আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আরেকটি কিংস পার্টি!

অজানাকে জানতে ছুটছি অবিরাম...!

পর্যবেক্ষক জরুরি অবস্থা জারি থাকা অবস্থায় দেশে আরো একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে। এনজিও ব্যক্তিত্ব প্রশিকার চেয়ারম্যান কাজী ফারুকের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন। ওয়ান ইলেভেনের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ দলগুলো কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিত পায়। ২০০৭ সালের ২১ জুন ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর নেতৃত্বে প্রগতিশীল ডেমোক্রেটিক পার্টি, ওই বছরের ১৯ জুলাই শেখ শওকত হোসেন নীলুর নেতৃত্বে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এবং একই বছরের ৪ ডিসেম্বর মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে কল্যাণ পার্টি আত্মপ্রকাশ করে।

এদের বিরুদ্ধে জরুরি আইন লঙ্ঘন করে মোটর শোভাযাত্রা বের করা, পুরনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের চাপ প্রয়োগ ও লোভ দেখিয়ে দলে ভেড়ানোসহ নানা অভিযোগ ওঠে। তবে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। জরুরি অবস্থায় রাজনৈতিক দল গঠনের কট্টর সমালোচক আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী এ ব্যাপারে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার সবারই আছে। তবে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের পরবর্তী কার্যক্রম দেখে এ ব্যাপারে মন্তব্য করা যাবে।

বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়Ñ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, জরুরি অবস্থার মধ্যে আগে যে সব রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে, তারা সকলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু এ দলটি জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের কথা বলছে। এটা একটা ইতিবাচক দিক। বিএনপির সহ-সভাপতি এম কে আনোয়ার বলেন, রাজনৈতিক দল করার অধিকার সকলের আছে। মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে এটি কোন ধরনের রাজনৈতিক দল হবে।

সময়ই বলে দেবে এটি কিংস পার্টি হবে না জনগণের দল হবে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, যে কেউ রাজনৈতিক দল করতে পারেন, এক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিদেশি অর্থ বা এনজিওর অর্থ না ব্যবহার করলেই হলো। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক দল করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু ড. কাজী ফারুক একজন এনজিও কর্মকর্তা। তার এনজিও এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কি না সেটাই প্রশ্ন।

প্রশিকা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলে সেটা খারাপ হবে। আর জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জরুরি আইনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগঠনে দোষের কিছু নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।