আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারেক রহমানের কাছে না.ইসলাম খানের একখান চিঠি, এচকিমুর পায়ু জ্বলা এবং একটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রচেষ্টা

প্রতিদিন

প্রথমে নাইমুল ইসলাম খানের চিঠিখানা বিডি আইডলের পোস্ট থেইকা সরাসরি কপি পেস্ট কইরা লই। প্রিয় তারেক রহমান, কারামুক্তি উপলক্ষে আপনাকে শুভেচ্ছা। ৭ মার্চ ২০০৭ (মধ্যরাত) থেকে বন্দি জীবনে আপনি নিশ্চয়ই নিরবচ্ছিন্নভাবে নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে প্রচুর ভাবনা-চিন্তার সুযোগ পেয়েছেন এবং আশা করি তার অনেকটা কাজে লাগাবেন। নিজের বিচার নিজেই করার এরকম একটি সুযোগের সুবিধা হলো, এখানে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য কৌশল ও আইনের ফাঁক-ফোকার খুঁজে বের করার প্রয়োজন পড়েনি। সেই বিচারের আলোকে আপনার বিগত বছরগুলোর সঠিক ও নির্ভেজাল মূল্যায়ন যেটুকু আপনি করতে পেরেছেন আশা করি আপনার ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে তার ব্যাপক বিস্তৃত ভূমিকা বা প্রভাব থাকবে।

আমরা আশা করব, আমাদের জাতীয় জীবনে আপনি অসাধারণ ইতিবাচক ভূমিকার জন্য নিজের ভেতরে অনেক ভাঙচুর করে পুনর্গঠিত হয়েছেন। জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে আপনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক, ভাবী প্রধানমন্ত্রী। এই বিশাল দায়িত্ব সফলভাবে প্রতিপালনে এবার কারামুক্ত তারেক রহমানকে নতুন কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে হবে। আমার দৃষ্টিতে আপনার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে, নিজের শরীর ও স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগী হয়ে সকল চিকিৎসা ও পরিচর্যার ভেতর দিয়ে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সক্ষম ও শক্তিশালী হয়ে ওঠা। আপনার সুস্বাস্থ্য যেমন আপনার ব্যক্তি জীবনের জন্য জরুরি তেমনি বাংলাদেশের বিস্তৃত গ্রাম-প্রান্তরের রাজনীতির ধকল সইতেও শারীরিক সক্ষমতা অপরিহার্য।

আপনার কাছে অনুরোধ, একটু সময় নিয়ে ধীরে-সুস্থে নিজেকে শারীরিকভাবে প্রস্তুত করবেন। আপনি দেড় বছররাধিককাল পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন, তাদেরকে সময় দিতে পারেননি। তদুপরি আপনি সময়টা চরম অনিশ্চয়তায় বন্দি ছিলেন বলে আপনি ও আপনার পরিবারকে নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। এছাড়া আগামী দিনের রাজনীতিও আপনাকে ভীষণ ব্যস্ত করে তুলবে তাই স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে আপনার পরিবারকে বেশ কিছুদিন নিবিড়ভাবে সময় দিন। এসময়ে জুবায়দা ও জায়মার প্রতি আপনার ভালোবাসা থেকে দেশের সকল মানুষের প্রতি ভালোবাসাও আপনার উপলব্ধিতে নতুন মাত্রা নিয়ে আসবে।

আপনি যদি ইউরোপ, ইউএসএ-এর কোনো দেশে চিকিৎসাকালীন অতিবাহিত করেন তাহলে আমার দ্বিতীয় পরামর্শ হবে সেখানকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বিশেষ কোর্সে অংশ নেবেন। বিশ্ব বাণিজ্য, উন্নয়ন অর্থনীতি, দারিদ্র্য দূরীকরণ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি যা কিছু একজন রাষ্ট্রনায়কের জীবনে জরুরি বিচার বিবেচনার বিষয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা মর্যাদাসম্পন্ন ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি কোর্সে বা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক সেমিনার বা সম্মেলনে আপনি অংশগ্রহণ করবেন। এই মুহূর্তে আপনার কোনো দীর্ঘমেয়াদি প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু স্বল্পমেয়াদি কোর্স ও বিভিন্ন সম্মেলন আপনার জীবনে জাদুকরী উপকার দেবে। আপনি সবসময়ই পাশ্চাত্য ও ইসলামী বিশ্বেও যত বেশি সম্ভব সম্মেলন ও কোর্সে অংশ নেয়ার চেষ্টা করবেন।

