, জামায়াতকে চারদল থেকে বিচ্ছিন্ন করা না গেলে নির্বাচনে ইন্দো-আওয়ামী ঘরানার কোন ভবিষ্যৎ নেই, তখন থেকেই একদিকে জামায়াত ও বিএনপি’র মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টিতে তারা তৎপর হয়, অন্যদিকে জামায়াতের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে চতুর্মুখী আক্রমণ শুরু করে নানামুখী লেখা, বক্তৃতা, বিবৃতি ও ইস্যু সৃষ্টির মাধ্যমে। চারদলীয় জোট শাসনের পরে জরুরি অবস্থাকালে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে কেন জামায়াত নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না, এ নিয়ে তারা প্রচারণার ঝড় তোলে। এক পর্যায়ে এই ঝড়ের জবাবে দুএকজন উপদেষ্টাকে বলতেই হয় যে, জামায়াত নেতাদের কোন দুর্নীতি পাওয়া যায়নি।

নির্লজ্জদের তৎপরতা কিন্তু এতে ব হয়ে যায়নি। বিদ্বেষে বেপরোয়া অথবা নগদ-নারায়ণ প্রাপ্তিতে দিশেহারা এরা অতঃপর জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দেশের কয়েকটি স্থান থেকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ সাজায় ও মামলা দায়ের করে। জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের তিনটি মামলাই তদন্তে ভিত্তিহীন ও সাজানো প্রমাণিত হয় এবং এই কারণে মামলাগুলো বাতিল হয়ে যায়। নগদ-নারায়ণের লোভ বা দায় যাদের মাথায়, সে নির্লজ্জরা এতে থেমে যাবার কথা নয়। থেমে তারা যায়নি।

নির্বাচন কমিশন যাতে জামায়াতকে নিবন না দেয়, সে লক্ষ্যে যুদ্ধ অপরাধের শ্লোগান তুলে আওয়ামী ঘরানার সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম তুমুল প্রচারণা শুরু করে। তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দায়ের করে। সদলবলে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তারা তাদের অভিযোগের পক্ষে সাক্ষ্যও দেয়। কিন্তু আগের সেই মামলার মতই তাদের অভিযোগ গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। জামায়াত নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন পেয়ে যায়।

অবশেষে হতাশ সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম নির্বাচন কমিশন ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে বিবাদী করে জামায়াতের জনাদশেক নেতাসহ বিভিন্ন দলের ৩৬ জনকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণার দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলার উদ্দেশ্য পরিষ্কার, ঐ ৩৬ জনের কেউ যাতে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে না পারে, এ জন্যেই এই মামলা। নির্বাচন কমিশনের বিধিতে আছে কেউ যুদ্ধাপরাধী হলে সে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, উদ্দেশ্য রাজনৈতিক হওয়ার কারণে অথবা স্বার্থজাত দায়বদ্ধতার কারণে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আওয়ামী ঘরানার লোকরা আইন ও বাস্তবতা কোন দিকেই নজর দেবার সুযোগ পাচ্ছেন না। পত্রিকায় যা প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে মনে হয়, তাদের কথিত ৩৬ জন যুদ্ধাপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত হয়ে আছেন, এখন প্রয়োজন শুধু তাদের যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করে নির্বাচনী বিধি অনুসারে তাদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা, যা তারা দাবি করা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন করেনি।

এই ধারণা অমূলক, অজ্ঞতাপ্রসূত এবং আইন ও বাস্তবতার প্রতি অ অবজ্ঞার শামিল। ইতিহাস এই কথাই বলে। সাব্যস্ত বা শাস্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী দেশে এখন নেই। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িতদের যদি যুদ্ধাপরাধী বলা হয়, তাহলে তারা কারা তাদের তালিকা সরকারি রেকর্ডেই রয়েছে। অন্যদিকে উক্ত সব অপরাধে জড়িত আরও মানুষ অবশিষ্ট রয়েছে, যারা যুদ্ধাপরাধী হতে পারেন, যাদের বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা মামলা আছে, এমনটিও সত্য নয়।

