আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আস্তিকের বিশ্বাসে নাস্তিকের শক্তিশালী হয়ে ওঠা

চলছি, যেমন চলছে। ইমেইল: lostindrk@gmail.com

আস্তিকতা বা নাস্তিকতা আসলে কি, এটা সবাই জানে। আধুনিক সময়ে নতুন করে এর অর্থ বলার কোন মানে নেই। কিন্তু অদ্ভুদ হলেও সত্য, সময়ের সাথে সাথে আস্তিক বা নাস্তিকতা বিষয়ক তীব্রটা সত্যিই বাড়ছে। সম্পূর্ণ নিরেপক্ষ দৃষ্টিতেই আমার মনে হয়, আস্তিকদের জন্যেই সমস্যাটা আরো ভয়াবহ হচ্ছে।

না তাদের বিশ্বাসে নয়, বরং বিশ্বাসের বুলি ব্যক্তকরণেই সমস্যাটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। শুধুমাত্র সা,ই, লক্ষ্য করলেই ব্যাপারটা পরিস্কার হবে। ১। আস্তিক বলে বড়াই: কিছু ব্লগার আছেন, যারা নিজেদের আস্তিক বলে বড়াই করেন। নিজেকে অন্যদের থেকে মহত ভাবতে সবারই ভালো লাগে।

কিন্তু, এই ভালো লাগা কতখানি বাস্তব, সেটাই সন্দেহজনক। মনে রাখা দরকার, আস্তিকতা বা নাস্তিকতার এক কোন পরিমাপক বা একক নেই। মানে, কেই দশ কেজি আস্তিক অথবা সাড়ে আট কেজি নাস্তিক বলা যায় না। ২। নাস্তিকদের ব্যক্তিগত আক্রমন: আস্তিক মাঝে অনেকেই আছেন, যারা নাস্তিকদের জারজ বা মুরতাদ বা কাফের বলে সম্বোধন করেন।

কিন্তু কতগুলো নাস্তিক আছেন, যারা আস্তিকদের আস্তিকতার জন্য এভাবে গালি দিয়ে থাকেন। এখানে, বলা রাখা দরকার ছাগু মানে আস্তিকদের বোঝানো হয় না। ৩। আল্লাহ খোদাকে প্রমাণ করার চেষ্টা: এটা হলো ভয়াবহ। আস্তিকরা ভালো করেই জানেন, তাদের কাছে আলাদিনের চেরাগ নেই।

মানে, আল্লাহ খোদাকে ডাক দেবার সংগে সংগে উনি কিন্তু দৌড়ে চলে আসবেন না। ৪। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ্যভাবে ভয় দেখানো: আল্লাহ খোদাকে ভয়ের পাত্র করে দেখানো বা জাহান্নামের ভয় দেখানো কিন্তু হিতে বিপরীতই। কারণ, নাস্তিকরা তো তাতে বিশ্বাস করেনই না, বরং আস্তিকের দেওয়া কথাটি আরো হাস্যকর হয়ে উঠে। ৫।

ব্যক্তিগত দৈবিক ঘটনার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ: সাধারণত নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া কোন অদ্ভুদ ঘটনা যা তার কাছে স্বাভাবিক কোন বিশ্লেষণ নাই টাইপ কিছু বলা। এতে স্বভাবতই নাস্তিকদের সামনে আস্তিকদের মানসিক ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে। ৬। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ: এখানে আস্তিকরা সাধারণত অনেক কিছুই মূল অর্থের ভুল বা বানোয়াট অর্থ দিয়ে নিজেসহ অন্য আস্তিকদেরও বিপদে ফেলে। ৭।

আস্তিকদের হেরে যাবার ভয়: একটা প্রছন্ন ভয় সবসময়ই আস্তিকদের তাড়া করে বেরায়। এজন্য তারা সবসময়ই তাদের দলে মানুষদের আনতে চেষ্টা করে। আর, চেষ্টায় ব্যর্থ হলে বিভিন্ন ধরণের শাস্তির ব্যবস্থা হয়ে থাকে। দোররা বা পাথর ছোঁড়া পদ্ধতিগুলো পুরোনো হলেও এখনো বাংলাদেশে এর প্রচলন দেখা যায়। আমাদের মনে হয়, জীবনের সাথে ধর্মের সহ অবস্থান নিয়ে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.