আপনি যেমন ফরহাদ মজহারের নয়া কৃষি আন্দোলন সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান নিতে টাঙ্গাইলে গেছেন কিংবা যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলে মাইক্রোসফট পরিদর্শন করেছেন। আপনি যেহেতু বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিধি বাড়ানোর চিন্তা করেন এমনকি বাংলাদেশের গ্রামে ছড়ানো-ছিটানো বাড়িঘরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, এমনকি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে চিন্তা করেন, তাতে আমি আশা করতেই পারি এর সমাধান অন্বেষণে দেশে-বিদেশে আপনার অনুসন্ধিৎসু শিক্ষা সফর অব্যাহত থাকবে। আপনার মা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এখনো শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্ষম এবং আপনার এই পুনঃপ্রস্তুতির সময়কাল একটু দীর্ঘ হলেও দলের হাল ধরে রাখতে পুরোপুরি সক্ষম। এই দিক থেকে আপনি খুবই ভাগ্যবান। উপরোক্ত দুই পরামর্শের বাইরেও আমার কিছু কথা আছে।

বিএনপির রাজনীতিতে আপনার উত্থান দলের জন্য ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের শূন্যতা দূর করে আপনাদের প্রতিপক্ষ প্রধান দলের চেয়ে বিএনপি ও তার সমর্থকদের একটা বড় নিশ্চিন্ত নির্ভরতা দিয়েছে। এই কারণেই প্রতিপক্ষের আক্রমণে আপনি ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। এই চ্যালেঞ্জ আপনাকে ধৈর্য, সহনশীলতা ও সতর্ক উদারতায় সামলাতে হবে। আপনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভবিষ্যতের প্রশ্নে বর্তমানকালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। তাই আপনার প্রতি চ্যালেঞ্জটিও হবে বহুমাত্রিক ও বিধ্বংসী।

আপনাকে সেটা যথাযথ তাৎপর্য উপলব্ধি করে তবেই এর ব্যবস্থাপনা করতে হবে। দেড় বছরের বন্দি জীবনের পর আপনার কি কারো কারো প্রতি ভীষণ রাগ হচ্ছে। আপনার মধ্যে কি প্রতিশোধের কোনো স্পৃহা উঁকি-ঝুঁকি দেয়? আল্লাহর দোহাই সকল রাগ ও প্রতিশোধ স্পৃহাকে এখনই ঝেড়ে ফেলুন। আপনার প্রতি কোনো নির্মমতা বা আঘাতকে ব্যক্তিগত বিবেচনার ঊর্ধ্বে গিয়ে বিবেচনা করুন। আপনার রাজনীতিতে সংস্কারের জন্য দলের ভেতরে যে বিভিন্ন মত তাকে উদার হৃদয়ে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ইতিবাচক বিশ্লেষণ করুন।

যেকোনো বিরোধী চিন্তা ও মতকে স্বাগত জানিয়ে সতর্কভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করুন। বর্তমান সরকারের কৌশল ও কর্মকাণ্ডে অনেক ভ্রান্তি থাকলেও এর ভেতর থেকে যথাসম্ভব সর্বোচ্চ পরিমাণে ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়াসকে গ্রহণ করার জন্য বিবেচনা করুন। আপনাকে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, আপনি পুরো দলের ভাবী প্রধান নেতা। তাই কোনো উপদলকে বিশেষ প্রশ্রয় দেয়া আপনাকে মানায় না। আপনাকে পুরো দলের সকলেরই আস্থা ও ভালোবাসা পেতে হবে।

আপনি সেটা পাবেনও। আপনার সুন্দর মায়াবী মুখাবয়বে জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি সুস্পষ্ট। এই আকর্ষণ বিএনপির কেউ অন্তত খুব বেশি দিন এড়িয়ে চলতে পারবে না। বন্দি অবস্থায় আপনার উপর শারীরিক নির্যাতনের যে অভিযোগ আছে সেটাও আপনি ব্যক্তিগতভাবে বিবেচনা করবেন না প্লিজ। আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনি বেঁচে আছেন।

আপনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনেতা, আপনার পক্ষে সবচেয়ে ইতিবাচক হবে বন্দি নিপীড়ন বা রিমান্ডে নিপীড়ন নিয়ে ভবিষ্যতে সময় ও সুযোগমতো জাতীয়ভাবে সংস্কার আনতে প্রয়াসী হওয়া। আপনার উচিত হবে সময় ও সুযোগ পেলে বাংলাদেশের জেলখানাগুলোতে যথাযথ সংস্কার করা। এক সময় কেউই ভাবেনি যে শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানকেও গ্রেফতার করা যায়। আমার মনে হয়, এই ধারণা সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়ে আমাদের রাজনীতিতে জবাবদিহিতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটা অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে (আপনার গ্রেফতারকে বাড়াবাড়ি হিসেবে ধরে নিলেও)। বন্দি জীবনের ব্যক্তিগত কষ্টের বাইরে আমাদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় এই মাইলফলকটিও বিবেচনা করলে অনেক স্বস্তি পাবেন।