কারণ, যতদিন আইনটি অবশিষ্ট ছিল, সে সময়ে এমন কোন অভিযোগে কোন মামলা দায়ের হয়নি। স্বাধীনতা-উত্তর সরকার যুদ্ধাপরাধীদের থেকে এ ধরনের অপরাধীদের আলাদা করেছেন, আলাদাভাবে বিচার করছেন। যুদ্ধাপরাধীদের সংখ্যা যেখানে ১৯৫, সেখানে দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্তদের সংখ্যা ছিল ৭শ ৫২ জন। সুতরাং ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী ও দালাল আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত অপরাধীদের বাইরে অভিযুক্ত বা বিচারাধীন কোন তালিকা নেই, যাদের যুদ্ধাপরাধী বলা যেতে পারে। বিষয়টা আরও খোলাসা করে বলা যায়।

স্বাধীনতা-উত্তরকালে মুক্তিযুদ্ধের যারা বিভিন্নভাবে বিরোধিতা করেছেন, তাদের তিন ক্যাটাগরিতে দেখা হয়। প্রথম ক্যাটাগরিতে ধরা যায় যারা রাজনৈতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের সাথে দ্বিমত পোষণ করে এর বিরোধিতা করেছেন তাদেরকে। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর এদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। এই ক্ষমা ঘোষণার বাইরে থাকে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মত অপরাধ। এই চার অপরাধের অপরাধী লোকেরা দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে পড়ে।

১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধ আইনের বাইরে দালাল আইন ঘোষণা করা হয়। এই আইনের অধীনে প্রায় ১ লাখ লোককে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে থেকে অভিযোগ আনা সম্ভব হয় ৩৭ হাজার ৪শ ৭১ জনের বিরুদ্ধে। এই অভিযুক্তদের মধ্যে ৩৪ হাজার ৬শ ২৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষী প্রমাণের অভাবে মামলাই দায়ের করা সম্ভব হয়নি। ২ হাজার ৮শ ৪৮ জনকে বিচারে সোপর্দ করা হয়।

বিচারে ২ হাজার ৯৬ জন বেকসুর খালাস পেয়ে যায়, মাত্র শাস্তি হয় ৭শ ৫২ জনের। তৃতীয় ক্যাটাগরিতে পড়ে যুদ্ধাপরাধীরা। ১৯৭৩ সালের ১৭ এপ্রিল একটা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিত করার কথা ঘোষণা করে এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এদের বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের মধ্যে চূড়ান্ত আলোচনা শেষে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে (যারা সবাই পাকিস্তানের সৈনিক) ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরনসিং এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজিজ আহমদ।

উল্লেখ্য, এই সিদ্ধান্ত যখন হয় তখন বর্তমান সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নাটেরগুরু জেনারেল শফিউল্লাহ ছিলেন সেনা প্রধান এবং অন্যান্যরাও ছিলেন সেনাবাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বে। তারা সরকারের উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলো মেনে নেননি, এমন কোন প্রমাণ নেই। মেনে নিয়েছেন এটাই ঠিক। প্রশ্ন দাঁড়ায়, তাদের ফোরাম যাদের যুদ্ধাপরাধী ঘোষণার দাবি জানিয়েছে তার ভিত্তি কি? কোন ভিত্তি নেই। কারণ, ১৯৭৩ সালে ১৭ এপ্রিল সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, সে তালিকায় যে ৩৬ জনকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণার দাবি করা হয়েছে, তাদের কেউ নেই।

এমনকি দালাল আইনে যে ৭শ’ ৫২ জনের সাজা হয়েছে, তাদের মধ্যেও আমার জানা মতে উক্ত ৩৬ জনের কেউ নেই, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের কেউ অবশ্যই নেই। উপরন্তু হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের অপরাধে মামলা দায়েরের যে সুযোগ ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে আইনটি বিলুপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ছিল, সে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে উপরোক্ত ৩৬ জনের বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের হয়নি। অথচ তখন উক্ত সেক্টরস ফোরামের সবাই জীবিত ও সক্রিয় ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি দালাল আইন জারির পর ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি এই আইন বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ বছর আইনটি অব্যাহত ছিল। আবারও প্রশ্ন দাঁড়ায় ওই দীর্ঘ সময় দালালদের সাজা দেয়া বা যুদ্ধাপরাধ নিয়ে যারা ‘টু’ শব্দ করেননি, তারা ৩২ বছর পর হঠাৎ আজ এ নিয়ে নাচতে শুরু করেছেন কেন? এ প্রশ্নের জবাব আগেই দেয়া হয়েছে।

