আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিরাতুল জিলাপি (কাল্পনিক ব্যাঙ্গচিত্র)



নূরানী এ চেহারায় দেখাই যে দুঃখ, মাথায় কিন্তু ভাই প্যাচ খেলে সুক্ষ্ম। আওয়ামী-নিএনপিরা লড়ে হোক কুপোকাৎ, ফাঁকতলে জামাতের হয়ে যাবে বাজীমাৎ। পিটিয়ে তাড়াতে হবে এদেশের হেঁদুদের, তবেই বইবে স্রোত এসলামী সে দুধের। মানবাধিকারে কেউ করলে টুঁ শব্দ, বিকট হুংকারে করে দেব জব্দ। না জুটুক মালকোঁচা, না জুটুক খাদ্য, সবাইকে হতে হবে জামাতের বাধ্য।

গোটা দেশ ছেয়ে দিব টুপিতে দাঁড়িতে, জিয়াফত হবে, ভাত না থাকুক হাঁড়িতে। এমন দাবড়ে দেব শারিয়ার ডান্ডা, কাফের মুশরিক হয়ে যাবে ঠান্ডা। মুরতাদ ফতোয়ায় কাটব যে কল্লা, তাই দেখে দুনিয়ায় হোক হল্লা। মাদ্রাসা হয়ে যাবে রাজনৈতিক যে, এক কোটি মুজাহিদ বের হবে ঠিক যে। ঘন ঘন জিহাদের হুংকারে নৃত্যে, দেশ রবে থর-হরি কম্পিত চিত্তে।

নারী অধিকার হবে অতীব নিষিদ্ধ, বৌকে পেটানো গবে আইনত সিদ্ধ। তালাক সাক্ষ আর উত্তরাধিকারে, পিষে যাবে মেয়েগুলো শারিয়ার শিকারে। মাথা থেকে পা ঢেকে কাপড়ের বস্তায়, ঘুলঘুলি চোখে ভুত চলবে যে রাস্তায়। মেয়েগুলো ঢুকে যাবে বোরখার ভিতরে, চার জেনানা! উফ! বলব কি সে তোরে! হঠাৎ তালাক দিয়ে পুরোন সে বুড়িকে, আনব কলমা পড়ে নধর ছুঁড়িকে। ফুর্তিতে বদলাবো চার বৌ বারবার, ভাবছ কি নৃশংস জামাতি করবার? মোটে নয়! শারিয়াতে এতে কিছু মানা নেই! আফসোস! তোমাদের কিছুই যে জানা নেই! মুখে সুমিষ্ট কথা, আইনেতে ভরা বিষ, এটাই তো শারিয়ার রহস্য, তা জানিস! সুযোগ পেলেই করি আর এক চেষ্টা, ক্রীতদাস-দাসীদের হাটে ভরি দেশটা।

অগুন্তি দাসীরা তো চর্ব্য ও চোষ্য, জামাতের সংস্কৃতি বটে তো অবশ্য। ওদের জীবনে আমি হলে হব কেয়ামত, আমার জীবনে ওরা আল্লহর নেয়ামত। সিনেমা থাকবে তবে নায়কের দাঁড়ি চাই, সে দাঁড়িতে দৈর্ঘ্যের কিছু বাড়াবাড়ি চাই। নায়িকা রাখতে পারো, রেখে যদি পাও সুখ, পেছন দেখাবে শুধু, দেখিয়ো না চাঁদ মুখ। নাচ-গান নয়, শুধু বাদ্যিটা থাকবে, সংলাপে মো'দুদির নামটাও রাখবে।

খাবি খাবে হাইকোর্ট ফতোয়ার ধাক্কায়, তখন দেখবি মাথা কত ঘুরপাক খায়। প্রচুর সর্ষেফুল ভিমরি খাবি সব, পিচলামী শত ধেড়ে নৃত্যে মহোৎসব। দেখে হবে দুনিয়ার চক্ষু চড়ক গাছ, জামাতের বাংলায় তুমুল বাঁদর নাচ। স্মৃতির সৌধ আর শহীদ মিনারটা, জাতির দর্শনের এ ম্যাগনা কার্টা। বোমা মেরে করে দেব খন্ড বিখন্ড, গর্দভ এ জাতির মহা মেরুদন্ড।

ভুতের উল্টো পায়ে প্রচন্ড গতিতে, ছুটবে বাংলাদেশ বহুদুর অতীতে। ঠেকাবে কে মো'দুদির পিছলামি ঠ্যালাকে, জামাতের এক কোটি উন্মাদ চেলাকে? সংগীত শিল্পীরা ভাগো সব ভাগো রে, সবাইকে ফেলে দেব বঙ্গোপসাগরে। বেতারে টিভিতে হবে জামাতের চর্চা রাতদিন, মিডিলিস্ট দেবে তার খর্চা। বায়তুল মোকার'রমে বসে যাবে সংসদ, বুদ্ধিজীবীরা হয়ে যাবে বংশদ। রবে কিছু মোনাফেক তাতে আর ভয় কি, মর্দে জামাতিদের হবে জয়, নয় কি? ন'শো টন স্কচ টেপ কেনা হবে পন্য, সাংবাদিকের ঠোঁটে লাগানোর জন্য।

মরণানন্দেরাই লিখবে যে পদ্য, তবেই তো বটতলা হবে অনবদ্য। লেখকরা এইটুকু পারিস নি শিখতে, আরবীতে রবীন্দ্র সংগীত লিখতে? আল্লাহ-রাসূল আর কুরআনের বাইরে, জামাতি থাকবে শুধু, শুনে রাখ ভাইরে। অতঃপর আর একটা একাত্তর দেখলেই: লেজ তুলে দেব ছুট, ও বাবা গো, ও মা গো! কোত্থেকে আসে এত শত শত বোমা গো! কেন এল এ গজব, বুঝিনা তো কিচ্ছু, চার ধারে কিলবিল বাংলার বিচ্ছু! বুক করে ধুক ধুক বিকালে ও সকালে, ফাঁসীর দড়িটা বুঝি জুটবে রে কপালে! পশ্চাদ্দেশে বুঝি পড়বে বেত্রাঘাত, বিনা মেঘে কেন রে হঠাৎ এ বজ্রপাত? প্যাঁদানির চোটে ভাই পড়েছি রে নেতিয়ে, মাবুদেপই দেবে শেষে বিচ্ছুকে জিতিয়ে! ওরাই তো মুসলিম! বড় প্রিয় আল্লাহর! জামাতি ভন্ড দাঁড়ি-টুপি-আলখল্লার সবই তো বে-ইসলামি, প্রলাপ ও বিলাপ-ই! জামাতি ধর্ম হল "সিরাতুল জিলাপি"। সিরাতুল মুস্তাকিম - সহজ সরল - শান্তি সাম্যের ইসলাম। সিরাতুল জিলাপি - জিলাপীর মত প্যাঁচানো পথ - জামাতের হিংস্র কসাই ইসলাম।

কৃতজ্ঞতা - ফতেমোল্লা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।