রাজনীতির অগ্রপথিকরা অনেকেই জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নেলসন মেন্ডেলাসহ এরকম বহু উজ্জ্বল উদাহরণ আমাদের জানা আছে। বিএনপির রাজনীতি ও সরকারে তরুণদের এগিয়ে দেয়ার ভূমিকা আপনি সঠিকভাবেই নিয়েছিলেন। তবে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে ভ্রান্তি ছিল নিশ্চয়ই। একটি সুস্থ ও সত্যিকারের স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থাৎ সুশাসন নিশ্চিত করতে এবার আপনাকে সর্বাÍক প্রয়াসী হতে হবে।

বাংলাদেশের পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন মতপার্থক্য বহাল রেখেই এবং দলগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা মেনে নিয়েই সকলের একটি সমঝোতায় পৌঁছানো এবং ন্যূনতম কাজের সম্পর্ক (ওয়ার্কিং রিলেশনশিপ) প্রতিষ্ঠা করা আজ সময়ের দাবি। বাংলাদেশের খেটে খাওয়া পরিশ্রমী কৃষক মজুর আরো অনেক ভালো জীবন যাপনের অধিকার রাখে। তাদের কথা একটু বেশি করে ভাবুন এবং দেশের অগ্রগতি ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নের গতিকে বেগবান করতে কিছু ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও দলীয় স্বার্থত্যাগের মহতী উদ্যোগ নিন। আমি লক্ষ করি যে, আমাদের রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় যেকোনো ভুল স্বীকারকে অত্যন্ত অসম্মানজনক ও ক্ষতিকারক বিবেচনা করা হয়। আমি আপনাকে প্রতিশ্র“তি দিতে পারি এই ধারণা ভিত্তিহীন ও মারাত্মক বিপর্যয়কর।

আপনি যেকোনো ভুল স্বীকার ও ভুল সংশোধনের স্বতঃস্ফূর্ত ও সৎ প্রচেষ্টা নিয়ে পরখ করে দেখতে পারেন। মানুষের আস্থা অনেক বেড়ে যাবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাককালে স্বাধীনতার ঘোষণা, অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া বীরউত্তম, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং একটি প্রধান ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাবাদর্শিক নেতা হিসেবে ইতিহাসে আপনার পিতা শহীদ জিয়াউর রহমানের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যথাযথ মূল্যায়ন অত্যন্ত জরুরি ও যুক্তিযুক্ত কাজ বলেই একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে বিবেচনা করতে হবে। আমি ধারণা করছি, অদূর ভবিষ্যতে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেখানে আপনার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ বা ভূমিকা থাকবে না। তারপরও আপনার দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

হয়তো আপনার মা সেখানে নেতৃত্বও দেবেন। এই নির্বাচনে বিএনপির ফলাফল কী হবে এই মুহূর্তে আমি অনুমান করতে চাইছি না। আমি ধারণা করছি, এর পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে আপনার থাকবে সর্বাÍক ভূমিকা। আপনি সেটার জন্যই শারীরিক, মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেবেন বলে আশা করছি। আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।

পরম করুণাময় আল্লাহ তা’আলা আপনাকে বাংলাদেশের মানুষের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করতে তৌফিক দিন। আমি সবসময় এই কামনাই করি। নাঈমুল ইসলাম খান: আমাদের সময় এই চিঠিখানি পড়ার পর, জনৈক এচকিমুর পায়ু জ্বলন রোগ দেখা দিয়েছে। তাই একটা প্রতিক্রিয়া পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এচকিমুরে কই, এলোপ্যাথিতে এই পায়ু রোগের চিকিৎসা কঠিন জানি, কিন্তু হোমিওপ্যাথের অনেক বড় বড় ডাক্তার এইগুলার মুশকিল আসান কইরা দেওনের ঘোষণা দেয়।

আর, এচকিমু তুমি তো হাসিনার পা চাটো, সেইখানেও একটু শেফা থাকতারে। আদি আয়ুর্বেদি। ৭০০ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা কাঁধে নিয়ে ফখরু আর মারিয়াটির পা চেটে বিদেশ গেছে- এই দুজনের পায়েও শাস্ত্র অনুযায়ী শেফা থাকনের কথা- তোমরা তিন ভাই বোন মিল্যা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আম্রিকার পা চাটতে থাকো। আর একটা কথা, তুমার ব্লগে লেখা: শুয়োর সহ্য হয় - কিন্তু রাজাকার না। আমি কইয়া রাখি, আমি আবার রাজাকার এবং শুয়োর দুই-ই সহ্য করতারি না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.