এটা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত এবং নগদ নারায়ণেরও প্রভাব বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। প্রতিবেশী একটি দেশ বাংলাদেশের মানুষকে বিভক্ত রেখে তাদের মধ্যে সংঘাত বাধাতে চায়। এ ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুটা ভারতের জন্যে সবচেয়ে লাভজনক। মনে করা হয় হচ্ছে সেক্টর কমান্ডারদের আওয়ামী ঘরানার কিছু লোক প্রতিবেশীদের এই ষড়যন্ত্রের বাহন সাজতে পারেন। কারণ অবসর জীবনে লাভজনক কিছু পেলে তা অনেকের কাছেই ছুঁড়ে ফেলার মত নয়।

দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় প্রতিবেশী দেশ সক্রিয় হয়ে ওঠে, তাদের সাথে আওয়ামী ঘরানার সংস্থা সংগঠনগুলোও গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে। বিশেষ করে জামায়াতের বিরুদ্ধে ২০০১ সালের ইলেকশনের আগেও এমনটাই ঘটেছিল। আজ যেমন শাহরিয়ার কবীররা বলছেন, যেখানেই জামায়াতে ইসলামী, সেখানেই প্রতিরোধ। সেদিনও তেমন কথা বলেই জামায়াতকে ভোট না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা তালিকা প্রকাশ করেছিল। ২৭ আগস্ট ২০০১ তারিখে ঘাদানি কমিটির সংগঠন, আওয়ামী বলয়ের আরেকটি হাতিয়ার ঐকবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করে, মৌলবাদ ও রাজাকার আলবদরের মনোনয়ন না দেয়ার ঐকবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২ কোটি ভোটার দস্তখত করেছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও নাগরিক প্রতিষ্ঠান, নারী সংগঠন, তৃণমূল জনসংগঠন, উন্নয়ন কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রগতিশীল মোর্চা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতিসহ ১ হাজার ১শটি এনজিও এবং ৭৫০টি সংগঠনের ১০ লাখ কর্মী দেশব্যাপী এই স্বাক্ষর অভিযানে অংশ নেয়। এই সাংবাদিক সম্মেলনে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে হাজির ছিলেন ড. কাজী ফারুক আহমদ, ড. আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, কল্যাণ সাহা। (সংবাদ ২৮ আগস্ট, ২০০৭)। নির্বাচনের আগে এই আন্দোলনকে তারা আরো তুঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা সম্ভবত ফাইনাল শো-ডাইন করে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০১ তারিখে সংসদ ভবনের সামনে এক মানববন আয়োজনের মাধ্যমে।

এ মানববনের আয়োজন করে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি। এতে অংশগ্রহণ করে মহিলা পরিষদ, প্রজন্ম-৭১, চারুশিল্পী সংসদ জাতীয় সমন্বয় কমিটি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদ, প্রশিকা, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম শিল্পী পরিষদসহ হেনা দাস, সি.আর.দত্ত, কাইয়ুম চৌধুরী, সৈয়দ শামসুল হক, চিত্রা ভট্টাচার্য, সেলিনা হোসেন, শ্যামলী নাসরিন, আবুল বার্ক আলভী, কাজী মুকুল, শাহরিয়ার কবীর প্রমুখ। মানববনে ‘রাজাকার মুক্ত সংসদ গঠনের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের ৩০ জন এবং ইসলামী ঐক্যজোটের ৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে তাদের ভোট না দেয়ার আবেদন জানিয়ে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী বলেন, রাজাকাররা যেন পার্লামেন্টে আসতে না পারে, সে জন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। আগামী ১ অক্টোবরের ভোটে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে (দৈনিক আল আমিন, ২১ অক্টোবর ২০০১) কিন্তু জামায়াত বিএনপির চারদলকে জনগণ দুই তৃতীয়াংশ সিটে বিজয়ী করে জনগণ এদের অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়। এবারও নির্বাচনের পূর্বে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণার দাবিসহ যে আন্দোলন তারা করছে, তারও জবাব জনগণ আগের মতো করেই দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ধর্মের কল নড়াতে হয় না, বাতাসেই নড়ে। আর হিংসুকদের হিংসা তাদেরকেই কুরে কুরে খায় এবং বিভীষণরা কখনই জনগণের কাছে পৌঁছতে পারে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.